ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ঘোষণা

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০১ এএম
নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টাইমস স্কয়ারে বাংলা বর্ষ ১৪৩১ বরণের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশি অভিবাসীরা। 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা শত আলোকিত মানুষের উপস্থিতিতে জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্টুরেন্টে সবার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ ফজলুর রহমান। 

আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ঘোষণা করে নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ার এবং জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজাতে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল শতাধিক কণ্ঠে বরণ করে নেওয়া হবে বাংলা নতুন বছরকে। 

ঘোষণার পর শুরু হয় গানের মহড়া। 

এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সভাপতি বিশ্বজিত সাহার সভাপতিত্বে ঘোষণা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন। 

এ সময় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ‍্যাপক হোসাইন কবির, অভিনেত্রী লুৎফুন নাহার লতা, শত কণ্ঠের মহড়া পরিচালক মহিতোষ তালুকদার তাপস প্রজন্ম ৭১ যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি শিবলী ছাদেক এবং আয়োজক সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক তানভীর কায়সার। 

অনুষ্ঠানে বর্ষবরণ ঘোষণার সময় সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, ‘নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ার এবং জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজাতে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল শতাধিক কণ্ঠে বরণ করে নেওয়া হবে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিরায়ত বাংলার সংস্কৃতি পরিবেশনা এবং বৈশাখী মেলায় উপস্থিত থাকবেন দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীরা।’

বাঙালির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন করা সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড। 

১৪৩০ বঙ্গাব্দ বরণের শত কণ্ঠের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহীতোষ তালুকদার তাপস। এবারও হবে তার পরিচালনায়। 

মহড়া শুরুর সময় তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইম স্কয়ারের পাদদেশে ১৪৩০ বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি আমাকে বিশ্ব বাঙালির কাছে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে। এজন্য আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এবার আমরা আশা করছি গত বছরকে ছাড়িয়ে যাব।’ 

অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনেত্রী লুৎফুন নাহার লতা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও অভিবাসীরা হৃদয়ে ধারণ ও লালন পালন করেন বাংলা সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শিল্পীর উপস্থিতি প্রমাণ করে এখানে যারা এসেছেন তারা প্রত্যেকে প্রকৃত সংস্কৃতি কর্মী। তাদের হাত ধরেই বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী।’ 

এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সভাপতি বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘এবার তিন স্তরবিশিষ্ট অংশগ্রহণকারী নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছি আমরা। অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে যুক্ত হবে পরিবারের শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা। নিজেদের পরিবারে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। এবার নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারকে সাজানো হবে রমনার বটমূলের আদলে।’ 

এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন বলেন, ‘গত বছরের ঐতিহাসিক বর্ষবরণ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করেছে। এবার আমরা প্রত্যাশা করছি যুক্তরাষ্ট্রের ৫২টি অঙ্গরাজ্যের বসবাসরত বাঙালি অভিবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার। ইতোমধ্যে ২৫টি অঙ্গরাজ্য বরণ অনুষ্ঠানের যুক্ত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমী অভিবাসীরা শত কণ্ঠের এই আয়োজনকে সহস্র কণ্ঠে নিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা করছি।’ 

ইসরাত চৈতি/অমিয়/

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

‘মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলা ২০২৪’-এ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শুক্রবার (২৬ জুলাই) মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কুয়ালালামপুরে প্যাভিলিয়ন দামানসারা হাইটসে ২২ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চলমান এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ কথা জানিয়েছে বাসস।

সোরিয়াতা রিসোর্সেস এবং আর্ট মার্কেট মালয়েশিয়া এ মেলা আয়োজন করে। মেলায় আর্ট, কারুশিল্প, পণ্যদ্রব্য এবং চিত্রপ্রদর্শনী হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হলো কাজাকিস্তান, হাঙ্গেরি, চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, মালদোভা, উগান্ডা এবং স্বাগতিক মালয়েশিয়া। 

মেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (ডব্লিউই)’, মালয়েশিয়া চ্যাপ্টার অংশগ্রহণ করছে। দুটি প্রদর্শনী বুথে বৈচিত্র্যময় পরিসরে বাংলাদেশি হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, গহনা, খাবার এবং প্রাণ ফুডসের খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করপোরেট কমিউনিকেশন ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার পরিচালক মোহাম্মদ শাহরীর মোহাম্মদ আলী, কাতার দূতাবাসের কাউন্সিলের ইব্রাহীম আল-শেরাইম, প্যাভিলিয়নের পরিচালক ম্যাডাম সুয়ান ওয়াই, আর্ট মার্কেট মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা রিতা হাত্তা, বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং মালয়েশিয়ায় শিল্প-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বসবাসের সুবাদে স্থানীয় মালয়েশিয়ানদের মাঝে বাংলাদেশের শিল্প, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। এ মেলার আয়োজন আগত অতিথিদের অংশগ্রহণকারী দেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করবে।’ 

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্য, বিশেষ করে হস্তশিল্পের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

মেলায় শুরু থেকেই বাংলাদেশি স্টলগুলোয় দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। দর্শনার্থীরা বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশি পণ্য, বিশেষ করে হস্তশিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন প্রবাসী ছাড়াও প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন।

