লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে দিবসের কর্মসূচি সূচনা করেন।
পরবর্তী সময়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
পরে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর পর স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
লেবাননে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আলোচনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চরম বৈষম্য ও অত্যাচার-নিপীড়ন হতে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সময়ে নানাবিধ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতার মর্মার্থ অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অধিকতর অবদান রাখার জন্য লেবাননে বসবাসরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে আহ্বান জানান।
অমিয়/