ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

নিউইয়র্ক থেকে আরজ মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ এএম
নিউইয়র্ক থেকে আরজ মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়
নিউইয়র্কে আরজ আলী মাতুব্বরের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আরজ আলী মাতব্বরের মতাদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

জ্যাকসন হাইটসে গত ১৭ ডিসেম্বর (রবিবার) রাতে ওপেন আইজ আয়োজিত এ অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় বাঙালি জনসমাজের অন্তত অর্ধশত মুক্তমনা অংশগ্রহণ করেন। 

কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারীর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ও নাট্যকর তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ আয়োজনের সংগঠক সঞ্জীবন কুমার সরকার। 

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে নিউইয়র্কে আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মোৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। নিউইয়র্কে আজকে অত্যাধিক বৈরী আবহাওয়া চলছে। এর মধ্যে আপনারা যারা এখানে এসেছেন, তাদের পক্ষেই সম্ভব আরজ আলী মাতুব্বরের মতাদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।’

অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘তিনি সক্রেটিসের মতো প্রশ্ন করেছিলেন আমি কে? আমি কেন? আত্মার সঙ্গে আমার দেহের সম্পর্ক কি? পরকাল বলে কি কিছু আছে? নিজেকে জানার জন্যই তার এসব প্রশ্ন। তিনি সত্যের সন্ধানে সারাটি জীবন অতিবাহিত করেছেন। যে সত্য জেনেছেন তা জীবনে ধারণ করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্য সর্বজনীন নয়। সত্য আপেক্ষিক, সত্যের চেহারা সবার কাছে এক রকম নয়। তবে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে, উত্তর খোঁজাই সত্য সন্ধান।’

অনুষ্ঠানে গবেষক জুয়েল মালিক বলেন, ‘বাংলাদেশের বাঙালির এক জীবনধর্মী দার্শনিক আকর কথা বলে গেছেন। সত্যের সন্ধান করেছেন। প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যুকে গীতকে মিথকে একপাশে ঠেলে দিয়ে বিজ্ঞানমনস্কতার জয় গান গেয়েছেন। আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বাস করে বিজ্ঞানের সব সুবিধা গ্রহণ করে চেতনায় মধ্যযুগীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণ করে আমরা গোঁজামিল ও সমঝোতা করে পদে পদে বিপদ ডেকে আনছি। আরজ আলী মাতব্বর গণিতকে বিজ্ঞানকে বিবর্তনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আজ তার সৎ কর্মঠ চিন্তাশীল বিজ্ঞানমনস্ক এই চিন্তক প্রকৃতি ধারণ করে গড়ে ওঠা মন-মননের চর্চা করেছেন, যা আজ আমরা করতে বিব্রত হই। তাই আসুন আরোজিও চেতনায় দীপ্ত হয়ে প্রশ্ন করতে শিখি বিজ্ঞানকে মেনে নিই। মিথ এবং গল্পকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বাস্তব জীবনে প্রকৃতির জ্ঞান ধারণ করি।’

অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করেন সংগঠক ও রাজনীতিবিদ জাকির হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক আমানউদ্দৌলা, মাহমুদ মেনন, সাগর লোহানি, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন এবং মাহবুব রহমান। 

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন। ব্লগার শুভ ডি কস্টা। বেঙ্গলি ক্লাবের সভাপতি দিনেশ চন্দ্র মজুমদার। আবৃত্তি করেন ক্লারা রোজারিও। 

বক্তব্যে দীলিপ কুমার মোদক বলেন, ‘বিশ্বাস কখনো উত্তর দেয় না, বরং প্রশ্ন করাকে বন্ধ করে দেয়। যুক্তি ও বাস্তবতার আলোকে জীবনকে জানা ও চেনাই ছিল তার দর্শনের মূল প্রতিপাদ্য। যা আমাদের আজকের সমাজের জন্য খুবই অপরিহার্য।’

মুক্তমনা বক্তা তানভীর কায়সার বলেন, ‘আরজ আলী মাতব্বরের অসংখ্য গুণাবলী রয়েছে সেই বিষয়ে শুধু আলোচনা না করে আমাদের উচিত তার মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সংকল্প গ্রহণ করা। তার জীবনে ধারণ করা অসাম্প্রদায়িকতা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের মুক্তি অভিসম্ভাব্য। তবে কোন নির্দিষ্টের ধর্মের অনুসারীর পক্ষে পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক হওয়া সম্ভব নয়।’

তোফাজ্জল লিটন/অমিয়/

সিঙ্গাপুরে গাড়িচাপায় বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১১:০১ এএম
সিঙ্গাপুরে গাড়িচাপায় বাংলাদেশি নিহত
মো. শাহীন খান

