মোনাকোর হারে হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির ঘরে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

মোনাকোর হারে হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির ঘরে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
মোনাকোর হারে হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির ঘরে
ছবি : সংগৃহীত

ফরাসি ফুটবলে লিগ ওয়ানে নিজেদের দাপট ধরে রেখেছে পিএসজি। অন্যান্য মৌসুমের মতো দাপট ধরে রেখে এবারও শিরোপা জিতেছে। মোনাকোর হারে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই এই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো ফ্রান্সের সর্বোচ্চ লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো পিএসজি।

টেবিলের দুইয়ে থাকা মোনাকো ৩-২ ব্যবধানে অলিম্পিক লিওনের বিপক্ষে পরাজিত হওয়ায় মাঠে না নেমেই শিরোপা জয়ের সংবাদ পেয়ে গেছে পিএসজি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) প্রথম মিনিটেই উইসাম বেন ইয়েদেরের গোলে প্রথম এগিয়ে যায়। এরপর ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড আলেকজান্ডার লাকাজেত ২২তম মিনিটে মোনাকোর হয়ে সমতা টানেন। এর ঠিক চার মিনিট পর আলজেরিয়ার ফরোয়ার্ড সাইদ বেনরাহমার গোলে এগিয়ে যায় লিওন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে আরেকবার সমতা টেনে ঘুরে দাঁড়ায় মোনাকো ফরাসি স্ট্রাইকার বেন ইয়েদেরের দ্বিতীয় গোলে। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ফোফানার লক্ষ্যভেদে জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে লিওন।

লিওনের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় পিএসজি। এই নিয়ে লিগ ওয়ানে মোট ১২টি শিরোপা জিতল পিএসজি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ ওমান যেন এক টুকরো ‘পাক-ভারত’

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
ওমান যেন এক টুকরো ‘পাক-ভারত’
ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্র্যাচের দেশ ওমান। ক্রিকেটে পথচলা খুব বেশি দিনের না। ২০০০ সালে আইসিসির অধিভুক্ত হলেও ওয়ানডে স্ট্যাটাস প্রাপ্তি ২০১৪ সালে। এখন পর্যন্ত খেলা হয়নি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে দুবার দেখা মিলেছে দলটির। তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে এই দেশটি।

মজার ব্যাপার হলো এই দেশটির বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অধিকাংশ ক্রিকেটারই পাকিস্তান ও ভারতের। একটা দীর্ঘ সময় নিজ দেশের হয়ে ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখলেও পূর্ণতা পায়নি তাতে। এরপর তারা পাড়ি জমান ওমানে। সেখান থেকেই ওমান জাতীয় দলে খেলা শুরু। সব মিলিয়ে ওমানকে এক টুকরো পাক-ভারত বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না।

ওমান বিশ্বকাপ দলের অধিকাংশই পাকিস্তানি। সংখ্যায় ৮। ভারতীয় ৩ জন। বাকি চারজন শুধু ওমানের। এবার ওমান দলকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন আকিব ইলিয়াস। জন্ম সূত্রে পাকিস্তানি। তার শৈশব কেটেছে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। একই এলাকায় বেড়ে ওঠা নাসিম খুশি, মোহাম্মদ নাদিম ও ফায়াজ বাটও ওমান জাতীয় দলের অংশ। এ ছাড়া ওমান স্কোয়াডে পাকিস্তানে জন্ম নেওয়াদের মধ্যে রয়েছেন জিসান মাকুসদ, বিলাল খান, মেহরান খান ও কলিমুল্লাহ। তার মানে ওমানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পাকিস্তানের খেলোয়াড়ই সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে ভারতের রয়েছে তিনজন। গুজরাটের কেশব প্রজাপতি, মধ্য প্রদেশের শোয়েব খান ও ভোপালের আয়ান খান ওমান দলে শক্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ওমানের চার ক্রিকেটার হলেন খালিদ কাইল, শাকিল আহমেদ, রাফিউল্লাহ ও প্রতীক আথাবেলে। রিজার্ভ বেঞ্চে রয়েছেন চারজন। এর মধ্যে যতিন্দর, সময় ও জয় ভারতীয় বংশদ্ভেুাত। বাকি একজন সুফিয়ানের জন্ম ওমানেই।  

