ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

ভাব ও কাজ প্রবন্ধের ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
ভাব ও কাজ প্রবন্ধের ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

প্রবন্ধ : ভাব ও কাজ

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক ভাবের বাঁশিবাদককে নিঃস্বার্থ হতে বলেছেন কেন? 
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক ভাবের বাঁশিবাদককে নিঃস্বার্থ হতে বলেছেন। কারণ তার আদর্শ অনুসরণ করে যেন অন্যরা ভাব ও কাজের সমন্বয় সাধনে তৎপর হয়।
একটি কাজের জন্য ভাবের প্রয়োজন। লেখক ভাবের বাঁশিবাদককেই নিঃস্বার্থ ও পরোপকারী গুণসম্পন্ন হতে বলেছেন। কারণ তার আদর্শ অনুসরণ করে যেন অন্যরা ভাব ও কাজের সমন্বয় সাধনে তৎপর হতে পারে। তার মতে কাজহীন ভাবের কোনো মূল্য নেই। যিনি ভাবের বাঁশি বাজাবেন তিনি তা নিজের স্বার্থে বাজাবেন না। তিনি পরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করবেন। মানবকল্যাণে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও আত্মনিবেদন হবে ঋষিতুল্য, যাতে অন্যরা তাকে অনুসরণ করে।

প্রশ্ন: ‘ভাবকে জাগিয়ে তুলবেন মানুষের কল্যাণের জন্য’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘ভাবকে জাগিয়ে তুলবেন মানুষের কল্যাণের জন্য’ কথাটির মধ্য দিয়ে মানবকল্যাণে মানুষকে জাগিয়ে তোলার কথা বোঝানো হয়েছে।
‘ভাব’ মানুষের জাগরণের উপকরণ। মানুষের মনকে জাগিয়ে তুলতে ভাবের প্রয়োজন। আর সেই মানুষকে তার নিজের, পরিবারের, রাষ্ট্রের ও জাতির জন্য যথাযথভাবে গড়ে তুলতে হলে তাকে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হয়। শুধু ভাব দিয়ে কখনো কারও উন্নতি হয় না। মানুষের পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করতে হয়, তাদের ভাব দিয়ে জাগিয়ে কর্ম দিয়ে এগিয়ে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে কেউ যদি আত্মস্বার্থে সাধারণ মানুষকে জাগাতে চায় তাহলে তারা হয়তো জাগে, কিন্তু তাতে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হবে না। এ কারণে মানুষকে জাগাতে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে সমষ্টির স্বার্থের জন্য প্রশ্নোক্ত বাক্যটিতে এ বিষয়টিই প্রকাশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : ভাব ও কাজ প্রবন্ধের ২টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব

প্রশ্ন: ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক তরুণদের দেশের প্রাণশক্তি বলেছেন কেন? 
উত্তর: যুবকরা আমাদের আশা-ভরসাস্থল বলে লেখক তাদের এ দেশের প্রাণশক্তি বলেছেন।
যুগে যুগে তরুণরাই বিভিন্ন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ত্যাগ স্বীকার করেছে, অধিকার আদায় করেছে। এ কারণে একটি দেশে মুক্তি, উন্নতি ও জাতির কল্যাণ সাধনে তরুণরাই প্রধান ভরসাস্থল। তাদের ঐক্যবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার ফলেই দেশের অগ্রগতি সাধিত হয়। তারাই মানুষকে অধিকার সচেতন করে তোলে স্বাধীনতার জন্য, শোষণ-শাসন থেকে মুক্তির জন্য। তারাই সত্যিকার দেশকর্মী। লেখক তাই তরুণদেরই যথাযথ কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নতি সাধনের কথা বলেছেন। এ কারণেই তিনি তাদের দেশের প্রাণশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

প্রশ্ন: ‘সামনের দেয়ালকে ভাঙতে হলে একেবারে তার ভিত্তিমূলে শাবল মারতে হবে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘সামনের দেয়ালকে ভাঙতে হলে একেবারে তার ভিত্তিমূলে শাবল মারতে হবে’ বলতে মানুষের মুক্তি ও উন্নতির পথের অন্তরায়গুলো দূর করে অন্যায়ের ভিত্তিমূলে প্রতিবাদের শাবল মারার কথা বোঝানো হয়েছে।
সাধারণভাবে আমরা দেখি যে, ভালো কাজের মধ্যে যেমন সমর্থন পাওয়া যায়, তেমনি বিপরীত প্রতিক্রিয়া ও কার্যক্রমও লক্ষ করা যায়। সমাজের এক শ্রেণির মানুষ চেষ্টা করে যাতে কাজটা না করা যায়। আমরা লোকভয়, লোকলজ্জা এবং নানা সমস্যা সংকট বিবেচনা করে পিছপা হই। প্রকৃতপক্ষে তা করা উচিত নয়। আমাদের উচিত সর্বশক্তি নিয়ে তাদের হীনশক্তির মূলে আঘাত করে প্রতিবাদ করে নিজেদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং যাবতীয় প্রাপ্য বুঝে নেওয়া। তাতেই আমাদের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হতে পারে।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, বাংলা
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