সিঙ্গাপুরে ময়লাবাহী গাড়িচাপায় মো. শাহীন খান (৪০) নামের এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে সিঙ্গাপুর শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শাহীন খান ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের পুরুড়া গ্রামের নুর হোসেন খানের ছেলে।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন শাহীনের চাচাতো ভাই আশরাফুল আলম খান। 

তিনি জানান, প্রায় ১০ বছর আগে শাহীন কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। এর মধ্যে কয়েক দফায় তিনি দেশে আসেন। বৃহস্পতিবার শাহীন কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সিঙ্গাপুর শহরে ময়লাবাহী গাড়িচাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদার বলেন, ‘নিহত শাহীনের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/ইসরাত চৈতী/   

নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২ লাখ ডলারের বই বিক্রি

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২ লাখ ডলারের বই বিক্রি
নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৩ দিনে দুই লাখ ডলারের বাংলা বই বিক্রি করেছেন ৪১ জন প্রকাশক। সোমবার (২৭ মে) রাতে শেষ হয়েছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ৪ দিনের এই বইমেলায় ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। 

গত শুক্রবার (২৪ মে) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বইমেলা উদ্বোধনের পর বই বিক্রির সঙ্গে চলে কবিতা পাঠ, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের এ আয়োজন পরিণত হয় বিশ্ব বাঙালির মিলন উৎসবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘শেষ হলো বাঙালি অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। মেলা উদ্বোধনের পর প্রতিদিন এসেছি এখানে। যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর বাংলাদেশ- এ কথাটির সত্যতা পুনর্বার আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বইমেলায়। এ আয়োজন বিশ্ব বাঙালি এক মিলনস্থল হয়ে উঠেছে।’

নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ‘মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’। এর আর্থিক মূল্যমান ৩ হাজার ডলার। এবার এই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। 

তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উদ্বোধন করতে ২০০৪ সালে একবার এসেছিলাম, সেবার যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরে বইমেলা হয়েছিল, আমিও গিয়েছিলাম নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, লস এঞ্জেলস এবং ডালাসে। আমি দেখেছি বাঙালিদের মধ্যে এক ঐক্যের সুর গ্রথিত করেছে এই বইমেলা। সেই বইমেলা আমাকে পুরস্কার দিয়েছে। আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি, আনন্দ লাগছে খুব।’

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, “প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে আসা প্রকাশকদের বিনামূল্যে বইমেলা স্টল দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের মধ্য থেকে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয় ‘চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশক পুরস্কার’। এক হাজার ডলার মূল্যমানের এ পুরস্কার পেয়েছেন সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ও সম্পাদক  ফরিদ আহমেদ। প্রকাশকরা অত্যন্ত খুশি। চার দিনের বইমেলার প্রথম দিন ছিল উদ্বোধন। তারপর তিন দিনে ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা বিক্রি করেছে ২ লাখ ডলারের বাংলা বই।”

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক হাসান ফেরদৌস বলেন, ‘বাংলাদেশ, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কলকাতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে মেলায় এসেছেন সাহিত্যিক, প্রকাশক এবং দর্শনার্থীরা। বিতর্ক, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একক সঙ্গীতানুষ্ঠান দর্শকদের আনন্দিত করেছে। আমার কাছে এবারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল নতুন প্রজন্মের ব্যাপক অংশগ্রহণ। আমরা আগামী মেলাগুলো তাদের হাতেই সমর্পণ করতে চাই। আগামী বছর একই স্থানে মে মাসের ২৩ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক এই বাংলা বইমেলার ৩৪তম আসর।’

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন জানান, বইমেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. অধ্যাপক আ আ ম স আরিফিন সিদ্দিক, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্য সচিব অভিনেত্রী সারা জাকের এবং অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটনসহ শতাধিক গুণীজন। একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লিলি ইসলাম এবং নিরুপমা রহমান।

সালমান/

বাহরাইনে আন্তর্জাতিক দূতাবাস বাজার-২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১০:০৭ এএম
বাহরাইনে আন্তর্জাতিক দূতাবাস বাজার-২০২৪ অনুষ্ঠিত

বাহরাইনের শিশু ও মাতৃকল্যাণ সোসাইটির (Children and Mothers’ Welfare Society) সদর দপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক দূতাবাস বাজার-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় আর্টস কাউন্সিলের (National Council of Arts) প্রেসিডেন্টের সহধর্মিণী শাইখা লুলু আল-কারীমাহ এ মেলার উদ্বোধন করেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস অন্যান্য বিদেশি দূতাবাসের সঙ্গে এই মেলায় অংশ নিয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েসের সহধর্মিণী প্রীতি খাঁন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের নিয়ে এ মেলায় বাংলাদেশ স্টল পরিচালনা করেন।

বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিকদের স্ত্রীরা, কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বাহরাইন রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলে।

