![চাঁদ দেখে ঈদ পালনের বিধান](uploads/2024/04/08/1712566969.chad.jpg)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রমজান পালন করবে এবং চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর পালন করবে।’ (বুখারি, ১০৮১)
হাদিসের আলোকে সচেতন মুমিন-মুসলমানরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা পালন শুরু করেন এবং শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলেই ঈদুল ফিতর পালন করেন। কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আচরিত সুন্নতকে সামনে রাখা আমাদের প্রয়োজন। সুন্নতের আলোকে আমরা দেখি, তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য গ্রহণ ছাড়া রমজান পালনের অনুমতি দেননি। ‘চাঁদ দেখে রমজান বা ঈদ পালনের’অর্থ এ নয়—যে কেউ যেখানে ইচ্ছা চাঁদ দেখলেই ঈদ করা যাবে। এ হাদিসের অর্থ হলো, চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে তোমরা রোজা পালন করো এবং চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে ঈদুল ফিতর পালন করো। চাঁদ দেখা প্রমাণিত হওয়ার সুন্নাহ নির্দেশিত পদ্ধতি হলো—শাসক বা প্রশাসকের কাছে সাক্ষ্য গৃহীত হওয়া।
রাষ্ট্রীয়ভাবে তার সাক্ষ্য গৃহীত হলে বা চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলেই শুধু ঈদ করা যাবে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও সমাজের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঈদ পালন করতে নির্দেশ দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যেদিন সব মানুষ ঈদুল ফিতর পালন করবে সে দিনই ঈদুল ফিতরের দিন এবং যেদিন সব মানুষ ঈদুল আজহা পালন করবে, সে দিনই ঈদুল আজহার দিন।’(তিরমিজি, ৩/১৬৫)
আলেমরা এ বিষয়ে একমত—রমজানের রোজা ও ঈদ চাঁদ দেখেই পালন করতে হবে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো।’ (মুসলিম, ১০৮১)
এখন প্রশ্ন হলো, কতজন মানুষকে চাঁদ দেখতে হবে? তার উত্তর আছে হাদিসে, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিকভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত।’ (আবু দাউদ, ২৩৪০)।
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক