![এইচএসসির নির্মিতিবিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা দ্বিতীয় পত্র](uploads/2024/04/07/1712468254.a1.jpg)
সারমর্ম
১৩। দণ্ডিতের সঙ্গে দণ্ডদাতা ................ তুমি তার কাছে।
সারমর্ম: অপরাধ প্রবণতা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি নয়। কাজেই কোনো অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার আগে বিচারককে আন্তরিক ও সহমর্মী হওয়া উচিত। যে বিচারক দণ্ড দিতে গিয়ে অপরাধীর প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং নিজেকে দণ্ডিত ব্যক্তির অতি কাছের মানুষ ভেবে ব্যথিত হন তার বিচারই হবে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচার।
১৪। বিপদে মোরে রক্ষা করো, .......................... বাহিতে পারি এমন যেন হয়।
সারমর্ম: দুঃখ ব্যথা থেকে অন্য কারও সাহায্যে উদ্ধার পাওয়া গৌরবের নয়। বরং বিপদ মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করাই মানুষের প্রতিজ্ঞা হওয়া দরকার। আপন শক্তি-দক্ষতা ও ধৈর্য দিয়ে বিপদ মোকাবিলার মধ্যেই রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সুখ।
১৫। হউক সে মহাজ্ঞানী, মহা ধনবান ................ সে পাষণ্ড বর্বর।
সারমর্ম: দেশ ও জাতির উপকারের মধ্যেই সব প্রতিভার সাফল্য নিহিত। অনেক ধন-সম্পদ এবং জ্ঞানের অধিকারী হয়েও যে দেশ-মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত নয় তার ধন-সম্পদ, প্রতিভা-জ্ঞান সবকিছু বৃথা। সে সবার কাছে ঘৃণার পাত্র।
১৬। ছোট ছোট বালু কণা, ................... স্বর্গসুখ নিত্য দেয় আনি।
সারমর্ম: কোনো ক্ষুদ্র বস্তুই তুচ্ছ নয়। সহস্র ক্ষুদ্রের সমন্বয়েই বৃহতের সৃষ্টি। ত্রুটি কিংবা অপরাধ ক্ষুদ্র হলেও ক্রমে তা পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং ভয়ংকর প্রমাদ ঘটায়। অন্যদিকে করুণা ও স্নেহের ক্ষুদ্র বাণী এ মাটির পৃথিবীতে স্বর্গের সুখ এনে দিতে পারে।
১৭। সবারে বাসিব ভালো, করিব না .................. নব জীবন স্পন্দনে।
সারমর্ম: সব হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে যদি মানুষে মানুষে প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা যায় তবে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হবে এক নতুন সমাজ। ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের বন্ধনে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে যেখানে বিরাজ করবে শুধু শান্তি। থাকবে না কোনো রকম বিচ্ছেদ, হানাহানি এবং সংঘাত-সংঘর্ষ। থাকবে শুধু মহামিলনের সুর এবং নবজীবনের শান্তি।
১৮। পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি ................. আমরা পরের তরে।
সারমর্ম: পরের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মতো সুখ আর নেই। স্বার্থপরতা জীবনের চরম উদ্দেশ্য নয়, এতে আনন্দ পাওয়া যায় না। জগতের কল্যাণ সাধনের জন্য মানুষের জন্ম। তাই প্রত্যেকেরই অপরের কল্যাণ বা মঙ্গল কামনা করা উচিত।
১৯। পরের মুখে শেখা বুলি ...................... কোথাও পাবি না রে।
সারমর্ম: নিজস্বতাই মানুষের যথার্থ পরিচয় ও আত্মপ্রতিষ্ঠার ভিত্তিভূমি। পর ভাষা ও ভূষণ অনুসরণ করে মানুষ ‘নকল’ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। এতে মানুষের কোনো মর্যাদা নেই বরং নিজেরই অমর্যাদা ঘটে। আপন মূল্যবোধ ও সত্তাকে ধারণ করেই মানুষ সত্যিকার প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা লাভ করতে পারে। অনুকরণ সর্বদাই নিন্দনীয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা
জাহ্নবী