জীবনীশক্তি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
জীবনীশক্তি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢোকার আগে রিভিশন দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১১। পাতার মেসোফিল টিস্যুর কোষের অম্লত্ব বেড়ে যায় কোনটির কারণে?
(ক) CO2-এর মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে
(খ) O2-এর বেশি মাত্রা খুব কমে গেলে
(গ) খুব বেশি ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতিতে
(ঘ) এনজাইমের বেশি ঘাটতি থাকলে

১২। অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে কোন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে?
(ক) প্রস্বেদন                  (খ) শ্বসন 
(গ) সালোকসংশ্লেষণ     (ঘ) ফটোলাইসিস

১৩। কোনটির উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়?
(ক) ক্লোরোফর্ম         (খ) নাইট্রোজেন 
(গ) ম্যাগনেসিয়াম     (ঘ) আয়রন

নিচের চিত্রের আলোকে ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।


১৪। Q-এর ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
(ক) প্রথম স্থায়ী যৌগ অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড
(খ) বিকেলে সালোকসংশ্লেষণের হার কিছুটা কমে যায়
(গ) মিথেনের আধিক্যে সালোকসংশ্লেষণের হার একই থাকে
(ঘ) 38° C তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হবে

১৫। P ও Q উদ্ভিদের ক্ষেত্রে- 
i. সালেকসংশ্লেষণের হারে তারতম্য হয়
ii. অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় ফুলে শ্বসনের হার বেশি হয়
iii. পাতার এনজাইম নষ্ট হলে ক্লোরোফিল কমে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii      (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

১৬। অণুজীব কার্বোহাইড্রেটকে জারিত করে কীসে পরিণত করে?
(ক) কার্বন ডাই-অক্সাইড     
(খ) হাইড্রো কার্বন 
(গ) ল্যাকটিক অ্যাসিড     
(ঘ) ক্লোরোফর্ম 

আরো পড়ুন : জীবনীশক্তি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

নিচের চিত্রের আলোকে ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।


১৭। উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপে কত অণু ATP উৎপাদন হয়?
(ক) ২ (খ) ৪ (গ) ৬ (ঘ) ৮

১৮। ওই প্রক্রিয়াটি-
i. শুধু দিনের বেলায় সংঘটিত হয় 
ii. মূলের অগ্রভাগে বেশি হয়
iii. সম্পন্ন হতে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii     (খ) ii ও iii 
(গ) i ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

১৯। অ্যাসিটাইল কো-এ কত অণু ATP উৎপন্ন হয়?
(ক) ২ অণু       (খ) ৬ অণু 
(গ) ১৮ অণু     (ঘ) ২৪ অণু

২০। শ্বসন প্রক্রিয়ার কোন ধাপে চার অণু CO2 উৎপন্ন হয়?
(ক) গ্লাইকোলাসিস     
(খ) অ্যাসিটাইল কো-এ 
(গ) ক্রেবস চক্র     
(ঘ) ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র

উত্তর: ১১. ক, ১২. গ, ১৩. ক, ১৪. খ, ১৫. ঘ, ১৬. গ, ১৭. ঘ, ১৮. খ, ১৯. খ, ২০. গ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, জীববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি মুজিব কলেজ, সখিপুর, টাঙ্গাইল

কবীর

বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ করার পর খুশি। ছবি- সংগৃহীত

কবিতা : বঙ্গভূমির প্রতি 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: ‘মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে’ পঙ্‌তিটির অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে’ বলতে কবির মাতৃভূমি যেন তাকে স্নেহধারা থেকে বঞ্চিত না করেন তা বোঝানো হয়েছে।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মনে করেছিলেন যে, তিনি বিলেতে না গেলে বড় কবি হতে পারবেন না। তাই তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে বিলেতে যান। নিজের ভাষা এবং দেশ ত্যাগ

আরো পড়ুন : মানবধর্ম কবিতার ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র

