ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
বহিষ্কৃত খান শওকত। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের শূন্য পদ পূরণ করতে বলেছেন। তার নির্দেশ মতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ২৫ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে জায়গা দেন। নতুন কমিটিতে উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে ছিলেন খান শওকত। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৪ মে) খান শওকতকে বহিষ্কার করা হয়।

নতুন কমিটিতে ১৩ জন সম্পাদকীয় এবং ১২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য বলে জানা গেছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ ছিল, খান শওকত জামায়াত ও বিএনপি ঘেঁষা সাম্প্রদায়িক মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সাম্প্রদায়িকতার কথা ছড়িয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উপ-প্রচার সম্পাদক পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছি।’

বহিষ্কৃত খান শওকত বলেন, ‘আমি নোংরা রাজনীতির শিকার। আমার সঙ্গে ঈর্ষাবশত এ কাজ করা হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখে আয়োজক ও অভিবাসীদের বলেছি, পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করতে। কাউকে জোর করিনি অনুষ্ঠানে না যেতে। মুসলমানদের পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি মুসলমানদের পালন করা উচিত নয় বলে জানিয়েছি। আমি সাম্প্রদায়িকতা করলাম কীভাবে?’

কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক মাহবুব রহমান বলেন, ‘খান শওকত পহেলা বৈশাখের আগে এ নিয়ে বিরোধিতা করে ফেসবুকে ও মানুষকে ফোন করে সর্বজনীন এ উৎসব সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার চালিয়েছেন। আমার পোস্টে এক মন্তব্যে তার সাম্প্রদায়িক এবং বাংলা সংস্কৃতিবিরোধী মনোভাবের বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। গত বছর নিউইয়র্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঠিক তারিখে হওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’

সালমান/

মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা
মেলবোর্ন জাতীয়তাবাদী দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায় দলের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবীর পলের মেলবোর্ন গমন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়।

গত রবিবার (১৫) জুন সন্ধ্যায় মেলবোর্নের মধুমতি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খানের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার সদস্য সচিব আব্দুল রব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজাউল কবীর পল। তিনি তার বক্তব্যে যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রামের রূপরেখা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রথমেই আমি অস্ট্রেলিয়া বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল-সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। তারা ব্যস্ত প্রবাসজীবনের মাঝেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই পর্বে একাত্ম হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসে থেকে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো বিগত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতৃত্বে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মাঝে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুবদলকে আরও সংগঠিত, সক্রিয় ও দৃঢ়চেতা হতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন এবং নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন। সবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি প্রথম ভালবাসার মুহূর্তগুলো স্থান পায় সবার বক্তব্যে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমর শরীফ শিহান, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ বদিউজ্জামান শিপন, বিএনপি নেতা রাশিদুল আমিন মুনির, বিএনপি নেতা ওমর, যুবদল নেতা শাকিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. রহমত উল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এলান, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর কবির চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ সরকার নিলয়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সদস্য খাইরুল সাদমান, সদস্য মির্জা সাইফুল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলাম-সহ আরও অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা বিস্তারে সার্ক দেশগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা বিস্তারে সার্ক দেশগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত

মাতৃভাষায় সাংবাদিকতার সুরক্ষা ও বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

দুই দিনব্যাপী ‘মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা’বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে গৃহীত সাত দফা ঘোষণার মাধ্যমে ‘কাঠমান্ডু ডিক্লারেশনে’ এ আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষণাপত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের নীতিগত অঙ্গীকার ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় ও আদিবাসী ভাষাভিত্তিক গণমাধ্যমের বিকাশ ও টিকে থাকার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত ভাষায় সাংবাদিকতাকে সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসব সম্প্রদায় যেন নিজেদের কথা বলার ও প্রাসঙ্গিক তথ্য পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্ম পায়, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ন্যাশনাল ফোরাম অব নিউয়ার জার্নালিস্টসের (এনএফএনজে) উদ্যোগে এবং সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (এসজেএফ) ও ফেডারেশন অব নেপাল ইন্ডিজেনাস জার্নালিস্টসের (ফনিজ) সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সার্ক অঞ্চল থেকে আসা সাংবাদিকরা অংশ নেন।

