ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

জাতীয় পতাকা দেখতে যখন প্রায় একরকম

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ পিএম
জাতীয় পতাকা দেখতে যখন প্রায় একরকম

জাতীয় পতাকা হচ্ছে কোনো দেশের চটজলদি পরিচয়ের প্রতীক। তবে বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক আয়োজনে প্রায় একই রকম জাতীয় পতাকা দেখা যায়। খুবই সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকলেও প্রায় একই রকম দেখতে কয়েকটি দেশের পতাকার খবর জানাচ্ছেন আহমেদ রিয়াজ।

চাদ ও রোমানিয়া

চাদ ও রোমানিয়ার মতো পৃথিবীর আর কোনো দেশের জাতীয় পতাকায় এতখানি মিল নেই। নীল, হলুদ ও লালের উজ্জ্বলতায় সামান্য তারতম্য অবশ্য রয়েছে।

 

১৮৬১ সাল থেকে রোমানিয়ার জাতীয় পতাকা বহাল রয়েছে। আর ১৯৫৯ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর চাদের জাতীয় পতাকা এটি।

মালি ও সেনেগাল

মালি ও সেনেগালের পতাকায় সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের খাড়া ডোরা। যদিও রঙের উজ্জ্বলতায় সামান্য তারতম্য রয়েছে। তবে সেনেগালের পতাকার ঠিক মাঝখানে, মানে হলুদ ডোরার মাঝ বরাবর সবুজ রঙের তারকা রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া ও মোনাকো

দুটো দেশের পতাকাই অনুভূমিকভাবে ওপরে লাল ও নিচে সাদা ডোরা। কেবল তাদের মাত্রায় ভিন্নতায় রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ২:৩।

আর মোনাকোর পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৪:৫। পোল্যান্ডের পতাকার সঙ্গেও এ দুটি পতাকার রঙ ও ডোরায় মিল রয়েছে। কেবল ওপরে সাদা ও নিচে লাল।

আয়ারল্যান্ড ও আইভরি কোস্ট  

দুটো পতাকাই সবুজ, সাদা ও গোলাপি রঙের খাড়া ডোরা। দুটো পতাকাতেই সাদা অংশ মাঝে থাকলেও আয়ারল্যান্ডের পতাকার বামে সবুজ ও ডানে গোলাপি ডোরা। অন্যদিকে আইভরিকোস্টের পতাকার বামে গোলাপি ও ডানে সবুজ ডোরা।

নরওয়ে ও আইসল্যান্ড

এই দুটো দেশের জাতীয় পতাকার রং ও নকশা একই রকম। কেবল রঙের বিন্যাস বিপরীত। নরওয়ের পতাকায় লাল জমিনে সাদাঘেরা নীল ক্রস। অন্যদিকে আইসল্যান্ডের পতাকায় নীল জমিনে সাদাঘেরা লাল ক্রস।

লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসের পতাকায় অনুভূমিকভাবে লাল, সাদা ও নীল রঙের ডোরায় নকশা করা ছিল। সতের শতকের মাঝামাঝি লালের পরিবর্তে কমলা রঙের ডোরা ব্যবহার শুরু হয়।

নেদারল্যান্ডসের পতাকার চেয়ে লুক্সেমবার্গের পতাকা কিছুটা বড় এবং নীলের উজ্জ্বলতাও আলাদা।

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া

দুই দেশের পতাকাই ব্রিটিশ নীল পতাকার মতো। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকায় সাতকোনা পাঁচটি সাদা রঙের তারকা ও নিউজিল্যান্ডের পতাকায় পাঁচকোনা চারটি লাল-সাদা তারকা রয়েছে।

ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া

তিনটি দেশের পতাকাই ওপরে হলুদ, মাঝে নীল ও নিচে লাল রঙের অনুভূমিক ডোরায় নকশা করা। ভেনিজুয়েলার পতাকার ঠিক মাঝখানের সাদা ডোরায় অর্ধাবৃত্তাকারে সাতটি সাদা রঙের পাঁচকোনা তারকা ও বামপাশের ওপরের কোনায় দেশটির জাতীয় পরিচয়ের চিহ্ন রয়েছে।

ইকুয়েডরের পতাকার মাঝখানেও দেশটির জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক রয়েছে। কলম্বিয়ার পতাকায় এসব কিছু নেই।

স্লোভেনিয়া, রাশিয়া এবং স্লোভাকিয়া
রাশিয়ার জাতীয় পতাকা অনুভূমিকভাবে সাদা, নীল ও লাল রঙের ডোরায় নকশা করা। রাশিয়ার পতাকার মতোই স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ার পতাকা।

তবে স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ার পতাকার মাঝখানে দেশ দুটোর জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক রয়েছে। আর এই প্রতীকের কারণেই তিনটি দেশের পতাকা দেখতে প্রায় একই রকম হলেও আলাদা।

কলি

সাইকেলের দুনিয়ায়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
সাইকেলের দুনিয়ায়
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই শতক ধরে চলার পর ২০১৮ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব সাইকেল দিবস ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী ৩ জুন বিশ্ব সাইকেল দিবস। সাইকেল দিবসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি অবলম্বনে সাইকেল নিয়ে কিছু মজার তথ্য:

