![১০ বছর আগেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দেবে এআই](uploads/2023/11/21/1700549238.heart-AI.jpg)
যত দিন যাচ্ছে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, মহাকাশ ও শিল্প-সাহিত্যের মতো চিকিৎসাক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তিগুলো বৃহৎ ডেটা সেট বিশ্লেষণ করে রোগের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে সফলতা দেখাচ্ছে।
এবার নতুন এক গবেষণায় এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির কথা বলা হয়েছে, যা একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির বিষয়ে এক দশক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম।
হার্ট অ্যাটাকজনিত সমস্যার সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গাটি হলো হুট করে রোগীরা এতে আক্রান্ত হন। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। এখন কোনো একজন ব্যক্তি যদি আগে থেকেই জানেন তার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে, তা হলে তিনি তার জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারবেন। এ ছাড়া আগে থেকে টের পেলে চিকিৎসকরাও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ কারণেই গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, নতুন এই প্রযুক্তি হৃদরোগের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাবে এবং অগণিত মানুষের জীবন রক্ষা করবে। এমনকি হৃদরোগজনিত চিকিৎসার খরচও কমিয়ে আনবে।
পুরো গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী প্রফেসর চারালামবোস অ্যান্টোনিয়ার নেতৃত্বে গবেষক দল ৪০ হাজার ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড সিটিস্ক্যান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষিত করেছে। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের আটটি হাসপাতাল থেকে।
পরে প্রায় তিন বছর তাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষক দল যে এআই টুল ব্যবহার করেছে, তা স্ফীত ধমনির চারপাশে চর্বির পরিমাণের পরিবর্তনের তথ্য, ধমনি সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার মতো তথ্যের প্যাটার্ন বিশ্লেষণে প্রশিক্ষিত। এসব তথ্য সিটিস্ক্যানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ১০ বছর পরের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।
নতুন এই এআইকে দিয়ে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় আট বছর সময়ের মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৩ রোগীর ক্লিনিক্যাল ঝুঁকি বিবেচনা করা হয়েছে। দেখা গেছে, এটি সফলভাবে কার্ডিয়াক ইভেন্টের ঝুঁকি শনাক্ত করতে পেরেছে।
প্রথম পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৭৪৪ জন রোগীর চিকিৎসায় নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এরই মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এআইয়ের দেওয়া পূর্বাভাসের আলোকে ৪৫ শতাংশের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন এবং এর সুফল তারা পেয়েছেন।