করা যে তার জন্য মারাত্মক ভুল হয়েছে, এটা ভেবে তিনি অনুতপ্ত হন। তাই জন্মভূমির কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, দেশমাতৃকা যেন তার স্নেহধারা থেকে তাকে বঞ্চিত না করে। তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাকে যেন বক্ষে ধারণ করে নেন।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, বাংলা
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে লেখাপড়া করছে। ছবি- সংগৃহীত

সপ্তম অধ্যায় : বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম

নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: BRAC  কী ? ব্র্যাকের কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: বাংলাদেশে যেসব বেসরকারি সংস্থা আর্থসামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, তার মধ্যে সর্ববৃহৎ হলো BRAC। 
১. ব্র্যাকের নিয়োজিত কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতার সংখ্যার মানদণ্ডে এটি বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। 
২. ২০১৩ সালে বিশ্বের ১০০টি সর্বোত্তম এনজিওর মধ্যে ব্র্যাক প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে। 
৩. ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদকে নাইট (Knight) উপাধিতে সম্মানিত করেন। 
ব্র্যাকের কার্যক্রমগুলো: প্রতিষ্ঠালগ্নে ব্র্যাকের কার্যক্রম শুরু হয় ঋণদান কর্মসূচির মাধ্যমে। বর্তমানে ব্র্যাক অনেক ব্যাপক, বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যমুখী কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এসব কর্মসূচি মানবজীবনের দৈহিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, সচেতনতা প্রভৃতি দিককে কেন্দ্র করে গ্রহণ করা হয়েছে। নিচে ব্র্যাকের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো- 
১. পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি: গ্রামীণ ভূমিহীন, দুস্থ, দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত করে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যাক পল্লী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ব্র্যাক ১৯৮৬ সালে পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করে। 
BRAC-এর ৪টি সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি রয়েছে। BRAC পল্লী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্রদের দলীয় ভিত্তিতে ঋণদান করে থাকে। 
BRAC পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম দুটি ধারায় চলে। যথা-
১. Rural Development Programme (RDP)
২. Rural Credit Project (RCP)
ক. সেচ (Irregation): এক্ষেত্রে RDP এবং RCP ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। যথা-
(ক) টিউবওয়েল কেনার জন্য Capital Loan.
(খ) জ্বালানি ও মজুরি পরিশোধের জন্য Operating Loan.
এ সেক্টরে ১৯৯২ সালে ১৬৫ মিলিয়ন টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। 
খ. রেশম: রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য ব্র্যাক ঋণ দিয়ে থাকে। 
গ. সামাজিক বনায়ন: এক্ষেত্রে নার্সারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং বীজ দিয়ে উন্নত বনায়ন সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। 
ঘ. মৎস্য চাষ, ঙ. পশু পালন ও হাঁস মুরগির খামার,
চ. গ্রামীণ প্রশিক্ষণ, ছ. কুটিরশিল্প, জ. খাদ্য ও গুদাম ইত্যাদির জন্য ব্যাক ঋণ দিয়ে থাকে।
২. ক্ষুদ্র ঋণদান কর্মসূচি: ব্র্যাকের একটি আয় উপার্জনমূলক কর্মসূচি হলো ঋণদান। এটি ব্র্যাকের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র, ভূমিহীন পুরুষ, নারীকে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে থাকে ব্র্যাক। যাতে তারা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে, হতে পারে স্বাবলম্বী। ঋণগ্রহীতারা সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করে থাকে। ঋণদানকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অত্যাবশ্যকীয় হাতিয়ার হিসেবে দেখা হয়। ঋণগ্রহীতাদের অধিকাংশই নারী। এ ঋণের শর্ত হিসেবে তারা নিজস্ব পুঁজি সঞ্চয় হিসেবে গড়ে তোলে। 

