চিকিৎসার জন্য ভারতে আর কতদিন? । খবরের কাগজ
ঢাকা ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

চিকিৎসার জন্য ভারতে আর কতদিন?

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১ এএম
চিকিৎসার জন্য ভারতে আর কতদিন?

বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য এত বেশি হারে ভারতে যাচ্ছে যে বছরে দেশের ৫০০-৬০০ কোটি ডলার চিকিৎসা খাতেই ভারতে চলে যায়। সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিমের দেশ ধরলে এই টাকার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার। তাই দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি সুসংহত চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বেড়েছে অনেক, তারপর কেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যেতে হবে! দেশের প্রতিটি শহরে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। তাহলে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। বিষয়টি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

 

নানা অজুহাতে বৃক্ষ হত্যা বন্ধ করুন

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
নানা অজুহাতে বৃক্ষ হত্যা বন্ধ করুন

তাপমাত্রা ৪০ পার হতেই হা-হুতাশ চলল চারদিকে। গাছ লাগানোর কথা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল সবার কাছে। ফেসবুকজুড়ে শুধু তাপপ্রবাহ আর গাছ লাগানোর কথা। প্রকৃতি সংশোধনের সুযোগ দেয়। আমরা কি সংশোধিত হই?

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে শরাফত উল্লাহ পেট্রলপাম্প এরিয়ায় রোডের আইল্যান্ডে চমৎকার একটা নিমগাছ ছিল। গাছ হিসেবে নিমগাছের ঔষধি গুণ নিয়ে লেখার নতুন কিছু নেই। এই নিমগাছটা কারও কাছে ভাত-মাছ চায়নি। কারও ক্ষতিও করেনি। কারও সম্পদ লুট করেনি। অর্থ পাচার করেনি। গাছেরা এসব পারে না। গাছেরা পারে আমাদের উপকার করতে। নিমগাছটিও তা করেছে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন বিলাত। 

খুব একটা বড় না হওয়ায় অনেকেই এর পাতা বিভিন্ন কাজে নিয়ে যেত। এতকিছু করেও শেষরক্ষা হলো না। গাছটা কাটা পড়ল। আশপাশে তেমন আর কোনো গাছ নেই। একটা চারাগাছ লাগালে বড় হতে কয়েক বছর সময় লাগে। সেখানে পরিপূর্ণ একটি গাছ কেটে ফেলা দুঃখজনক। অবশ্য চারদিকে গাছ কাটার হিড়িক। নানা কারণে, অজুহাতে কাটা হচ্ছে গাছ। এ যেন নিজেদের পায়ে কুড়াল মারা। এ যেন নিজেদের হত্যা করার শামিল। বৃক্ষ হত্যার খতিয়ান ছোট হোক নিজেদের স্বস্তির জন্য। প্রয়োজনে গাছ কাটলে নতুন নতুন গাছের চারা লাগানো নিশ্চিত হোক আগে।

সঞ্জয় দেবনাথ 
চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম 
[email protected] 

আমাদের নদীগুলোকে বাঁচানো জরুরি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:৩১ এএম
আমাদের নদীগুলোকে বাঁচানো জরুরি

নদীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে থাকা আমাদের এই বাংলাদেশ, একটি নীরব সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে কারণ এর জীবনরেখা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। চিত্রা নদী, অগণিত মানুষের ভাগ্যের প্রতিচ্ছবি ও একসময়কার সভ্যতার বিকাশের প্রতীক, এখন স্মৃতিতে বিবর্ণ হয়ে গেছে। একসময় চিত্রা নদী অত্যন্ত খরস্রোতা থাকলেও বর্তমানে কতিপয় প্রাকৃতিক কারণ, কালভার্ট নির্মাণ ও মূলত দখলদারির কারণে তা মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। সীমাহীন দূষণের কারণে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গাও এখন প্রায় মৃত নদী। নদী উদ্ধারে ঢাকঢোল পেটানোর মধ্যেও বুড়িগঙ্গা বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। নদীর দুই পাড়জুড়ে এখন শুধু আবর্জনার স্তূপ।

শিল্প-কারখানার বর্জ্য থেকে শুরু করে গৃহস্থালির বর্জ্য সবকিছুর শেষ ঠিকানা এই বুড়িগঙ্গা। অবৈধ দখলদারিত্ব আর দূষণে বিপন্ন হতে চলেছে তুরাগ নদীও। কালের পরিক্রমায় গতি হারিয়েছে একসময়ের খরস্রোতা তুরাগ। মানবসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা তাদের প্রাকৃতিক প্রবাহকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে পরিবেশগত অবক্ষয় তাদের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। শিল্প, কৃষি, মৎস্য, এবং পরিবহন ব্যবস্থাগুলো তাদের পতনের ধাক্কা বহন করে এর পরিণতিগুলো মারাত্মক। আজকের সমন্বিত পদক্ষেপ আগামীকাল বাংলাদেশের নদীগুলোর ভাগ্য নির্ধারণ করবে। নদী দ্বারা সংজ্ঞায়িত একটি জাতি হিসেবে, তারা আমাদের চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় আমরা অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। আমাদের দেশের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে টিকিয়ে রাখার এই অমূল্য সম্পদগুলোকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করার জন্য এখনই একসঙ্গে লড়াই করার সময়।

আসাদুল্লাহ গালিভ আল সাদি
[email protected] 