  • সময়টা ছিল ১৮১৭ সাল। হঠাৎ এক অদ্ভুত বাহন উদ্ভাবন করে বসলেন এক জার্মান ব্যারন। ব্যারনের নাম কার্ল ফন ডরিস। উদ্ভাবনটা হচ্ছে ঘোড়াবিহীন যান, যেটা দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে। বাহনটা দুই চাকার, প্যাডেলবিহীন, আর মাটিতে পা দিয়ে ঠেলে সামনে এগোতে হয়। যন্ত্রটি পরিচিত হয়ে উঠল ‘ড্রেইজিন’ নামে। আর এটা থেকেই সৃষ্টি হলো আধুনিক সাইকেল।
  • বিমান আবিষ্কারক হিসেবে অরভিল আর উইলভার রাইটের নাম তো আমরা সবাই জানি। মজার বিষয় হচ্ছে, উড্ডয়নের জন্য প্রথম বিমানটিও তারা তৈরি করেছিলেন সাইকেল সারাইয়ের দোকানে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের ডেটনে ছিল তাদের সাইকেল সারাইয়ের দোকান।
  • পঁচিশ বছর বয়সী ফ্রেড এ বার্কমোর সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ করেছিলেন ১৯৩৫ সালে। এই ভ্রমণে ইউরোপ, এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন ফ্রেড। এর মধ্যে তিনি সাইকেলে প্যাডেল মেরেছেন ২৫ হাজার মাইল। বাকি পথটুকু নৌকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। সুদীর্ঘ এই পথে তার সাইকেলের সাতজোড়া টায়ার বদলাতে হয়েছিল।
  • আঠারো শতকেই চীনে সাইকেল আমদানি করা হয়। বর্তমানে চীনে চলাচল করে ৫০ কোটিরও বেশি সাইকেল।
  • বর্তমান বিশ্বে বছরে ১০ কোটি সাইকেল উৎপাদিত হয়।
  •  বিগত ৩০ বছরে সাইকেলের মাধ্যমেই বিতরণ সেবা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে, যেখানে যানবাহনের জ্যাম খুবই বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে।

আহমেদ রিয়াজ/আবরার জাহিন

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আমরা আঁকি

শব্দার্থ আচার্য গদ্য
চতুর্থ শ্রেণি
কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ধানমন্ডি, ঢাকা।

/আবরার জাহিন

দুখু মিয়া

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
দুখু মিয়া
ছবি: খবরের কাগজ

এক যে ছিল দুখু মিয়া
চুরুলিয়া গাঁয়ে
দরিদ্রতার সাথে লড়ে
দাঁড়ায় নিজের পায়ে

কাজের ফাঁকে কাব্য লিখত
গান গাইত সুরে
তার প্রতিভায় মুগ্ধ মানুষ
কবি ডাক দেয় জুড়ে

সেই কবি কাজী নজরুল
হয়ে আছেন মহান
বলে গেছেন দরিদ্রতাই
দিছে তাকে সম্মান।

/আবরার  জাহিন

চেতনাতে নজরুল

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
চেতনাতে নজরুল
ছবি: খবরের কাগজ

বর্ধমানের চুরুলিয়ায় জন্ম নিলেন যিনি,
দুখু মিয়া নামটি ছেড়ে নজরুল হলেন তিনি।
ছোট্টবেলা কেটেছে যার অনেক বাধা নিয়ে, 
ঝড়ঝাপটার দখল গেল মাথার ওপর দিয়ে। 
অবশেষে দাঁড়ান ঘুরে গান কবিতা লিখে, 
নামখানি তাঁর যায় ছড়িয়ে বিশ্বের চারদিকে। 
বিদ্রোহী তাই হলেন তিনি প্রতিবাদের ভাষায়, 
সাম্য মৈত্রীর মালা গাঁথেন ভালোবাসার আশায়। 
সব কুড়োনো হলো কবির খ্যাতি যশের মালা,
অন্তরে তাঁর রইল তবু অসন্তুষ্টির জ্বালা।
বাকশক্তি তাঁর কেড়ে নিলেন বিশ্বপতি নির্দয়,
চেতনাতে কবি নজরুল ঘটিয়েছেন বিস্ময়।

/আবরার জহিন

কবি কাজী নজরুল

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
কবি কাজী নজরুল
ছবি: খবরের কাগজ

বিদ্রোহী এক কবি ছিলেন দুরন্ত দুর্বার
সাম্যের কবি গানের কবি জাতির অহংকার।
তিনি ছিলেন গুলবাগিচার ফুল শাখার বুলবুল
সৃষ্টির নেশায় থাকতেন মেতে হয়ে যে মশগুল।
ছোটগল্প গান কবিতা উপন্যাস ও ছড়া
সাহিত্যে তাঁর সকল শাখায় অবদানে ভরা।
গুলবাগিচার বুলবুলিটার কণ্ঠে ছিল গান
তাঁর সুরেতে উঠত জেগে ঘুমন্ত সব প্রাণ।
আবার তিনি হতেন খোকা সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম বাগে উঠতেন জেগে ডাকি।
তাঁর কবিতা খাঁদুদাদু চড়ুই পাখির ছানা
পিলে পটকা লিচুচোর ও সংকল্প সব জানা।
শিশুর রাজ্যে ছিলেন তিনি সুরভিত ফুল
আর কেহ নয় তিনি হলেন কবি কাজী নজরুল।

/আবরার জহিন