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

৩. শিক্ষামূলক কর্মসূচি: ব্র্যাকের মৌলিক কার্যক্রমের অন্যতম কর্মসূচি হচ্ছে শিক্ষামূলক কার্যক্রম। ১৯৮৫ সালে মানিকগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে ২২টি স্কুল চালু করার মাধ্যমে ব্র্যাক তাদের এ শিক্ষা কর্মসূচি চালু করে। এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচি নিচে তুলে ধরা হলো-
ক. উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা: উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে ১৯৮৫ সালে ব্র্যাক এ কর্মসূচি চালু করে। তিন বছর মেয়াদি এ শিক্ষাব্যবস্থায় ৮-১০ বছর বয়সী পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশু যারা কখনো স্কুলে যায়নি, তাদের শিক্ষাদান করা হয়। এ শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এটি সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য উদ্ভাবনমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা। যাতে তারা শিক্ষার মূল  স্রোতধারায় মিশতে পারে। 
খ. বয়স্ক শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা: এ কর্মসূচি চালু হয় ১৯৮৮ সালে। যার আওতাভুক্ত হচ্ছে ১১-১৬ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীরা। তিন বছরব্যাপী এ কর্মসূচিতে যারা কখনো স্কুলে যায়নি কেবল তারাই লেখাপড়ার সুযোগ পায়। 
গ. ব্যবহারিক শিক্ষা: নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যবহারিক বয়স্ক শিক্ষা গৃহীত হয়। এজন্য ব্র্যাক দেশব্যাপী বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও সামাজিক সচেতনতা অর্জনের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন। 
ঘ. ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়: ২০০১ সাল থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
ঙ. মেধা বিকাশ প্রকল্প: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ-বিদেশে অধ্যয়নরত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘মেধা বিকাশ’ প্রকল্পের অধীনে ব্র্যাক বৃত্তি দিচ্ছে। 
চ. কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন কর্মসূচি: এর আওতায় সারা দেশে ৮ হাজার ৫০০টিরও বেশি কিশোর-কিশোরী উন্নয়নকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের সাক্ষরতা জ্ঞান, পাঠ্যাভ্যাস, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক রোধ, সহ-পাঠ্যক্রমিক ভাব বিনিময়, প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার, মাদকাসক্তি, এইডস সচেতনতা সৃষ্টি প্রভৃতি সম্ভব হচ্ছে। 
৪. স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি: ব্র্যাক তার সূচনালগ্ন থেকেই স্বাস্থ্য কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। বিশেষ করে দেশের অনুন্নত সমাজব্যবস্থার গ্রামীণ দরিদ্র ও ভূমিহীনদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা করাসহ নানা কর্মসূচি রয়েছে। 
ক. খাবার স্যালাইন সম্প্রসারণ কর্মসূচি: ১৯৮০ সালে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ‘ঘরে ঘরে খাবার স্যালাইন তৈরি শেখানো’ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির সূচনা হয়। সমগ্র দেশে ব্র্যাকের কর্মীরা প্রতিটি পরিবারে গিয়ে নারীদের হাতে কলমে স্যালাইন তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে যেমন- রেডিও, টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকার মাধ্যমেও স্যালাইন তৈরির কর্মসূচি প্রচার করা হয়। 
খ. মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম: মা ও শিশুদের রোগ ব্যাধি, মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা, প্রসবপূর্ব  ও প্রসব-পরবর্তী পরিচর্যা, নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মাতৃদুগ্ধ সেবন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ব্র্যাক মা ও শিশুস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 
গ. প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা: স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা এ কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত হয়। যেমন- স্বাস্থ্য ও পুষ্টি শিক্ষা, টিকাদান ও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ খাবার পানি পান, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি। 
ঘ. কেন্দ্র সুবিধাভিত্তিক সেবাসমূহ: ‘সুস্বাস্থ্য’ নামক সমষ্টিভিত্তিক ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা  দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ২০০০ সালে ব্র্যাক কৃত্রিম অঙ্গ স্থাপন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।     
৫. ব্র্যাক ব্যাংক প্রকল্প: গ্রামীণ ভূমিহীন দুস্থ, দরিদ্র শ্রেণিকে প্রাতিষ্ঠানিক সেবার আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক  স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। দলের মূলধন সমস্যার সমাধানকল্পে ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে ব্র্যাক ব্যাংক প্রকল্প চালু করে।

লেখক : প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কবীর

শব্দদূষণ কবিতার ২টি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
শব্দদূষণ কবিতার ২টি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, পঞ্চম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ছবি- সংগৃহীত

কবিতা : শব্দদূষণ

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ ও বাক্য রচনা করো।
উত্তর: নিশি রাত- গভীর রাত/মাঝ রাত। নিশি রাতে চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমাচ্ছে।
কিচিরমিচির- পাখির ডাকাডাকির আওয়াজ। ভোর বেলাতেই পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
ফেরিওয়ালা - রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করে। ফেরিওয়ালা হাঁক দিচ্ছে- থালাবাসন চাই?
শব্দদূষণ- বেশি কোলাহলে শব্দদূষণ ঘটে। শব্দদূষণে আমাদের কানে শোনার ক্ষমতা কমে যায়।
গরু- গরু খুব উপকারী প্রাণী।
শহর- গ্রামের চেয়ে শহরে শব্দদূষণ অনেক বেশি।
দোয়েল- দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।
কাক- শহরে কাকের উপদ্রব বেশি।
টিভি- আমাদের ছোট ভাই সুযোগ পেলেই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিভি দেখতে বসে।