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করল আরব আমিরাত

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করল আরব আমিরাত
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আবর আমিরাতে বিক্ষোভ করায় সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির বৃহত্তম শহর দুবাইতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 

গত ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বিক্ষোভ করে আটক হন ৫৭ বাংলাদেশি। পরে সোমবার (২২ জুলাই) দুবাইয়ের ফেডারেল কোর্ট ৫৭ বাংলাদেশিকে সাজা দেন।

আটক এই ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। তারা আইন লঙ্ঘন করে দুবাইয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় স্থানীয় পুলিশের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে ফেডারেল কোর্ট তাদের এ সাজা দেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তিন বাংলাদেশি বিক্ষোভের আয়োজক ছিলেন। অবৈধ থাকায় একজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়।

এর আগেও দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী যাওয়া বন্ধ ছিল। 

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমানও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছিল। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া শুরু হলেও এখনো শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া শুরু করেনি দেশটি। সম্প্রতি ঢাকায় ওমান দূতাবাস জানায়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। সূত্র: খালিজ টাইমস

অমিয়/

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইওর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১১ এএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১৩ এএম
কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইওর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) বদর মোহাম্মদ আল মীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।

বুধবার (১৭ জুলাই) কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিক সৌজন্য বিনিময়ের পর রাষ্ট্রদূত গ্রুপ সিইওকে তার সফল নেতৃত্ব এবং কাতার এয়ারওয়েজ এ বছর বিশ্বসেরা এয়ারলাইনের খেতাব জেতায় অভিনন্দন জানান। এরপর তিনি আমির শেখ তামিমের সাম্প্রতিক সফল সফরের কথা স্মরণ করেন। বিন হামাদ আল থানি গত এপ্রিলে বাংলাদেশে আসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরপর কাতার সফরের কথা উল্লেখ করেন।

তারা দুজনই অভিমত ব্যক্ত করেন, কাতারের আমির এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফরে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। রাষ্ট্রদূত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালু করার জন্য গ্রুপ সিইওর প্রশংসা করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাতার এয়ারওয়েজ চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য বড় শহরে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করবে। 

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইও প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির উপস্থিতি ও অবদানের জন্য সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

বৈঠকে ডেপুটি চিফ অব মিশন ওয়ালিউর রহমান, ফার্স্ট সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল রাজী, সেকেন্ড সেক্রেটারি মো. নাসির উদ্দিন এবং কাতার এয়ারওয়েজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
দুর্ঘটনায় নিহত মোশারফ হোসেন মিলন

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোশারফ হোসেন মিলন (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি ব্যববসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুই বাংলাদেশি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ব্রিটস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মোশারফ হোসেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের নুর মিয়া বলন্টিয়ার বাড়ির নুর ইসলামের ছেলে।

আহতরা হলেন, বাংলাদেশের আরিফ ও মামুন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আরিফ জানায়, রাস্টেনবার্গে সফররত মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারির ওয়াজ শুনে বাসায় ফেরার পথে ব্রিটস এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মিলন গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিক্ষক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভায়রা এমদাদ হোসেন জানান, ড. মিজানুর রহমান আজহারির তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শেষে নিজ কর্মস্থল প্রিটোরিয়ায় যাওয়ার পথে তাদের গাড়িটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মোশারফ হোসেন। তার সহযোগীরা মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর সংবাদটি দেশে পরিবারকে জানান। 

মোশারফ হোসেন ২০১৭ সালে বিয়ে করেন। তার ৬ বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহত মিলনের বাবা নুর ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মোশারফ হোসেন ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে তার নিজস্ব দুটি দোকান ও ব্যবসা রয়েছে। গত ৫-৬ মাস আগে সে দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে আফ্রিকায় যায়। তার মরদেহ সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আমার ছেলের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’ 

ফেনীর জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনাগাজীর যুবক মারা যাওয়ার খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। জীবিকার তাগিদে বিদেশ গিয়ে কফিন হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মরদেহ দেশে আনতে প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

নিলয়/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১০:২১ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনে জোর দিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ।

বুধবার (১১ জুলাই) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাসংক্রান্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মায়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।

নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার পর জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, ‘অপ্রতুল সম্পদ ও নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভবপর নয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত প্রত্যাবসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা।

এ ছাড়া, প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন শুরু করার ওপর জোর দেন।

গৃহীত প্রস্তাবটিতে সম্প্রতি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

প্রস্তাবটি মায়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

মায়ানমার সংঘাতের কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবটি মায়ানমারকে তার আন্তর্জাতিক সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।

গৃহীত প্রস্তাবে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের জন্য অপর্যাপ্ত ও সংকুচিত আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা দিতে আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়াও, প্রস্তাবটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন’-এর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়।

রেজল্যুশন গৃহীত হওয়ার পর জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, ‘অপ্রতুল সম্পদ ও নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভবপর নয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা। এ ছাড়া প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের শুরু করার ওপর জোর দেন।

অমিয়/