সম্মেলনটি শুক্রবার (১৩ জুন) উদ্বোধন করেন নেপালের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং শনিবার (১৪ জুন) সমাপ্তি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যপুর থিমি মিউনিসিপ্যালিটির মেয়র সুরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ।

ঘোষণায় মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং ফেলোশিপ আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকতায় অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা ও দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে মেয়র সুরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ বলেন, এই সম্মেলন মাতৃভাষা সাংবাদিকতা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

অনুষ্ঠানে সার্ক জার্নালিস্টস ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজু লামা সম্মেলনের গৃহীত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন কামনা করেন।

ফনিজ সভাপতি লাকি চৌধুরী, এসজেএফের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. আবদুর রহমান (বাংলাদেশ), বিহার চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. শশী ভূষণ কুমার, সম্মেলন সমন্বয়ক সুনীল মহার্জন এবং এনএফএনজের মহাসচিব কেকে মানান্ধর তাদের বক্তব্যে মাতৃভাষায় সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে এবং জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।

পপি/

স্টকহোমে চার দিন: ঈদ, ইতিহাস আর হৃদয়ছোঁয়া এক ভ্রমণ

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:২০ পিএম
স্টকহোমে চার দিন: ঈদ, ইতিহাস আর হৃদয়ছোঁয়া এক ভ্রমণ
ছবি: লেখক

সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। রাত ৯টায় নতুন এক শহরের হাতছানি। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান গ্রীষ্মের এই সময়েও আকাশে রয়ে গেছে সূর্যের কোমল আলো। আমি ও আমার স্ত্রী সোনিয়া ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর থেকে সুইডেনের স্টকহোমে আরলান্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলাম। নির্জন কিন্তু রঙিন আলোয় ভাসমান এই রাতের শহর যেন আমাদের অপেক্ষাতেই ছিল।

আমাদের বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতেই চোখে সামনে হাজির প্রিয় শরীফ আহমেদ লস্কর ভাই ও ভাবী। সুইডেনে ৪১ বছর ধরে থাকা এই প্রিয় মানুষদ্বয় নিজেই গাড়ি নিয়ে এসেছেন আমাদের নিতে। গাড়িতে উঠতেই মনে হলো, এটি শুধু কোনো শহরের দিকে যাত্রা নয় - এ যেন অতীত, বর্তমান আর অচেনা ভবিষ্যতের এক অন্তরঙ্গ আবেগের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা।

শান্ত রাস্তা, গাছপালা আর আলো-ছায়ার খেলা আমাদের গ্রহণ করে নিঃশব্দে! শরীফ ভাইয়ের মুখে শুধু সুইডেনের গল্প। সুইডেনের রাজতন্ত্র, নাগরিক সচেতনতা, প্রবাস জীবনের আবেগ আর এই শহরের ইতিহাস। তাদের সান্নিধ্যে পথ যেন হয়ে উঠেছিল এক উষ্ণ কবিতা।

পরের দিন শুক্রবার ঈদের সকাল। আমি প্রথমবার স্টকহোমে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। আবহাওয়া মেঘলা, হালকা ঠান্ডা, আর বাতাসে এক নিঃশব্দ আনন্দের গন্ধ। ঈদের নামাজ আদায় করি ব্রেদেং মসজিদে, যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের আনন্দে পরিপূর্ণ। মনে হচ্ছিল, শহরের ভেতরে একখণ্ড বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে।

নামাজ শেষে প্রিয়জনদের সালাম, হাসি, কোলাকুলি - সব কিছু যেন হৃদয়ের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা ভালোবাসার ভাষা। দিনভর ঘুরে বেড়াই চার প্রবাসী বন্ধুর বাড়ি। সেমাই, পোলাও, রোস্ট আর মেহমানদারিতে ঈদের সেই চেনা ঘ্রাণ যেন হৃদয়ের তৃপ্তি হয়ে ওঠে। প্রবাসে থেকেও এ যেন পরিবার, আত্মীয়তা ও দেশকে নতুন করে পাওয়া।

