রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম দাউদুল ইসলাম ওরফে বুলু (৫১)। তিনি দিনাজপুরের হাকিমপুরের পাউশপাড়ার মৃত আজগর আলী মণ্ডলের ছেলে।

সোমবার (১ এপ্রিল) র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম জে সোহেল এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে র‌্যাব-১০-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের ৯৮৩ পিস নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন জব্দ করা হয়।

এম জে সোহেল জানান, গ্রেপ্তার বুলু একজন পেশাদার মাদক কারবারি। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীর গেন্ডারিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছিলেন। গত বছরও তিনি ১ হাজার ৪৯০ পিস বুপ্রেনরফিনসহ র‌্যাব-১০-এর হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সাধারণত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক হিসেবে শরীরে প্রয়োগ করা হয়। তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ নেশাদ্রব্য উপাদান মিশিয়ে মাদক হিসেবে এটি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ইনজেকশন সরাসরি রগে নেওয়া হয়। এটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর শরীরে নেশার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে প্যাথেডিন ও হেরোইন নিয়েও যাদের কাজ হয় না, তারা এ ভয়াবহ মাদকটি ব্যবহার করেন বলে জানা যায়।

‎‎লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় হযরত আলী দেওয়ান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে মামুন।

বুধবার (১১ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের উত্তর চরবংশী এলাকার দেওয়ানবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ রাতেই  মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এর আগেই পালিয়ে যায় মামুন।

পুলিশ ও ‎স্থানীয়রা জানান, আলী দেওয়ানের ছোট ছেলে মামুনকে কয়েক দিন আগে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। ঈদের আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এসব ঘটনা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বুধবার রাতে আলী দেওয়ান এশার নামাজ আদায়ের জন্য ওজু করতে ঘরের পাশে টিউবওয়েলের কাছে যান। এ সময় পেছন থেকে ধারালো দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান মামুন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজান উদ্দিন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, মামুনকে ধরতে অভিযান ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রফিকুল/পপি/

যশোরের শার্শায় এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম  লিটন হোসেন (৩০)। তিনি দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে লিটন বাজারে চা পান করছিলেন। এ সময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা আজগর আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল আমার ছেলে লিটনের। তারা এর আগেও কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিনও তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এর জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির কর্মী। শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

বেনাপোলে বোমা হামলা চালিয়ে বিএনপি কর্মী হত্যার ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৮ জুন) রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- যশোর কোতোয়ালী থানার ছোট মেঘলা (চাঁচড়া) গ্রামের আহসান কবির (৩১) ও বেনাপোল পোর্ট থানার ডুবপাড়া গ্রামের রিপন হোসেন (৩০)।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে বিরোধে গত শনিবার রাতে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় বিএনপি কর্মী আব্দুল হাই (৫০) নিহত হন। এই ঘটনায় পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, আসামিদের প্রেপ্তারের পর যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি ইমন আলী শেখ বাদশাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (৮ জুন) শহরের ফতেমোহাম্মদপুরের লোকো রোড সংলগ্ন রেলওয়ে ট্রেনিং সেন্টারে পাশের একটি বাসা থেকে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় অপহৃতাকে।

এই স্কলছাত্রীর বাসা ফতেমোহাম্মদপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন। সে সরকারি নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম। 

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়ার পথে আসামি বাদশা এই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু সে প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ অবস্থায় গত ৫ জুন সকাল ৮টার দিকে প্রাইভেট পড়তে হিন্দুপাড়ায় যাওয়ার পথে ফতেমোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিয়ে পালিয়ে যায় বাদশা। এ সময় বাদশাকে সহযোগিতা করে নাদিম কসাই ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুন।

এ ঘটনার পর স্কুলছাত্রীর বাবা ইমন আলী শেখ বাদশাকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করেন।

উদ্ধারের পর মেডিকেল চেকআপের জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে তার জবানবন্দির জন্য তাকে আদালতে তোলা হবে। গ্রেপ্তার বাদশাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি। 

জাহাঙ্গীর হোসেন/অমিয়/

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন ঘর থেকে আব্দুর রহমান উজ্জল (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৮ জুন) সকালে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের তাহাজ মোড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল ও চিরকুট জব্দ করে পুলিশ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আব্দুর রহমান উজ্জল পাটিকাবাড়ি বাজার এলাকার মৃত ওসমান আলী শেখের ছেলে। তিনি একটি একটি বিস্কুট কোম্পানি ও মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের পরিবেশক ছিলেন। তা ছাড়াও স্থানীয় বাজারে তার একটি ফটোকপির দোকান রয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহে জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া তাহাজ মোড় এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছিলেন তিনি। সেজন্য সেখানে একটি টিনের ছাপড়া তৈরি করে একাই থাকতেন উজ্জল। আজ সকালে ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকতে গেলে জানালা দিয়ে বিছানায় তার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে থানায় খবর দেয়।

এর আগে রাত তিনটার দিকে তিনি তার ছোট ফুফুকে মোবাইলে ফোন করে তার মেয়েকে দেখে রাখতে বলে ফোন কেটে দেন। রাতের ঠিক ওই সময়ই স্থানীয়রা একটি গুলির শব্দ পান।

স্বজনরা জানান,পারিবারিক কলহের জেরে পৈত্রিক বাড়ি থেকে একটু দুরে নিজ জমিতেই টিনের ছাপড়া ঘরে থাকতেন উজ্জল। প্রায় তিন মাস আগে বনিবনা না হওয়ায় বউ একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন। এরপর থেকে ওই বাড়িতে উজ্জল একাই থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। 

পাটিকাবাড়ি ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসএসআই) শামসুল হক বলেন, ‘মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাশটি বিছানায় ছিল। স্থানীয়রা দরজা ভেঙে পুলিশকে খবর দেয়। লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল ও চিরকুট জব্দ করা হয়েছে। চিরকুট ও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, নিজের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

মিলন উল্লাহ/অমিয়/