টেম্পো বা সিএনজির পেছনে লেখা উক্তিগুলো আমাদের নস্টালজিক করে দেয়। সেই ছোটবেলা থেকে এগুলো দেখে আসছি আমরা। তো এবার নতুন কিছু উক্তি ট্রাই করা যাক, তার সঙ্গে জেনে নেওয়া যাক এগুলোর পেছনের যুক্তি।
শাশুড়ির দোয়ায় চলিলাম: যেসব সিএনজি ড্রাইভার প্রেম করে বিয়ে করেছেন কিন্তু শাশুড়ি আপনাকে এখনো মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না, তারা এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। শ্বশুরবাড়িতে আদর-যত্ন বাড়বে বলে আশা করা যায়।
আমি বড় হইছি, মারলে খবর আছে: আগে যেসব সিএনজির পেছনে লেখা থাকত, আমি ছোট, আমাকে মারবেন না, সেসব সিএনজিগুলো এখন কৈশোরে উত্তীর্ণ হয়েছে। সঙ্গে বয়সদোষে একটু রগচটাও হয়েছে। তাই তাদের অব্যক্ত মনের ভাব প্রকাশ করতে এসব সিএনজির পেছনে এই উক্তি লেখা যেতে পারে।
আর কত অসৎ থাকবি? দুদিন পরে তো মরেই যাবি: সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা, উক্তিটি এত বছর ধরে ব্যবহারের পরও যেসব মানুষ নিজেকে শুধরে নিচ্ছে না, তাদের ভর্ৎসনা জানাতেই এই উক্তি।
আপনার সন্তানকে বিয়ে দিন: ২০ বছর আগেও দেখা গিয়েছিল, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান। বেলা গড়াতে গড়াতে সেই সন্তান নিশ্চয়ই বিবাহের উপযোগী হয়ে উঠেছে। তাদের বিয়ে দিতে অভিভাবকদের আগ্রহী করতে এই উক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
মরার ইচ্ছা থাকলে দ্রুত চালান: দুর্ঘটনা রোধে অনেক সিএনজির পেছনে লেখা থাকে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তারপরও দুর্ঘটনা কমছে না। যেসব চালকের দ্রুত গাড়ি চালানোর প্রবণতা আছে, তাদের সচেতন করতে নতুন এই উক্তিটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিমে-ভাতে বাঙালি: ব্যাচেলরদের দুঃখ কেউ বোঝে না। মেসে খালা না আসলে তাদের যে কী অসহায়ত্বে ভুগতে হয়, সেটা অন্য এক ব্যাচেলর ছাড়া কেউ বুঝবে না। ফ্রিজে মাছ থাকা সত্ত্বেও যখন রান্না না জানার দরুণ তরকারি হচ্ছে না, তখন ডিমই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। যদি কোনো সিএনজিচালক ব্যাচেলরদের দুঃখ অনুধাবন করে তার সিএনজির পেছনে এই উক্তি লেখেন, আপনি নিশ্চিত থাকেন হাজারো ব্যাচেলর আপনার জন্য দোয়া করছেন।
এই দুষ্ট, এত কাছে কেন: আগে এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়ির নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সিএনজির পেছনে লেখা থাকত, ১০০ হাত দূরে থাকুন। তারপরও দেখা যেত, হুট করে কোত্থেকে যেন আরেকটা গাড়ি এসে ধাক্কা মেরে বসে আছে। এসব ধাক্কাধাক্কি করা গাড়ির চালকদের লজ্জা দিতে এই উক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কলি