রাত আসে আনন্দের আরেক রূপ নিয়ে। স্টকহোম বোট ক্লাবে অংশ নিই একটি প্রাণবন্ত ঈদ পার্টিতে।

কাকতালীয়ভাবে ঈদের সেই আনন্দময় দিনটিই ছিল সুইডেনের জাতীয় দিবস (৬ জুন)। এই দিনে ইতিহাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় স্মরণ করা হয় ১৫২৩ সালে গুস্তাভ ভাসার রাজ্যাভিষেক, আর ১৮০৯ সালের সংবিধান প্রণয়ন। সেদিন আমি সৌভাগ্যক্রমে রাজা কার্ল গুস্তাফ ষোড়শ, রানি সিলভিয়া, ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া, প্রিন্স ড্যানিয়েল, প্রিন্সেস এসতেল্লা, প্রিন্স অসকার, প্রিন্স কার্ল ফিলিপ এবং প্রিন্সেস মেডেলাইনকে ড্রটনিংহোম প্যালেসের এক রাষ্ট্রীয় আয়োজনে সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয়। বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত, পতাকার ঢেউ, শিশুদের নৃত্যগীত - সব মিলিয়ে এক অপার উৎসবের আবহ।

স্টকহোম শুধু একটি দেশের রাজধানী নয় - এটি ইউরোপের ইতিহাস, নান্দনিকতা ও রাষ্ট্রনৈতিক ভারসাম্যের প্রতীক। ১৪টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই শহরের চারপাশে মেলারেন হ্রদ ও বাল্টিক সাগরের সৌন্দর্য, যা একে দিয়েছে “ভেনিস অব দ্য নর্থ” উপাধি। এখানেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান - আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী স্টকহোম সিটি হলে।

এর পরের দিন শনিবার সকাল থেকে শুরু হলো আমাদের স্টকহোম শহরে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন। দিনভর এই ভ্রমণে আমার সহযাত্রী ছিলেন সুইডেনে ৩৮ বছর ধরে বসবাসরত, প্রবাসী সমাজে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু ভাই। তিনি শুধু স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন পরিচিত মুখই নন, বরং একজন উষ্ণ হৃদয়ের মানুষ, যিনি প্রবাসীদের পাশে থাকেন নিরলসভাবে। তার গাড়িতে চড়ে আমরা শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলি - নানা দর্শনীয় স্থান আর ইতিহাসের ছোঁয়া নিতে। তার অভিজ্ঞতার বর্ণনায় স্টকহোম শহরের প্রতিটি ইট-পাথরের মধ্যেই যেন জীবন্ত হয়ে উঠছিল এক দীর্ঘ প্রবাস ইতিহাস।

বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সময় দেন আরেক গর্বিত প্রবাসী নাহিদ হাসান। যিনি “শান্তি” নামে আটটি রেস্টুরেন্টের কর্ণধার। তার গাড়িতে চড়ে আমি যেন শুধু এক শহর দেখিনি, দেখেছি একজন উদ্যোক্তার দৃঢ় পথচলা। তার হাসিমুখ, আত্মবিশ্বাস, আর শহরের প্রতিটি অলিগলি চিনে নেওয়ার গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে।

রবিবার দুপুরে আমরা দাওয়াতে যাই স্বপন ভাইয়ের বাসায়। যার আতিথেয়তায় ছিল দেশি আবেগের নিখুঁত মিলন। ঘরোয়া পরিবেশ, হাসি আর পরিচিত খাবারের ঘ্রাণ - মনে হচ্ছিল, প্রবাসে এসেও যেন এক টুকরো বাংলাদেশকে ছুঁয়ে ফেললাম।

