![স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হজব্যবস্থা গড়তে কাজ করছি : মুহম্মদ কামরুজ্জামান](uploads/2024/05/16/hajj-camp-2-1715855799.jpg)
প্রশ্ন : এবার ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। হাজিরা আল্লাহর মেহমান, তাদের আপনি কীভাবে সমাদর করছেন?
মুহম্মদ কামরুজ্জামান : আমরা আল্লাহর মেহমানদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর আগে একজন হাজিকে তিনবার হজ অফিসে আসতে হতো, এখন একবার আসলেই হয়। হজক্যাম্পে ২৪টি ডরমেটরি আছে, একসঙ্গে ২ হাজার ৪০০ হাজি ঘুমাতে পারেন সেখানে। মসজিদের নিচতলায় পুরুষ ও দুই তলায় নারীদের নামাজের জায়গা আছে। দুটি ক্যান্টিনের খাবারের মান যাচাই করা হচ্ছে প্রতিদিন, দুটিতে খাবারের দামও সমান। ১৭টি ব্যাংক কাজ করছে এখানে। ডাক্তার-নার্স ও ফার্মাসিস্ট আছেন ২৪ জন। ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন তারা। হাজিদের বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনও শেষ হচ্ছে এখানে। ইমিগ্রেশনের সামনে রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ ওকালাহ কোম্পানি হাজিদের ব্যাগে স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছেন। আমরা আগেই সাত রঙের স্টিকার তৈরি করেছি। একজন হাজি একই রঙের তিনটি স্টিকার পান। এই রঙের কারণে সৌদি আরবে তাদের সমস্যায় পড়তে হয় না। হাজিদের সঙ্গে যারা আসেন, তাদের জন্যও পাশের মার্কেটে টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা আছে। মশা দূরীকরণে উদ্যোগ নিয়েছি। হাজিদের সেবায় ১৯৪৮ সাল থেকে আঞ্জুমান খাদেমুল হজ কাজ করছে এখানে। কাজ করছে রোভার স্কাউটও।
প্রশ্ন : এখানে হাজিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে?
মুহম্মদ কামরুজ্জামান : হজক্যাম্প মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের গাইডলাইন দেওয়া আছে। তারা এখানে আগত হাজিদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হজবিষয়ক আলোচনা করছেন। প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর ইহরামের কাপড় পরার নিয়ম হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন।
প্রশ্ন : হাজিদের নিয়ে কাজ করতে কেমন লাগে?
মুহম্মদ কামরুজ্জামান : আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি আমাকে হাজিদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এর আগেও আমি জেদ্দা কনস্যুলেটে পাঁচ বছর হাজিদের খেদমতে কাজ করেছি। এখানে কর্মরত সবার যেমন লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ই-হজ ব্যবস্থাপনা সফল করা; একই সঙ্গে আখেরাতের একটা পুঁজি যে এই কাজের মাধ্যমে সংগ্রহ হচ্ছে, এটা সবাই হৃদয়ে ধারণ করছে।
প্রশ্ন : হজক্যাম্প নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাই।
মুহম্মদ কামরুজ্জামান : হজক্যাম্পকে শুধু মৌসুমকেন্দ্রিক ব্যবহার না করে আমরা সারা বছরের কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ডিজিটাল ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা আছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিলে এটা মানুষের কাজে লাগবে। হাজিদের সব কার্যক্রম আমরা সহজ করতে চেষ্টা করছি। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হজব্যবস্থা গড়তে কাজ করছি। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের হজ যেন কবুল হজ হয়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।