এ মেলায় বাহরাইনে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস তাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য বা খাবারের স্টল নিয়ে বসে।

এর মধ্যে বাংলাদেশের হস্তশিল্প, নকশি কাঁথা, হরেক রকমের হাতের তৈরি পাটজাত পণ্য, বাংলাদেশের জনপ্রিয় তৈরি পোশাক, বিশেষ করে জামদানি শাড়ি কেনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্টলে বিদেশিদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ স্টলসহ এ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

তিনি বলেন, মানবতার কল্যাণে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রতি বছরই শিশু ও মাতৃকল্যাণ সোসাইটি এ মেলার আয়োজন করে থাকে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রকম অনন্য উদ্যোগে বাংলাদেশ স্টলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা মানবিক কূটনীতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, আতিথেয়তা ও ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ বাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

অমিয়/

কাতারের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
কাতারের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আলী বিন সাঈদ বিন সামিক আল মাররির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আলী বিন সাঈদ বিন সামিক আল মাররির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

সোমবার (২৭ মে) কাতারে দোহায় সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি কর্মীদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী এ বৈঠক আয়োজনের জন্য কাতার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে গত এপ্রিলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ঐতিহাসিক সফরের কথা উল্লেখ করেন।

কাতারের শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, আইটি, ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি টিটিসি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে প্রচুর দক্ষ কর্মী গড়ে উঠছে। বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাময় জনবল কাতারের যেকোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। 

দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি আধা দক্ষ ও শ্রমভিত্তিক কর্মী নেওয়া অব্যাহত রাখার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। 

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে ইমাম এবং মুয়াজ্জিন নিয়োগের জন্যও অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।

কাতারের শ্রমমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে তারা জনবল নেওয়া অব্যাহত রাখতে চান। তবে নির্মাণ খাত এবং এ সংশ্লিষ্ট কায়িক কর্মী সংক্রান্ত তাদের বর্তমান চাহিদা বেশ কম। 

তারা বর্তমানে বাংলাদেশ হতে স্বাস্থ্যসবা, হসপিটালিটি, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি খাতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে আগ্রহী। 

বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী কাতারের মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্থানীয় আইনকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং মেনে চলার জন্য দূতাবাস থেকে সব সময় সচেতন করা হয়। 

কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ সময় দূতাবাসের চলমান সচেতনতামূলক কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। 

কাতারের শ্রমমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলার প্রবণতা সন্তোষজনক।

বাংলাদেশে কাতার ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম, দীর্ঘসূত্রতা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরলে কাতারের শ্রমমন্ত্রী কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানি, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল আলম, দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর, কাউন্সিলর তন্ময় ইসলামসহ কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম/অমিয়/

নিউইয়র্কে ৪ দিনের বাংলা বইমেলা শুরু শুক্রবার

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম
নিউইয়র্কে ৪ দিনের বাংলা বইমেলা শুরু শুক্রবার

যুক্তরাষ্ট্রে চার দিনব্যাপী ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ শুরু হতে যাচ্ছে শুক্রবার (২৪ মে) । 

বাংলা ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বাংলা বই, ভাষা ও সংস্কৃতির বৃহত্তম এ বইমেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখক ও সাহিত্যপ্রেমীরা অংশ নেবেন। 

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ বইমেলা বসবে বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে। 

৪০টি প্রকাশনা প্রায় ১০ হাজার নতুন বই নিয়ে উপস্থিত থাকবে ৩৩তম এই আয়োজনে। 

লেখক, অতিথি ও প্রকাশকদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। 

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, বাংলা একাডেমির মতো ভবনের সম্মুখে সুবিশাল চত্বরে নির্মিত হয়েছে বই বিক্রয়ের জন্য সব স্টল। সঙ্গে থাকছে একটি শিশুমঞ্চ ও লেখককুঞ্জ। 

উদ্বোধনী দিন মূল অনুষ্ঠানের আগে থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চে কনসার্ট। নিউইয়র্কের খ্যাতনামা শিল্পী তাজুল ইমামের পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় সন্ধ্যায় গানের এ আসরে অংশ নেবে নিউইয়র্কের একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এ প্রসঙ্গে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, এ বছরের বইমেলার একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্য জেনোসাইড ’৭১ এই শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করতে ইতোমধ্যেই নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। জেনোসাইড এখনো কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি, এই শীর্ষক একটি সেমিনারও থাকছে অনুষ্ঠানসূচিতে। 

বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মেলার তৃতীয় দিন (রবিবার) একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানের শেষদিন (সোমবার) থাকবে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর-যুবা উৎসব, তারুণ্যের উল্লাস। নিউইয়র্ক বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হবে।

পপি/