রাতের পর্বটি ছিল আরেক সম্মানিত প্রবাসী নেতার সান্নিধ্যে। নাজমুল আবেদীন মোহন ভাই, যিনি স্থানীয় কমিউনিটির অগ্রজ, একজন প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তার আমন্ত্রণে আমরা উপস্থিত হই তার রেস্টুরেন্টে। কথা হয় বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রবাসের দায়িত্ববোধ ও আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে। এইসব মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, আমরা কেবল খাবার খেতে নয় - ভবিষ্যতের কিছু স্বপ্ন একসঙ্গে ভাগ করে নিতে এসেছি।

এই দুই দিন আমরা ঘুরে দেখেছি স্টকহোমের প্রাণ-খ্যাত কিছু স্থান। প্রথমেই পা রাখি গামলা স্তান-বে (Gamla Stan)। এটি স্টকহোমের প্রাচীনতম শহরকেন্দ্রে। এখানে রাজপ্রাসাদ, আঁকাবাঁকা পাথরের গলি আর রাজকীয় প্রহরীদের কুচকাওয়াজ যেন আপনাকে শতাব্দী পেছনে নিয়ে যায়। প্রতিটি দেওয়ালে, প্রতিটি অলিতে যেন লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাসের গল্প।

এরপর যাই ভাসা মিউজিয়ামে (Vasa Museum)। ১৬২৮ সালে সমুদ্রযাত্রার প্রথম দিনেই ডুবে যাওয়া বিশাল যুদ্ধজাহাজ “ভাসা” এখানেই সংরক্ষিত। আজও সেটি দাঁড়িয়ে আছে - একজন ব্যর্থতা থেকে শেখা ইতিহাসের নিদর্শন হয়ে।

স্ক্যানসেন ওপেন-এয়ার মিউজিয়ামে দেখি সুইডেনের পুরনো গ্রামীণ জীবন, কুটির শিল্প, গৃহস্থালি, কৃষিকাজ আর সংস্কৃতির বাস্তব নিদর্শন। আর ড্রটনিংহোম প্যালেসে এসে আমরা পরিচিত হই সুইডিশ রাজপরিবারের বর্তমান বাসভবনের সঙ্গে - যা ইউরোপের আধুনিক রাজতন্ত্রের এক প্রতীক।

৯ জুন সকাল সাড়ে সাতটায় ছিল আমাদের ফিরতি ফ্লাইট স্টকহোম থেকে হেলসিংকির উদ্দেশ্যে। শরীফ আহমেদ লস্কর ভাই সেদিনের মতো নিজের গাড়িতে করেই আমাদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে আন্তরিক বিদায় জানান। বিদায়ের সময় গাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম সেই স্টকহোমের দিকে, যে শহর আমাদের চার দিনের আশ্রয় ছিল - তবে আজ মনে হলো, সে যেন চিরদিনের আত্মীয়।

শহরের সৌন্দর্য যেমন মন ছুঁয়েছে, তার মানুষের আন্তরিকতা, ঈদের অনুভব, ইতিহাসের ভার আর নদীর ধারে সূর্যাস্ত - সব কিছু মিলে তৈরি করেছে এক অদ্বিতীয় অভিজ্ঞতা।

স্টকহোম আমার কাছে আর শুধু একটি শহর নয় - এটি একটা গল্প, একটা অনুভব, একটা স্মৃতির নাম।

অমিয়/

সুইডেনে ঈদুল আজহা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর প্রবাসজীবন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
সুইডেনে ঈদুল আজহা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর প্রবাসজীবন
ছবি: জামান সরকার

সুইডেনজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।

শুক্রবার (৬ জুন) দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আনন্দ ও ত্যাগের এই দিনে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমবেত হন নামাজের কাতারে।

সুইডেন, এক সময়কার ভাইকিং সভ্যতার আধুনিক উত্তরসূরি, আজ ইউরোপের অন্যতম শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও উন্নত রাষ্ট্র। আর এই দেশের হৃদয়ে অবস্থিত স্টকহোম - বিশ্বের অন্যতম পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও জলময় নগরী।