টপ অর্ডারে ওমানের ভরসা কেশব প্রজাপতি, নাসিম, আকিব ও জিসান। উইকেটরক্ষক ব্যাটার প্রতীক আথাভালে এবং আয়ান খান মিডল অর্ডারে খেলতে পারেন। তবে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সময় এবং জতিন্দরের। তাদের রাখা হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে। বোলিং লাইনআপে আছেন পরিচিত মুখ বাঁ-হাতি ইয়র্কার স্পেশালিস্ট বিলাল খান, কলিমউল্লাহ এবং ফাইয়াজ বাট। এর মধ্যে বিলাল খানের রয়েছে বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতা। ২০১৬ বিশ্বকাপ থেকে ওমানের নেতৃত্বে ছিলেন জিসান মাকসুদ। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কের পদ থেকে। তবে তিনি দলে আছেন নিয়মিত সদস্য হিসেবে।

সম্প্রতি এশিয়ার তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দেশগুলো এসিসি প্রিমিয়ার কাপ ২০২৪ টুর্নামেন্টে খেলেছে। সেখানকার স্কোয়াডে না থাকা শোয়েব খান কেবল আসন্ন বিশ্বকাপ দলের বাইরে থেকে যুক্ত হয়েছেন। ওপেনিং ব্যাটার জতিন্দর সিং এবং লেগস্পিনার সময় শ্রিবাস্তব বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি। সুফিয়া মেহমুদ আর জয় ওড্রেডার সঙ্গে তারাও আছেন রিজার্ভ বেঞ্চে। ব্যাট হাতে কেশব প্রজাপতি এবং নাসিম খুশির জুটি আছে শুরুতেই। টপ অর্ডারে থাকবেন আকিব ও জিসান। বাঁ-হাতি অর্থোডক্স শাকিল আহমেদও আছেন ওমান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।

ওমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে দুটি। প্রথমবার ২০১৬ সালে। ১৬ দলের মধ্যে দলটির অবস্থান ছিল ১৩তম। এ গ্রুপে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ ছিল ওমানের প্রতিপক্ষ। তিন ম্যাচে ওমান জিতেছিল একটি ম্যাচ। সেটাও শক্ত প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের সঙ্গে ওমান বৃষ্টি আইনে হেরেছিল ৫৪ রানে। এই ম্যাচে তামিম ইকবালের অপরাজিত ১০৩ রান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি হিসেবে আছে রেকর্ডবুকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে  ওমানের  ম্যাচটি বৃষ্টিতে হয়েছিল পরিত্যক্ত। 
ওমানের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ২০২১ সালে। ওমানের সঙ্গে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতও। প্রথম পর্বে বি গ্রুপে ওমান প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল স্কটল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পাপুয়া নিউগিনিকে। প্রথম ম্যাচেই পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে তারা। এটিই ছিল দলটির একমাত্র জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে হার ২৬ রানে।  পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল  ৮ উইকেটে।

আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে ( ১৮ নম্বর)  বেশ পিছিয়ে থাকলেও চলতি বছরের হিসাব-নিকাশে ওমানের চিত্রটা খারাপ না। এ বছর ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলটির জয় ৯টি। পরাজয় ৫টি। সব মিলিয়ে ওমান এখন পর্যন্ত খেলেছে ৭৯ টি-টোয়েন্টি। জয় ৪০টি, পরাজয় ৩৭টি। একটি করে ম্যাচ হয়েছে টাই ও পরিত্যক্ত। ওমানের বেশির ভাগ জয় হংকংয়ের বিপক্ষে। তাদের এই প্রিয় নেই যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজ বিশ্বকাপে। তবে বি গ্রুপে ওমান পাবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। বাকি দুই প্রতিপক্ষ নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড। আগামী ২ জুন বার্বাডোসে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ওমান। 

টি-টোয়েন্টিতে ওমানের অভিষেক ২৫ জুলাই ২০১৫

ম্যাচ: ৭৯

জয়: ৪০

হার: ৩৭

টাই: ১

পরিত্যক্ত: ১

র্যাঙ্কিং: ১৮

আকিব ইলিয়াস, অধিনায়ক

অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। এটি অনেক বড় একটি দায়িত্ব এবং আমি দলকে অনেক জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখি। আমরা বিশ্বকাপের জন্য কঠোরভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সাম্প্রতিক সময়ে এসিসি প্রিমিয়ার কাপ আমাদের প্রস্তুতির অমূল্য সুযোগ প্রদান করেছে।


