![সব জাতের সাপের বিষের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার](uploads/2024/03/08/1709876412.a1.jpg)
বর্তমানে বাজারে প্রচলিত একেকটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আলাদা অ্যান্টিভেনম তৈরি করতে হয়। সম্প্রতি আমেরিকার গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চ বেশির ভাগ সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করতে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে। সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই অ্যান্টিবডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপর এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে সাফল্য পেয়েছেন। তারা দেখেছেন কিং কোবরা, ব্ল্যাক মাম্বারের মতো সাপের বিষের বিরুদ্ধে এটি কাজ করছে।
স্ক্রিপস রিসার্চের বিজ্ঞানী জোসেফ জার্ডিন জানিয়েছেন, ‘নতুন অ্যান্টিবডি অসংখ্য সাপের প্রজাতির বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রতিবছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১ লাখের বেশি মানুষ সাপে কাটার বিষক্রিয়ায় মারা যান।
বর্তমান একেকটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আলাদা আলাদা অ্যান্টিভেনম তৈরি করতে হয়। তাদের রক্ষায় নতুন অ্যান্টিবডিটি কাজ করবে।’ জার্ডিন ও তার দল অ্যান্টিবডিটি আবিষ্কারের সময় সাপের বিষের ইলাপিড থেকে প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন করে প্রথমে থ্রি-ফিঙ্গার টক্সিন বা থ্রিএফটিএক্স নামের এক ধরনের প্রোটিনের খোঁজ পান। বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষে থাকা এই প্রোটিন খুবই বিষাক্ত। এই প্রোটিনের কারণে মানুষের পুরো শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর তাই এই প্রোটিনকে দুর্বল করার জন্য কাজ শুরু করেন তারা। ‘নাইনটি ফাইভ ম্যাট ফাইভ’ নামে একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কারে সক্ষম হন, যা সব প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। অ্যান্টিবডি সম্পর্কে সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে অ্যান্টিবডিটির মাধ্যমে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সব জাতের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজ চলছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন অ্যান্টিবডিটি আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সমানভাবে কাজ করে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এটি দিয়ে সব জাতের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিভেনম তৈরি করা সম্ভব হবে।
সূত্র: টেকনোলজি নেটওয়ার্কস
জাহ্নবী