চমৎকার নকশায় গড়া এই শহরটি একদিকে যেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, তেমনি প্রযুক্তি, পরিবেশসচেতনতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও অনন্য এক মডেল।

সেই স্টকহোমেই আমি এবার প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছি, যা আমার ৩৬ বছরের প্রবাস জীবনে এক নতুন ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

গ্রীষ্মের মেঘলা আকাশ, হালকা ঠান্ডা হাওয়া আর স্নিগ্ধ সকাল - সব মিলিয়ে ঈদের দিনটিকে ঘিরে ছিল এক ভিন্ন অনুভব।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের উপস্থিতিতে স্টকহোমের ব্রেদেং, সিস্তা, ফিতিয়া, সেরহোলম্যান ও হালুনদার বিভিন্ন মসজিদ ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পরিণত হয় ঈদের মিলনমেলায়।

নামাজ শেষে কোলাকুলি, ছোটদের উচ্ছ্বাস, আর রঙিন পোশাকে সজ্জিত মুসল্লিদের ঢল যেন এক মুহূর্তে বাংলাদেশকে টেনে আনে এই দূর উত্তর ইউরোপে।

আমি ঈদের নামাজ আদায় করি স্টকহোমের ব্রেদেং মসজিদে। আমার সঙ্গে ছিলেন সুইডেনে ৪১ বছর ধরে বসবাসরত অভিজ্ঞ প্রবাসী শরীফ আহমেদ লস্কর, যিনি সুইডেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন শ্রদ্ধেয় নাম।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে থেকেও আমরা আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। ঈদ আমাদের আত্মিক বন্ধনের উপলক্ষ, যেখানে আমরা আবারও একে অপরের আপনজন হয়ে উঠি।’

ঈদের দিন দেখা হয় মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে। যিনি সুইডেনে ৩৭ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সবচেয়ে পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় মুখ।

তিনি বলেন, ‘এই ঈদে আমি দোয়া করি - বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন শান্তি, নিরাপত্তা ও ভালোবাসায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। সেইসঙ্গে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসুক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সামাজিক সুবিচার।’

সত্যিই, প্রবাসে থেকেও ঈদের এমন আনন্দময় পরিবেশ শুধু হৃদয়েই নয়, গেঁথে থাকে স্মৃতির গভীরে। এই উৎসবের উষ্ণতা, মানুষের ভালোবাসা আর মুহূর্তের আবেগ - সব মিলিয়ে এটি হয়ে ওঠে প্রবাসজীবনের সবচেয়ে মধুর স্মৃতিগুলোর একটি। সবাইকে ঈদ মোবারক।

অমিয়/

অস্ট্রেলিয়ায় জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
অস্ট্রেলিয়ায় জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখা, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সম্পাদক ওমর শরীফ শিহান এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জনাব আব্দুল রব। দোয়া পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা হাফেজ মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাহসী রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’-এর প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ধর্মভীরু মুসলমান। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার এবং ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি শহিদ জিয়ার রেখে যাওয়া আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। আজকের এই দিনে আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-অনতিবিলম্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পুনর্গঠনই হবে শহিদ জিয়ার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। অস্ট্রেলিয়াতে থেকেও আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের রূপকার। তিনি খাল খনন, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি বিপ্লব ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে একটি উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জনের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা আজও জাতির জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের স্থপতি।

সভাপতির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি আরিফ খান বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শবাদী পথপ্রদর্শক। তার নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আজও আমাদের পথ দেখায়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জালাল (কুমু) আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি ড. মো. শাহাব উদ্দিন, নিউজিল্যান্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সাঈদ আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রহমত-উল-ইসলাম, সাবেক সচিব ড. এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর, ভিক্টোরিয়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. তেলাল খান, রাশেদুল আমিন (মনির), রাশেদ সরকার, আব্দুল জলিল, মিলন খন্দকার, এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এলেন।

আলোচনায় বক্তারা শহিদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ ও দেশের জন্য তার অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।