সর্বত্র গ্যাসের প্রিপেইড মিটার চাই

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
সর্বত্র গ্যাসের প্রিপেইড মিটার চাই

গ্যাস একটি জাতীয় সম্পদ। বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ, এমনকি অফিসের ক্যানটিনগুলোয় গ্যাস ছাড়া চলে না। দেখা গেছে, কোনো কোনো জায়গায় গ্যাসের সংযোগ আছে কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকে। আবার দেখা যায়, কিছু কিছু জায়গায় গ্যাসের প্রচুর অপচয় হয়। চুলা জ্বলছে তো জ্বলছে, অসচতেনতার কারণে নোভানো হচ্ছে না। কিছু আছে অবৈধ সংযোগ। কিছু দালালকে টাকা দিয়ে অনেকে গ্যাসের সংযোগ নিয়েছে। দালালরা মাসে মাসে এসে বিল নিচ্ছে, সেই বিলের টাকা গ্যাস অফিস পাচ্ছে না। এতে সরকার বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক বাড়িওয়ার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সর্বত্র যদি গ্যাসের প্রিপেইড মিটার লাগানো হয় তাহলে গ্যাস চুরি অনেকটা কমে যাবে। গ্যাস ব্যবহারকারীরা যতটুকু ব্যবহার করবে ততটুকু বিল দেবে। এতে করে গ্যাসের চুরি কমবে, গ্যাস অফিসও বিল পাবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্যাস অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত। সর্বত্র প্রিপেইড মিটার লাগালে এ দুর্নীতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

মো. ফেরদাউস হোসেন
টঙ্গী, গাজীপুর।
[email protected]

আপনারাই বলুন, জীবনটা চালাব কী করে?

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপনারাই বলুন, জীবনটা চালাব কী করে?

এমবিএ করা এক যুবকের প্রশ্ন, ‘চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছি গত দেড় বছর ধরে, চাকরি পাচ্ছি না, বলতে পারেন খাব কী? জীবনটা চালাব কী করে? ঋণ মেটাব কী করে? বাবা-মায়ের অসুখের খরচ দেবে কে? আমার পকেট খরচ দেবে কে?’ বেকার শিক্ষিত যুবকের এ প্রশ্নগুলো যেকোনো বিবেকবান মানুষকে নাড়া দিয়ে যাবে। চোখে জল এনে দেবে। এমবিএ শেষ করে তারা তো কোনো অন্যায় করেনি, শত শত ইন্টারভিউ দিয়ে কোথাও চাকরি পাচ্ছে না, রাষ্ট্রও বেকারদের নিয়ে একধরনের তামাশা করছে। 

বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর সন্তানকেই সংসারের হাল ধরতে হয়। কিন্তু কীভাবে হাল ধরবে! চাকরি নেই, আয় নেই। বাবা-মায়ের সংসার আছে, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি করা হয়েছে, বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হবে, পরিবারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার সময়। কিন্তু চাকরি না পাওয়ার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে এমবিএ করা বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ কী হবে? সত্যিই তো তার বাবার লোনের কিস্তির টাকা কে মেটাবে? বাবা মৃত্যুশয্যায়, মা রোগে আক্রান্ত! কী হবে এমবিএ করা বেকার যুবকদের পরিবারের? বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচ কে দেবে? পরিবারের সবার মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার টাকা দেবে কে? সত্যিই এমবিএ করা বেকার যুবকদের মাথায় এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। 

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

নার্সদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১১:০৯ এএম
নার্সদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই

মানবসেবায় অনন্য দায়িত্ব পালনকারী নার্সদের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী আজ রবিবার (১২ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে। আজকের এই দিনে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস।

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্ম ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। তিনি ছিলেন অপূর্ব রূপসী, অন্যদিকে খুবই দয়ালু ও স্নেহপূর্ণ মনের অধিকারী। তাকে ইউরোপের অন্ধকারে আলোকবর্তিকা বলে আখ্যায়িত করা হয়। নাইটিঙ্গেলের বাবা ছিলেন দুটি এস্টেটের মালিক এক ধনী ভূস্বামী। নাইটিঙ্গেল যখন কেবল যৌবনে পা দেন, তখন তার ধনী বাবা পুরো পরিবারকে নিয়ে ইউরোপ ভ্রমণে বের হন। এই ভ্রমণই তরুণী নাইটিঙ্গেলের চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে।

নাইটিঙ্গেল মানবসেবার প্রতি প্রথম টান অনুভব করেন ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে থাকা অবস্থায়। পরবর্তী সময়ে এই টানকে তিনি ‘ঈশ্বরের ডাক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে সেবাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেওয়ার কথায় প্রবল আপত্তি আসে তার পরিবার থেকে। তখন সমাজে নার্সিং ছিল নিম্নবিত্ত, অসহায়, বিধবা নারীদের পেশা। পরিবারের প্রবল আপত্তিকে পাশ কাটিয়ে তিনি নিজেকে নার্সিংয়ের কৌশল ও জ্ঞানে দক্ষ করে তোলেন। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সুবাদে তিনি সেসব দেশের সেবাব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা ও অপেক্ষাকৃত উন্নত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। সামান্য মুনাফার আশায় কিছু অসাধু স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী লোকদের রাস্তা থেকে ধরে এনে সাদা অ্যাপ্রোন পরিয়ে, নার্স আর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বানিয়ে আজ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে; জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]