ঢাকা ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
English

বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির কথা বলে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির কথা বলে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৫
ছবি : সংগৃহীত

বৈদেশিক মুদ্রা ডলার ও রিয়াল বিক্রির কথা বলে সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণা করত একটি চক্র। এ চক্রের দলনেতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। ঈদ সামনে রেখে বেশ তৎপর হয়ে উঠছিল চক্রটি। 

পুলিশের তথ্যমতে, চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা। পূর্ব রামপুরা ও মৌলভীরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মহসিন (৩৫), মো. সুলতান (৫৭), মো. আনোয়ার (৫৭), মো. শওকত আলী (৬০) ও মো. কালাম (৬১)।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে রামপুরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডলার, রিয়াল ও বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা দেখিয়ে এবং বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করা একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি সাধারণ সহজ-সরল মানুষদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে প্রতারণা করত। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দলনেতাসহ অন্য সদস্যদের নামে বিভিন্ন থানায় চার-পাঁচটি মামলা রয়েছে।’ আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

খাজা/

দাউদকান্দিতে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০২ মে ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
দাউদকান্দিতে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা গ্রেপ্তার
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সুজন প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: খবরের কাগজ

দাউদকান্দিতে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২ মে) দুপুর ১২টার দিকে দাউদকান্দি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুহাম্মদ সামছুল আলম খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

গ্রেপ্তার মো. সুজন প্রধান (৩৬) পরিবার নিয়ে বিটেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নৈয়াইর গ্রামে থাকেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মেয়েটির মা হালিমা বেগম খালার বাড়িতে যান। এ সুযোগে নিজ ভাড়াটিয়ার ঘরে মুখ চেপে মেয়েকে ধর্ষণ করে সুজন। এ ঘটনা মেয়েটি তার আত্মীয়-স্বজন ও মাকে জানালে তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজেই বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মডেল থানায় অভিযোগ করে। 

অভিযোগের পর দাউদকান্দি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসেন ফোর্স নিয়ে নৈয়াইর গ্রাম থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে।

লিটন/পপি/

পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬
বামে কনস্টেবল হুমায়ুন। ছবি সংগৃহীত।

যাত্রাবাড়ীতে পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরকে (৪৪) হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), মরিয়ম বেগম ওরফে মলি (৩৮), ফজলে রাব্বি ওরফে শুভ (২৩), পলি বেগম (৩৫), মোঃ কায়েচ হাওলাদার (৩৪) এবং অপর একজন কিশোর।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা ও বরিশালে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সংবাদ পেয়ে দয়াগঞ্জ বটতলা জজ মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসার গেটের কাছ থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মৃত পুলিশ সদস্যের ভাই খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৯ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিবহন বিভাগে জলকামান ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী সালমা বেগম, ছেলে কাওসার হোসেন ইমন (১৩) এবং মেয়ে তুবা (৭) নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন। মো. রাজিব হোসেন নামে এক আত্মীয়ের সাথে সালমা বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল, যা হুমায়ুন কবির জানতে পারেন। এ নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সালমা বেগম ও তার ভাই মো. মানিকের সঙ্গে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী সালমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজিব হোসেন ও ওই ভবনের চারতলায় থাকা তার আত্মীয় মরিয়মসহ আরও কয়েকজন মিলে হুমায়ুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

থানা সূত্রে জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিমের দুই সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহারনামীয় আসামি নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সালমা বেগম ও মোঃ মরিয়ম বেগম ওরফে মলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১ মে ভোর ৫ টায় বরিশাল জেলা থেকে শুভ, রাফি, পলি ও কায়েসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নিহত পুলিশ সদস্য হুমায়ুনের দুটি মোবাইল ফোন শুভর কাছ থেকে জব্দ করা হয়। 

প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে থানা সূত্রে আরও জানা য়ায়, গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় হুমায়ুন ডিউটি শেষে বাসায় ফিরে আসেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রী সালমা ফার্মেসি থেকে কিনে আনা ঘুমের ওষুধ খাবারের সাথে মিশিয়ে তাকে খাওয়ায়। এতে হুমায়ুন অচেতন হয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা ভিকটিমের হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে রাত আড়াইটার দিকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ অন্যত্র সরানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে হত্যাকারীরা ভোর ৪টার দিকে লাশটি বাড়ির গেটের পাশে ফেলে রাখে। 

গ্রেপ্তারকৃত সালমা বেগম ও মরিয়মকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অপর গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক রাজিবসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সিফাত/

তেজগাঁওয়ে ছুরিকাঘাত করে ব্যবসায়ীর ৬৮ হাজার টাকা ছিনতাই

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
তেজগাঁওয়ে ছুরিকাঘাত করে ব্যবসায়ীর ৬৮ হাজার টাকা ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সিটি পাম্পের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ আল আমিন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার কাছে থাকা ৬৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভর্তি করেন। 

ভুক্তভোগী আল আমিন ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার ছোট মনিকা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তেজগাঁও পূর্ব স্টেশন রোড এলাকায় থাকেন।

আহত ব্যবসায়ীর মামা আমজাদ হোসেন জানান, আমার ভাগিনা কাভার্ডভ্যানের ব্যবসায়ী। গতকাল রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষে তেজগাঁও সিটি পাম্পের পাশ দিয়ে অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিল। পথে ছিনতাইকারীরা তার গতিরোধ করে করে মাথায় পিঠে এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা ৬৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করি। বর্তমানে নিউরোসার্জারি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গতরাতে আল আমিন নামে ওই ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

শেখ জাহাঙ্গীর/এমএ/

নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ, নানাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ, নানাকে কুপিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে থানায় লিখিত অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আজগর আলী (৬০) রায়দক্ষিণ গ্রামের আবদুর রশিদ খানের ছেলে। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের প্রয়াত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
 
জানা গেছে, আজগর আলীর নাতনি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন একই গ্রামের আল-আমিন (৩৮) নামে এক যুবক। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিবাদ করলেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আজগর আলী গত সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

পরদিন মঙ্গলবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। এরপরই পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে আসেন। দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে তাকে আহত করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক জানান, অভিযুক্ত আল-আমিনসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গাজীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করলেন বাবা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
গাজীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করলেন বাবা
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রহলাদপুর ইউনিয়নের নানাইয়া আটিপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন এক বাবা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন (২৫) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের নানাইয়া আটিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বাবা মোহাম্মদ আলী একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, ৫/৭বছর আগে ছেলেকে কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়াতে পাঠান তার বাবা। সেখান থেকে ফিরে এসে মাদকাসক্ত হয়ে উঠলে ছেলেকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে আবারও তাকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হয়। বছর খানেক আগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এসে কোন কাজকর্ম না করে  বাবার জমানো ৮ লাখ টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে খরচ করে ফেলেন আনোয়ার। এ ছাড়া পুকুরে চাষ করা মাছ বাবার অজান্তেই বিক্রি করে ফেলেন তিনি।  পরে আবার বাবার কাছে টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত। এ নিয়ে বাবার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
পরে মঙ্গলবার বিকেলে বাবার গোয়ালঘরে থাকা ১১টি গরুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আনোয়ার। এ সময় বাবা গিয়ে বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে রাগে-ক্ষোভে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ঘুমন্ত ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে থানায় এসে পুলিশকে জানায় মোহাম্মদ আলী। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পলাশ/মেহেদী/