অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া গত ১৮ এপ্রিল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে একটি বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদীয় সচিব রবার্ট অলিফ্যান্ট দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কানাডার সিনেটর, সংসদ সদস্য, অটোয়াস্থ কূটনৈতিক মিশনগুলোর প্রধান এবং বাংলাদেশি-কানাডিয়ানসহ ১৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কানাডা ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়।

উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্য সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক লাখের অধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানদের অবদানের প্রশংসা করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।

ড. খলিলুর রহমান হাইকমিশনার হিসেবে তার গত সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য মাইলফলকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও টরন্টোর মধ্যে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু করতে পারায় দুই দেশের যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যে গতিশীলতা এসেছে। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ কর্তৃক কানাডাকে বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কারিগরি দিকগুলো আলোচনা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানান তিনি। এ ছাড়া কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধির নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফরকে তিনি স্বাগত জানান। 

পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংলাপের মাধ্যমে কানাডা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত খুনি নুর চৌধুরীকে ডিপোর্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত দিয়ে আদালতের রায় কার্যকর করতে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।   

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রবার্ট অলিফ্যান্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কানাডার সমর্থন এবং পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের সফল উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মডেল হিসেবে কাজ করছে। তিনি মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে মানবিক কারণে অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

রবার্ট অলিফ্যান্ট বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে টেকসই ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-সহ অন্যান্য ফোরামে কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি কানাডার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশি-কানাডিয়ানদের অবদানের কথাও স্বীকার করেন। বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ককে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করতে হাইকমিশনারের মেয়াদকালে বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তিনি তাকে  ধন্যবাদ জানান।

কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের (সিবিপিএফজি) চেয়ারপারসনসহ অন্য সংসদ সদস্য ও সিনেটর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার ও সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন। তারা হাইকমিশনারকে তার মেয়াদকালে পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপকে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অতিথিদের সম্মানে হাইকমিশন আয়োজিত নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। পবিত্র রমজান মাসের কারণে ২৬ মার্চের পরিবর্তে ১৮ এপ্রিল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সালমান/

লন্ডনে গ্রোথ স্ট্রাটেজি প্রোগ্রামে ৭ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
লন্ডনে গ্রোথ স্ট্রাটেজি প্রোগ্রামে ৭ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা
ছবি : সংগৃহীত

লন্ডন বিজনেস স্কুল সম্প্রতি গ্রোথ স্ট্রাটেজির ওপর এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। যেখানে এন্ট্রোপ্রেনারস অর্গানাইজেশন (ইও) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ৭ সদস্য অংশ নেয়। একজন উদ্যোক্তাকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি কিংবা তথ্যগত যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সে বিষয়ে কর্মশালায় বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৭৭ জন উদ্যোক্তা এই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় অংশ নেন। জন মুলিন্সের মতো বিশ্বখ্যাত অধ্যাপকদের নেতৃত্বে কর্মশালায় ক্লাসরুম সেশন, কেস স্টাডি এবং গ্রুপ স্টাডিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সাফল্য এবং দক্ষতা অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের মুগ্ধ করেছে।

বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন- এপেক্স প্রোপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাইক কাজী, অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির, ইভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ্ রাঈদ চৌধুরী, অ্যালটেক অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আম্মার মামুন, অ্যারিস্টো ফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, ফখর উদ্দিন ব্রাদার্সের পরিচালক ফখরউস সালেহীন নাহিয়ান এবং অপসোনিন ফার্মার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জুবায়ের খান।

লন্ডন বিজনেস স্কুলের শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বলেন, ‘এখানে হাতে কলমে শেখা অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান উদ্যোক্তাযাত্রার পথকে সমৃদ্ধ করবে। আমরা যা শিখেছি তা নিজের প্রতিষ্ঠান এবং দেশের শিল্পায়নে কাজে লাগাতে পারব।’

এন্ট্রোপ্রেনারস অর্গানাইজেশন একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। যা ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে ৭৬টি দেশের ১৮ হাজার উদ্যোক্তা এর সদস্য। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৫।

সালমান/

খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
বহিষ্কৃত খান শওকত। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের শূন্য পদ পূরণ করতে বলেছেন। তার নির্দেশ মতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ২৫ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে জায়গা দেন। নতুন কমিটিতে উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে ছিলেন খান শওকত। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৪ মে) খান শওকতকে বহিষ্কার করা হয়।

নতুন কমিটিতে ১৩ জন সম্পাদকীয় এবং ১২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য বলে জানা গেছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ ছিল, খান শওকত জামায়াত ও বিএনপি ঘেঁষা সাম্প্রদায়িক মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সাম্প্রদায়িকতার কথা ছড়িয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উপ-প্রচার সম্পাদক পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছি।’

বহিষ্কৃত খান শওকত বলেন, ‘আমি নোংরা রাজনীতির শিকার। আমার সঙ্গে ঈর্ষাবশত এ কাজ করা হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখে আয়োজক ও অভিবাসীদের বলেছি, পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করতে। কাউকে জোর করিনি অনুষ্ঠানে না যেতে। মুসলমানদের পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি মুসলমানদের পালন করা উচিত নয় বলে জানিয়েছি। আমি সাম্প্রদায়িকতা করলাম কীভাবে?’

কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক মাহবুব রহমান বলেন, ‘খান শওকত পহেলা বৈশাখের আগে এ নিয়ে বিরোধিতা করে ফেসবুকে ও মানুষকে ফোন করে সর্বজনীন এ উৎসব সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার চালিয়েছেন। আমার পোস্টে এক মন্তব্যে তার সাম্প্রদায়িক এবং বাংলা সংস্কৃতিবিরোধী মনোভাবের বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। গত বছর নিউইয়র্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঠিক তারিখে হওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’

সালমান/

ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষভাস্কর্য উন্মোচন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষভাস্কর্য উন্মোচন
ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে গত রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন, বিশ্ব মানবতার প্রতীক বিশ্ববন্ধু। শেখ মুজিব মুক্তিকামী, স্বাধীনতাকামী, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অবিনাশী আলোকবর্তিকা।’

রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। ভিয়েনায় দূতাবাসটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পত্তি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সেমিনার ও মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সেমিনার ও মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প
বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প ও সেমিনার

বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প ও সেমিনার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আল ইসলাহ সোসাইটি হল, মুহাররাকে বাহরাইনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সচেতনতা বাড়াতে এ ক্যাম্প ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বাহরাইনের আইনকানুন, ট্রাফিক আইন, ভিসা সংশোধনের পদ্ধতি, শ্রমিকদের অধিকার এবং সাধারণ স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেমিনারে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এলএমআরএ), পূর্ত মন্ত্রণালয়, ট্রাফিক জেনারেল ডিরেক্টরেট (জিডিটি), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

বাহরাইনের শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজনের জন্য দূতাবাসের প্রশংসা করেন এবং এ প্রচারণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।

অন্যদিকে LMRA প্রতিনিধি প্রবাসীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য যে পরিষেবাগুলো দেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরেন।

পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ট্রাফিক জেনারেল ডিরেক্টরেটের (জিডিটি) প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে যৌথভাবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তার বিধিবিধান মেনে চলার ওপর জোর দেন।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা প্রবাসীদের কল্যাণে তাদের সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে বিদেশি অতিথি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে দূতাবাস কর্তৃক এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজনের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

তিনি বাহরাইনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সব প্রতিনিধিদের সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়ার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. মাহফুজুর রহমান।

দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা সেমিনার ও কনস্যুলার ক্যাম্পে অংশ নেন।

সচেতনতামূলক সেমিনার ছাড়াও দূতাবাস দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলার সার্ভিস ক্যাম্পের আয়োজন করে। এতে মুহাররাক এবং আশপাশের এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট সেবা, জন্মনিবন্ধন, আইনি সহায়তা, ওয়েজ আর্নার্স সদস্যপদ নিবন্ধন, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শসহ বিভিন্ন কনস্যুলার এবং শ্রমকল্যাণ সেবা খুব সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

এ ধরনের কনসুল্যার সেবা বাহরাইনের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় পর্যায়ক্রমে আয়োজন করা হবে।

অমিয়/

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশি নিহত
কামাল হোসেন ওরফে আসিফ ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত কামাল হোসেন ওরফে আসিফ ইকবালের (৫০) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গোহাট্টা গ্রামে। 

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হিয়াভুসা এলাকার নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার সময় স্থানীয় ডাকাত দল হানা দিলে পালানোর সময় হামলায় নিহত হন তিনি।

নিহতের ভাগিনা আরাফাত হোসেন সিফাত জানান, কামাল মামা দক্ষিণ আফ্রিকার হিয়াভুসা এলাকায় একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দোকানটিতে ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা তার মাথা পলিথিন দিয়ে আটকিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলায় সোনারগাঁয়ের এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।