দল: আকিব ইলিয়াস (অধিনায়ক), জিশান মাকসুদ, কেশব প্রজাপতি, প্রতীক আথাভেল (উইকেটরক্ষক), আয়ান খান, শোয়েব খান, মোহাম্মাদ নাদিম, খালিদ কাইল, নাসিম খুশি, মেহরান খান, বিলাল খান, রাফিউল্লাহ, কালিমউল্লাহ, ফায়াজ বাট, শাকিল আহমেদ। রিজার্ভ: যতিন্দার সিং, সময় শ্রিভাস্তাভ, সুফিয়ান মেহমুদ, জায় ওডেড্রা। 

জয়হীন মেসিহীন মায়ামি

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
জয়হীন মেসিহীন মায়ামি
ছবি : সংগৃহীত

টানা ৫ ম্যাচ জিতে বেশ ভালো ছন্দেই ছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু আজ জয়হীন থাকতে হয়েছে অরল্যান্ডো সিটির কাছে। গোলশূন্য ড্র হয়েছে দুই দলের ম্যাচ। আগের ম্যাচে হাঁটুর চোটে পড়ায় এই ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি লিওনেল মেসির।

মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ম্যাচে চোটে পড়েন আর্জেন্টাইন তারকা। মায়ামির টানা ৫ জয়ের ম্যাচেও তিনি ছিলেন মাঠে। দলের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকাও।

মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে চোট পান মেসি। এরপরও পুরোটা সময় তিনি খেলেছেন সেই ম্যাচ। দলের পক্ষ থেকে চোট গুরুতর নয় বলে জানানো হলেও মেসিকে নিয়ে কোনো ঝুঁকিতে যেতে চায়নি মায়ামি কর্তৃপক্ষ। আজ জিততে না পারলেও লিগে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত মায়ামি।

চলতি মৌসুমে লুইস সুয়ারেজ ইন্টার মায়ামির হয়ে গোল করেছেন ১১টি যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। মেসি একাদশে না থাকলেও সুয়ারেজ খেলেছেন শুরু থেকেই । শুরুতে গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন গোল করতে। দশম মিনিটে মায়ামির হয়ে আরও একটি বড় সুযোগ মিস করেন রবার্ট টেলর।

সুয়ারেজরা গোল করতে পারেননি, তেমনিভাবে প্রতিপক্ষকেও গোল করতে দেননি ইন্টার মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার।

৩২তম মিনিটে অরল্যান্ডো সিটির আর্জেন্টাইন উইঙ্গার মার্টিন ওজেডার কাছ শট রুখে দেওয়ার এক মিনিট পর ঠেকিয়ে দেন ফরোয়ার্ড লুইস মুরিয়েলের শটও। দ্বিতীয়ার্ধেও অরল্যান্ডোর খেলোয়াড়রা পরাস্ত হয়েছেন মায়ামির গোলকিপারের কাছে।

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে আছে মায়ামি ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে। দুই নম্বরে আছে সিনসিনাটি। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৭।

ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস পেলেন লামিচানে

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস পেলেন লামিচানে
ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল নেপালের সাবেক অধিনায়ক সন্দীপ লামিচানের। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

বুধবার (১৫ মে) ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তার করা আপিলের রায়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালে কাঠমান্ডুর এক হোটেলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হন তিনি। মামলার শুনানী দীর্ঘায়িত হওয়ায় মাঝে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠেও নেমেছিলেন তিনি। দেশটির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে পরিচিত এই লেগ স্পিনারের অবদান রয়েছে সে দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতেও।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই ধর্ষণের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর কারাগার থেকে মুক্তিও পান।

এরই মধ্যে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে নেপাল। যেখানে রাখা হয়নি লামিচানেকে। যদিও আগামী ২৫ মে পর্যন্ত আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১২:১১ পিএম
অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী
ছবি : সংগৃহীত

অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারত জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কিংবদন্তি  ফুটবলার সুনীল ছেত্রী। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলে চতুর্থ সর্বাধিক গোলদাতা তিনি। একসময় এই তালিকায় মেসিকেও পেছনে ফেলেছিলেন তিনি।

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে আগামী ৬ জুন কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতের জার্সি গায়ে শেষবার মাঠে নামবেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ (বৃহস্পতিবার) দেওয়া এক ভিডিওতে এই ঘোষণা দিয়েছেন ছেত্রী।

ভিডিওতে সুনীল ছেত্রী বলেন, ‘যেদিন দেশের জার্সিতে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলাম, সেই দিনটির কথা কোনোদিন ভুলতে পারবো না। আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যার (সুখবিন্দর সিংহ) এসে আমাকে যখন জানালো, আমি প্রথম একাদশে আছি, সে এক অবিশ্বাস্য অনুভূতি। বলে বোঝাতে পারব না সেই অনুভূতি কেমন ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন নিজেকে বলি যে এটাই আমার শেষ ম্যাচ হবে, তখন আমার সব স্মৃতি মনে পড়ছিল। কী অদ্ভুত ছিল বিষয়টা। এই ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম। এই কোচের কথা ভাবছিলাম, ওই কোচের কথা ভাবছিলাম। এই টিমটার কথা ভাবছিলাম, ওই কথা ভাবছিলাম। এই মাঠের কথা ভাবছিলাম, ওই মাঠের কথা ভাবছিলাম।’

সুনীল ছেত্রীর বিদায়ে নিশ্চিতভাবেই ভারতের ফুটবলে তার জায়গা পূরণে নতুন কাউকে খুঁজতে হবে। ভিডিওবার্তায় তিনি নিজেও তা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দেশের পরবর্তী ৯ নম্বর ফুটবলার খুঁজে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় ফুটবলের কোনও খেলোয়াড়ই তাদের সংশ্লিষ্ট ক্লাবের একাদশে প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে খেলছেন না। এই বিষয়টি জাতীয় ফুটবল দলের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় ফুটবল দলে একটা বড় শূন্যতা তৈরি করছে।’

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় সুনীল ছেত্রীর। সেই ম্যাচেই গোলের দেখা পান তিনি। ভারতের হয়ে সুনীল এখন পর্যন্ত ১৫০ ম্যাচে মোট ৯৪ গোল করেছেন।

লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার হওয়া

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৪০ এএম
লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার হওয়া
ছবি : সংগৃহীত

আইসিসির যে কোনো আসর মানেই বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। কিন্তু ২২ গজের সেনানিরা খুব কম সময়ই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন। দুই/একবার বাদ দিলে প্রত্যাশার ধারের কাছেও যেতে পারেননি। যে কারণে দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেশবাসীকে কোনো রকম প্রত্যাশা না করার আহ্বান জানালেও পরোক্ষণেই তিনি জানান তারা প্রত্যাশা রাখবেন। তাদের সেই প্রত্যাশা ভালো খেললে পূরণ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের বলা কথার উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য।


দল নির্বাচনে কী ইনপুট ছিল?

দল নির্বাচনের বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই আলোচনা করছিলাম। তিন নির্বাচক এবং কোচ। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে যে শুরু হয়েছে তা না। এর আগে থেকেই আমাদের মধ্যে কথাবার্তা চলত। আমরা কোন কম্বিনেশনে যাব। ইনপুট যদি বলেন আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্রত্যেকটা মিটিংয়ে আমি ছিলাম, কোচ ছিলেন পাশাপাশি তিন নির্বাচক তো ছিলেন। আমাদের সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এটা।

সাইফউদ্দিন নেই কিন্তু তানজিম সাকিব আছেন?

সাইফউদ্দিন এবং সাকিবের ক্ষেত্রে আসলে সাকিবের বলের পেসটা সাইফউদ্দিনের চেয়ে একটু বেশি। সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যা আশা করছিলাম সেখানে মনে হয় একটু কমবেশি ছিল। বিস্তারিত বলতে চাই না। দুজনই খুব ক্লোজ ছিল। সাকিবের ওপর আমাদের আত্মবিশ্বাসটা কিছুটা বেশি ছিল। ওভারল এবং কন্ডিশন বিবেচনা করে আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।

কেন লিটন দলে?

লিটন আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। যদিও কয়েকটা সিরিজ ভালো যায়নি। এটা আমি বিশ্বাস করি এটা হতে পারে। শেষ মুহূর্তে আমরা কেউই চাইনি নতুন একজন দলে চলে আসুক। এ রকম বড় টুর্নামেন্টের আগে তার জন্য হয়তো কঠিন হবে। এ জন্য আমরা অভিজ্ঞতাকে মূল্য দিয়েছি। আমি আশা করি লিটন ভালো করবে ইনশাআল্লাহ।

প্রত্যাশা না রাখার আহ্বান জানানোর পর এখনকার প্রত্যাশা কী?

আমি যে কথাটা বলেছিলাম তারপরেও বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করবেই। আমি নিজেও প্রত্যাশা করি এবং প্রত্যেকটা প্লেয়ার প্রত্যাশা করবে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলব। যদি ছোট ছোট পরিকল্পনা নিয়ে আগাই, কীভাবে গ্রুপ পর্বটা পার করব তাহলে পরিকল্পনা করা সহজ হয়। আমাদের গ্রুপ খুব একটা দুর্বল তা বলব না। যদি এটা পার করতে পারি তখন আবার আলাদাভাবে পরিকল্পনা করতে পারব। টি-টোয়েন্টিতে আমি বিশ্বাস করি ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব।

তাসকিন নিয়ে কী আশা?

এমন আশা করছি না তাসকিন থাকবে না। আশা করছি তাসকিন সুস্থ হয়ে যাবে। প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে। দলের অন্যতম সেরা বোলার এবং মূল বোলার বলব। না থাকতে পারলে যে ব্যাকআপ অপশন আছে তা নিয়ে এগুতে হবে। আমার মনে হয় সে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

অনেক দিন পর দলে লেগ স্পিনার...

আলহামদুলিল্লাহ্ আমাদের খুব ভালো একজন লেগ স্পিনার আছে। সে প্রায় সব ম্যাচেই পারফর্ম করছে বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে। সে অন্যতম সেরা ফিল্ডার আমার মনে হয়। সেরাটা দিতে পারলে দল অনেক এগুবে। বাড়তি কোনো চাপ দিতে চাচ্ছি না। সে যা করতে পারে, তা করতে পারলে দলের জন্য ভালো কিছু হবে।

শান্ত ও লিটনের খারাপ পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে

লিটন এবং আমার কথা যা বললেন আমার মনে হয় না এটা খুব ভালো উইকেটে আমরা খেলেছি ইভেন চট্টগ্রামেও। অবশ্যই রানে থাকলে দলের জন্য ভালো। আমরা শেষ মুহূর্তে চাইনি নতুন কেউ চলে আসুক। আমরা চেয়েছি যে দলটা আমাদের থাকবে তা নিয়ে বিশ্বকাপে যাব।

রিয়াদের খেলার ধরন কী হবে?

রিয়াদ ভাই যেভাবে ফিরেছে ওনার যে কাজটা আছে এর ফলে দল অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ফিনিশিং রোলে এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুযোগ যে আমরা ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাব। তরুণদের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণা যে কীভাবে এ রকম পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করা যায়।

সাকিব-রিয়াদের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে দলের পরিকল্পনা কী?

শেষ বিশ্বকাপ কিনা জানি না। আমরা অবশ্যই চাইব এটা তাদের ভালো একটা মেমোরি দেওয়া। অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব। উনাদের যে রোলটা আছে, উনারা যদি তা করতে পারে অবশ্যই দল উপকৃত হবে। উনাদের অভিজ্ঞতা যা আছে তা যদি প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে ছড়িয়ে দেন তাহলে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকব।

এবার ভালো কোনো ফল হবে কি?

আশা তো করছি। নির্দিষ্ট দিনে সবার দায়িত্ব পালন করাটা জরুরি। আমি আশা করি সবাই সবার জায়গা থেকে তা করবে। আমার যেসব জায়গায় কাজ করার দরকার সেগুলো আমি করছি। আশা করি আমি ভালোভাবেই কামব্যাক করব বিশ্বকাপে।

বোলিং ইউনিটের ওপর প্রত্যাশা কেমন?

আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। বোলাররা ভালো করলে জেতার সম্ভাবনা থাকে বেশি। টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা বেশি ম্যাচ জেতায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আশা করি স্পিন সহায়ক হবে। স্পিনে আমাদের ভালো ভ্যারিয়েশন আছে।