![পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার আকাইদের প্রশ্নোত্তর](uploads/2024/04/18/1713420273.Five-Islam.jpg)
প্রথম অধ্যায়: আকাইদ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: আকিকা কাকে বলে?
উত্তর: সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের কল্যাণ ও হিফাজতের কামনায় আল্লাহর ওয়াস্তে কোরবানির মতো কোনো গৃহপালিত হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: ইবাদতের তাৎপর্য বর্ণনা করো।
উত্তর: আল্লাহতায়ালা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি সবকিছুকে আমাদের অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধু তারই ইবাদতের জন্য। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আর আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’
আল্লাহ আমাদের মাবুদ আর আমরা তার আবদ বা অনুগত বান্দা। তাই আমাদের কর্তব্য হলো আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। আর এটাই ইবাদত। সালাত, সাওম, হজ, জাকাত, সাদকা, দান-খয়রাত, আল্লাহর পথে জিহাদ এগুলো মৌলিক ইবাদত। তবে শুধু এগুলোর মধ্যেই ইবাদত সীমাবদ্ধ নয়। আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে যেকোনো ভালো কাজই ইবাদতের শামিল।
প্রশ্ন: সালাতের গুরুত্ব বর্ণনা করো।
উত্তর: ঈমানের পরই সালাতের স্থান। সালাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সালাত ইসলামের খুঁটি। যে সালাত কায়েম করল, সে দ্বীনরূপ ইমারতটি কায়েম রাখল। আর যে সালাত ত্যাগ করল, সে দ্বীনরূপ ইমারতটি ধ্বংস করল। কোরআনে বারবার সালাত কায়েমের হুকুম দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ‘সালাত কায়েম করো।’ দিন-রাত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জীবনের প্রতি মুহূর্তে আল্লাহতায়ালার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বান্দার মনে আল্লাহর বিধানমতো চলার অনুপ্রেরণা জোগায়। সালাতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারে। সালাতের গুরুত্ব প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ আর মহানবী (সা.) বলেন, ‘সালাত জান্নাতের চাবি।’ সুতরাং আমাদের জান্নাত লাভ করতে হলে নিয়মিত সালাত আদায় করতে হবে।
প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় বর্ণনা করো।
উত্তর: সালাত আদায়ের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যথাসময়ে সালাত আদায় না করলে তা আদায় হয় না। নিচে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় বর্ণনা করা হলো—
১. ফজর: ফজর সালাতের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং সূর্য উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত এর সময় থাকে।
২. জোহর: দুপুরের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লেই জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। ছায়া আসলি বাদে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত এর সময় থাকে।
৩. আসর: জোহরের সময় শেষ হলেই আসরের সময় শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
৪. মাগরিব: সূর্যাস্তের পর থেকে মাগরিবের সময় শুরু হয় এবং পশ্চিম আকাশে যতক্ষণ লালিমা বিদ্যমান থাকে ততক্ষণ সময় থাকে।
৫. এশা: মাগরিবের সময় শেষ হলেই এশার সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
লেখক: মাস্টার ট্রেইনার ও সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা
জাহ্নবী