আরো পড়ুন : শখের মৃৎশিল্প প্রবন্ধের ১টি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব, পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করো।

ফেরিওয়ালা, নিশি রাত, শব্দদূষণ, কিচিরমিচির

ক. ........চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির...... শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. ........হাঁক দিচ্ছে থালাবাসন চাই?
ঘ. .........আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

উত্তর: ওপরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করা হলো-
ক. নিশিরাত চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমাচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. ফেরিওয়ালা হাঁক দিচ্ছে থালাবাসন চাই?
ঘ. শব্দদূষণ আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

লেখক : সহকারী শিক্ষক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা

কবীর

মানবধর্ম কবিতার ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
মানবধর্ম কবিতার ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

কবিতা : মানবধর্ম

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: সব লোকে কেন লালনের জাত নিয়ে প্রশ্ন তোলে?
উত্তর: বিশেষ কোনো একটি ধর্ম পালন না করাতে লোকে লালনের জাত নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
লালনের জাত সম্পর্কে সবাই সন্দিহান। কারণ, তিনি কোনো বিশেষ ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ নন। তিনি মানবধর্মে বিশ্বাসী। তিনি জাতি ধর্ম বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কেউ মালা বা তসবি গলায় দিলেই কি ভিন্ন জাতি হয়? তিনি তা মনে করেন না। তিনি মনে করেন সব মানুষ সমান। তাই তার কাছে জাত-পাত বলতে কিছু নেই। এ কারণেই সাধারণ মানুষ লালনের জাত নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

প্রশ্ন: ‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায় জেতের চিহ্ন রয় কার রে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায় জেতের চিহ্ন রয় কার রে’ বলতে জন্ম ও মৃত্যুর সময় মানুষ কোনো চিহ্ন নিয়ে আসেও না, যায়ও না, সে কথা বোঝানো হয়েছে।
জাতি ধর্মের কারণে মানুষ বিভিন্ন চিহ্ন ধারণ করে। নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদা করে। কিন্তু লালন শাহ বলেন, কেউ মালা বা তসবি গলায় দিলেই ভিন্ন জাতি হয়ে যায় না। কারণ, মানুষ আসা-যাওয়ার সময় অর্থাৎ জন্ম-মৃত্যুর সময় কোনো জাতের চিহ্ন ধারণ করে না। তার মানে, যাওয়া কিংবা আসার বেলায় কারও কোনো জাতিচিহ্ন থাকে না। এই বিচারে মানুষের জাত-ধর্মগত ভেদাভেদ অবান্তর। তার কাছে মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ। তাই লালন শাহ ওপরের কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন : মানবধর্ম কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রশ্ন: ‘মানবধর্ম’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: জাত-পাতের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয় মানুষ ভাবাই মানবধর্ম বোঝানো হয়েছে।
মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ। এসব জাত-পাত মানুষের বানানো। কারণ, কেউ তসবি বা মালা পরলে যদি ভিন্ন জাতের হয় তবে জন্ম-মৃত্যুকালে কেউ এসব ধারণ করে থাকে না কেন? এর কারণ, তখন জাত-ধর্ম বলতে কিছুই থাকে না। সব মানুষ সমান। সব মানুষ একই রক্ত-মাংসে গড়া। সবার একটাই পরিচয় সে মানুষ, একটাই ধর্ম সবার মানবধর্ম।

প্রশ্ন: লালন ফকিরকে মানবতাবাদী মরমি সাধক বলা হয় কেন? 
উত্তর: হাজার হাজার মানবতার গান লেখা ও সুর দেওয়ার জন্য লালন ফকিরকে মানবতাবাদী মরমি সাধক বলা হয়।
লালন একজন মানবতাবাদী মরমি সাধক। লালন ফকির (১৭৭২-১৮৯০) সাধক সিরাজ সাঁইয়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লালন সাঁই বা লালন শাহ নামে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি অসংখ্য আধ্যাত্মিক গান রচনা করে মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগিয়ে তোলেন। অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না, পড়তে ও জানতেন না। শুধু নিজের চিন্তা ও সাধনায় বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেন। তিনি তার গানের মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, বাংলা
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর