
জীবনের কথাগুলো
কাব্যের ভাষাতে
ভরিয়েই তুলেছেন
নানামুখী আশাতে
মিশে থাকে সেই লেখা
কান্না ও হাসাতে।
কার লেখা? তাও জানি,
কারও অবহেলাতে
বিদ্রোহী চেতনায়
প্রতিবাদী বেলাতে
‘নজরুল’ আসে নাম
পারবে না ফেলাতে।
/আবরার জাহিন
জীবনের কথাগুলো
কাব্যের ভাষাতে
ভরিয়েই তুলেছেন
নানামুখী আশাতে
মিশে থাকে সেই লেখা
কান্না ও হাসাতে।
কার লেখা? তাও জানি,
কারও অবহেলাতে
বিদ্রোহী চেতনায়
প্রতিবাদী বেলাতে
‘নজরুল’ আসে নাম
পারবে না ফেলাতে।
/আবরার জাহিন
দূর দেশে এক বাসার রান্নাঘরের কোণায় পিঁপড়ার রাজ্য। সে রাজ্যের নাম ‘চিনিনগর’। সেখানকার রাজা হচ্ছেন মহামহিম পিঁপড়া ত্রয়োদশতম, যিনি ছয় বছর ধরে রাজত্ব করছেন, যা পিঁপড়াদের ইতিহাসে রেকর্ড! তবে এ গল্প তার রাজত্বের নয়, এ গল্প এক দুঃসাহসী পিঁপড়ার, যার নাম ক্যাপ্টেন অ্যান্ট!
ক্যাপ্টেন অ্যান্ট আদতে এক সাধারণ শ্রমিক পিঁপড়া। তার কাজ ছিল সারা দিন খাবার খোঁজা আর লাইনে হেঁটে হেঁটে ফেরত আনা। কিন্তু সে বরাবরই অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। সে সব সময় প্রশ্ন করত, ‘আমরা কেন শুধু চিনিই খাই?’ ‘আমরা কেন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠি না?’ ‘আচ্ছা, ছাদে গেলে কী কেক পাওয়া যাবে?’
সব পিঁপড়া বলত, ‘ধুর! পিঁপড়ার কাজ হলো মাটির নিচে থাকা আর চিনির দানার পিছে ছোটা!’
কিন্তু ক্যাপ্টেন অ্যান্ট ছিল জেদি। একদিন সে ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিল- রান্নাঘরের ফ্রিজের নিচে যাবে! সবাই জানত ওখানে গেলেই ‘ঝাড়ু দৈত্য’ এসে এক বাড়িতে সব উড়িয়ে দেবে! কিন্তু ক্যাপ্টেন অ্যান্টের একই কথা, সে যাবেই।
ক্যাপ্টেন অ্যান্ট গোপনে এক নানা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে বানিয়ে ফেলল নিজের যান, ‘ফাস্ট সার্ফার’। সেটা চালিয়ে সে চলল ফ্রিজের নিচে। আর কী আশ্চর্য! সেখানে আবিষ্কার করল এক চিপসের প্যাকেট। তার ভেতরে অজস্র লবণ আর মসলা আর চিপসের গুঁড়া! ক্যাপ্টেন অ্যান্ট ঝটপট কিছু চিপসের গুঁড়া বয়ে নিয়ে এল রাজ্যে। সবাই একে একে চেখে দেখল। কেউ বলল, ‘ওরে বাবা! ঝাল!’ কেউ বলল, ‘হায় হায়, আমার চোখে পানি!’
তবে কিছুক্ষণ পর সবাই একযোগে বলল, ‘কিন্তু খেতে দারুণ।’
রাজা নিজে এসে ঘোষণা করলেন, ‘আমরা পিঁপড়ারা আর শুধু চিনি খাব না। এখন থেকে মসলা, ঝাল, লবণ, চিপস এমনকি তেলের স্বাদও নেব। আর এই বীর যোদ্ধাকে বলা হবে, ক্যাপ্টেন অ্যান্ট।’
সেদিন থেকে পিঁপড়ারা শুধু চিনিই নয়, চিপসের টুকরা, বিস্কুটের কণা আর বাদামের গুঁড়াও সংগ্রহ করতে লাগল। রান্নাঘর আর শুধু রান্নাঘর রইল না, হয়ে উঠল এক বিশাল অভিযানভূমি! আর ক্যাপ্টেন অ্যান্ট? সে এখনো তার ফাস্ট সার্ফারে চড়ে চষে বেড়ায় পুরো বাসা- নতুন স্বাদের খোঁজে, নতুন স্বপ্নের আশায়।
কখনো কি ভেবেছো মাছ হাঁটতে পারে? আমাদের যেমন পা আছে, তাই আমরা হেঁটে বেড়াতে পারি। কিন্তু মাছের তো পা নেই! তাহলে?
আমরা জানি, মাছ পানিতে সাঁতার কেটে চলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে কিছু মাছ আছে যারা মাটির ওপর হাঁটতে পারে! হাঁটতে না পারলেও হামাগুড়ি দিয়ে চলতে পারে। আজ তোমাদের তেমন কিছু আশ্চর্য মাছের গল্প শোনাব।
‘স্নেকহেড’ নাম শুনে ভয় পেও না! এটা আসলে আমাদের পরিচিত শোল মাছ। মাথাটা দেখতে অনেকটা সাপের মতো বলে এটাকে বাইরের দেশে সাপমুখো মাছ বলে। এই মাছ দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি দেখা যায়। তবে আমেরিকাতেও এর দেখা মেলে।
স্নেকহেড মাটি দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলে, এমনকি পানির বাইরে ডাঙায়ও আসতে পারে। আর মজার কথা, ডাঙায় এসেও সে চার দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে! তার গায়ে বাদামি রঙের আঁশ আর গাঢ় দাগ থাকে। এই মাছ কিন্তু বেশ ভয়ংকর- সে নিজের চেয়ে বড় মাছ, ব্যাঙ, পোকামাকড় সব খেয়ে ফেলে। তাই একে কাছ থেকে দেখলে সাবধান থাকতে হয়!
মাডস্কিপার পশ্চিম আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে থাকে। সুন্দর বনেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। মাডস্কিপার লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটে, আবার কাদার ওপর দিয়ে হামাগুড়িও দেয়। ওরা মাটির ওপর বসে পোকা, কৃমি খুঁজে খায়। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার, মাডস্কিপার শুধু পানিতে নয়, ডাঙায়ও থাকতে ভালোবাসে। তারা পানি আর বাতাস, দুই দিক থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে!
বাংলাদেশের খাল-বিলেই কই মাছের দেখা মেলে। কই মাছের পাখনা খুব শক্তিশালী। পাখনা দিয়ে সে ডাঙায়ও চলাফেরা করতে পারে। মাটির ওপরেও ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে! এদের শরীরে এমন একটা অঙ্গ আছে, যেটা দিয়ে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে। তাই কই মাছ সহজেই জল-স্থল দুই জায়গায় থাকতে পারে।
দেখলে তো! মাছ মানেই শুধু পানির বাসিন্দা না। কিছু মাছ কিন্তু আমাদের মতোই ডাঙায় হাঁটতে জানে। প্রকৃতির কী মজার সব চমক, তাই না?
খুকুর ছড়া বনের ছড়া
রথিন্দ্রজিৎ হিরু
নাচে হাতি নাচে ঘোড়া
নাচে বনের পাখি,
নাচে খুকুর কাজল মাখা
নাচে দুটো আঁখি।
নাচে বানর নাচে হালুম
নাচে হরিণ ছানা,
নাচে খুকুর পুকুর জলে
নাচে বগি কানা।
নাচে জেব্রা নাচে জিরাফ
নাচে ঝুপুরঝুপুর,
নাচে খুকুর কুকুর ছানা
নাচে ঝুমুর নূপুর।
নাচে ভালুক নাচে খরগোশ
নাচে সিংহ মামা,
নাচে খুকুর বন্দি খাঁচায়
নাচে ময়না শ্যামা।
নাচে আলো নাচে ছায়া
নাচে পাহাড় ঝর্ণা,
নাচে খুকুর দুপুর গড়া
নাচে সাগর কন্যা।
কত্ত রকম ফল
বেণীমাধব সরকার
জ্যেষ্ঠ মাসে বাগান ভরে
নানান রকম ফলে,
ছেলে বুড়ো সবার চোখে
সুখের বাতি জ্বলে।
এক বাগানে আম্রপালি
ল্যাংড়া আরেক বাগে,
রং মাখানো সিন্দুরে আম
দেখতে ভালো লাগে।
হিমসাগর ও গোপালভোগে
দৃষ্টি যদি পড়ে
খাওয়ার আগেই জিভের পানি
উথাল পাথাল করে।
লিচু গাছে থোকায় থোকায়
ঝুলছে কত লিচু
ফলের ভারে ন্যুব্জ হয়ে
ডালগুলো হয় নিচু।
কাণ্ড ধরে গলাগলি
করছে কাঁঠালগুলি
মধুর মতো মিষ্টি লাগে
মুখে নিলে তুলি।
কালো জামের মধুর রসে
রঙিন করি মুখ
জ্যেষ্ঠ মাসের ফলের বাহার
দেখলে নাচে বুক।
জ্যৈষ্ঠ মাসে
মো. দিদারুল ইসলাম
জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছে গাছে
কাঁচা-পাকা আম,
খোকাখুকি ডালে বসে
খাচ্ছে রঙিন জাম।
আম-কাঁঠালের গন্ধে ভাসে
ওই অদূরের গাঁ,
দাদা ডাকে, কই রে নাতি?
লিচু পেড়ে খা।
ক্লান্ত দুপুর, গাছের ডালে
নানা পাখির ঝাঁক,
পাড়ায় পাড়ায় কোক্কুরুৎ কু
দিচ্ছে মোরগ ডাক।
আনারসের বাগান জুড়ে
মৌমাছি গায় গান,
জামরুল চিবায় কাঠবিড়ালী
মাচায় নতুন পান।
গাঁয়ের পাশেই নদীর বাঁকে
জমজমাট এক হাট,
নানান ফলের বেচাকেনায়
ব্যস্ত নদীর ঘাট।
তোতলা ভূত
হাফিজুর রহমান
খপ করে খায় খাবার
গিলে এক ঢোক,
মাথার থেকে মুখ বড়
লাল দুটো চোখ।
কালো পুরো দাঁতগুলো
ধারালো যেন ছুরি,
ছোট-বড় সব মিলে
অন্তত এক কুড়ি।
হোক না চিকনা দেহের
উদ্দেশ্যে নেই খুঁত,
ক্ষতি করে না মানুষের
তোতলা এই ভূত।
বৃষ্টি
মোহাম্মদ শামীম মিয়া
মেঘের মেয়ের আঁচল ছেঁকে,
বৃষ্টি পড়ে আকাশ থেকে।
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে,
সবুজ বনের গাছের ডালে।
বৃষ্টি পড়ে নদীর ঘাটে,
খোলা সবুজ মাঠে মাঠে।
বৃষ্টি পড়ে দিন ও রাতে,
স্নিগ্ধ মায়া জড়ায় তাতে।
বৃষ্টি পড়ে খাল ও বিলে,
ব্যাঙে ডাকে পুকুর-ঝিলে।
বৃষ্টি পড়ে চোখের পাতায়,
দৃশ্য আঁকা মনের খাতায়।
রিয়ানা ওর বড় মামাকে ডাকে বুড়ো মামা। বুড়ো মামা ওকে একটি ড্রয়িং খাতা কিনে দিয়েছেন, আর দিয়েছেন রং পেন্সিল। আজ রিয়ানা মহাখুশি!
কিন্তু ড্রয়িং খাতায় তো কিছু আঁকতে হবে! কী আঁকা যায়? কী আঁকা যায়? রিয়ানা ছুটে যায় বুড়ো মামার কাছে।
বারান্দায় চেয়ারে বসে আছেন বুড়ো মামা। চোখে চশমা, মাথায় কোঁকড়া চুল আর হাতে বই। মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছেন তিনি।
রিয়ানা বলল, ‘বুড়ো মামা, ড্রয়িং খাতায় আমি কী আঁকব?’
মামা চেয়ারে বসে ভাবলেন। বইটা রেখে দাঁড়িয়ে ভাবলেন। মাথায় হাত দিয়ে ভাবলেন। ভ্রু কুঁচকে ভাবলেন। চশমাটা খুলে হাতে নিয়ে ঘোরালেন কয়েকবার। তারপর মামা বললেন, ‘একটা পরী আঁকো, তোমার মতো একটা পরী।’
রিয়ানা দৌড়ে ঘরের ভেতরে গেল আবার। পড়ার টেবিলে বসল। পেন্সিল নিল হাতে। তারপর পরী আঁকতে শুরু করল।
রিয়ানা ড্রয়িং খাতায় একটি পরী এঁকেছে। রং করেছে রং পেন্সিল দিয়ে। কিন্তু পরীকে ঠিক পরী মনে হচ্ছে না! মনে হচ্ছে পরীটার কিছু একটা নেই! কিন্তু কী নেই?
খাতার পরীটা তখনই বলল, ‘ও মা, তুমি আমার ডানা আঁকোনি কেন? ডানা ছাড়া কি পরী হয়?’
হ্যাঁ, তাইতো! পরীর ডানা আঁকা হয়নি! এত ভারি অন্যায়! রিয়ানা পরীর দুটো ডানা এঁকে দিল।
কিন্তু তারপর কি হলো জানো? শুনলে তোমরাও অবাক হবে!
তারপর রঙিন পরীটা আর খাতায় থাকল না! উড়ে এসে রিয়ানার পাশে বসল! রিয়ানা অবাক! ড্রয়িং খাতার পরী কীভাবে ওর পাশে এসে বসল!
রিয়ানাকে আরও অবাক করে দিয়ে পরীটা বলল, ‘আমাদের দেশে যাবে তুমি?’
রিয়ানা বলল, ‘সে হয় নাকি? আমার তো ডানা নেই! আমি কীভাবে তোমাদের দেশে যাব?’
পরীটা আরও কাছে এসে বসল। তারপর রিয়ানার পিঠে হাত বুলিয়ে দিল একবার। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ডানা গজাল! রিয়ানা আরও অবাক হয়ে গেল, চোখ দুটি বড় হয়ে গেল তার।
আয়নার সামনে দাঁড়াল রিয়ানা। বুড়ো মামা তো ঠিকই বলেছিলেন-ওকে সত্যিই পরী পরী লাগছে!
পরীটা কিছুটা তাড়া দিয়ে বলল, ‘তাহলে আর দেরি কেন? চলো, পরীর দেশ ঘুরে আসি।’
পরীর কথায় মাথা নাড়াল রিয়ানা।
রিয়ানা উড়ছে। রঙিন পরীটাও উড়ছে। ওরা মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। কয়েকটি মেঘ এসে ওর ডানা ভিজিয়ে দিল।
উড়তে উড়তে পরীর দেশে চলে এল ওরা। পরীর দেশের চারদিকে রঙিন পাতার গাছ। রঙিন রঙিন ফুল। সেখানে খেলা করছে ছোট্ট ছোট্ট পরী। রিয়ানাও খেলতে শুরু করল তাদের সঙ্গে।
তখন সেখানে এলেন একজন পরী। চোখে চশমা তার। বয়স কিছুটা বেশি। এসেই বললেন, ‘অনেক খেলা হয়েছে, এবার সবাই পড়তে যাও।’
চশমা পরা পরীর কথা শুনে সবাই খেলা বন্ধ করল। তারপর চলে গেল পড়তে।
রঙিন পরীটা এসে রিয়ানার কানে কানে বলল, ‘দেখলে তো, এখানে সবাই পড়ার সময় পড়ে, খেলার সময় খেলে। আর বড়দের কথা মেনে চলে।’
হাফিজুর রহমান
শিষ হেলেছে ধান পেকে
সোনালি রং গায় মেখে
দুলছে মৃদু হাওয়ায়,
হাসছে কৃষান খুশি মনে
গাইছে পাখিরা গান বনে
দারুণ ঘ্রাণ পাওয়ায়।
ফসল উঠবে গোলা-ঘরে
স্তূপ করানো ধানের খড়ে
সূর্যের ছড়ানো রোদে,
ক্লান্তি আসে না কৃষকের
ঘাম ঝরান তা বৈশাখের
অন্যরকম সুখ বোধে।
জহিরুল হক বিদ্যুৎ
গ্রীষ্মকালে নানান রকম
ফলের বাহার দেখি,
বৃক্ষ ডালে আম ও জামে
মুগ্ধ করে আঁখি।
কাঁঠাল, লিচু, বেল ও কলা
ঝুলে আছে গাছে,
তরমুজ, বাঙ্গি, আনারসেও
খেত যে ভরা আছে।
লাল ও সাদা জামরুল খেলে
মুখ ভরে যায় রসে,
পেয়ারাও বেশ দারুণ স্বাদের
রস ভরা টসটসে।
আরো দেখি বনবাদাড়ে
লেবু, বৈঁচি, চুকুর,
পেকে আছে গোছা গোছা
হলুদ রঙের ডুমুর।
পাকা পেঁপে তালের শাসও
খেতে দারুণ লাগে,
গ্রীষ্মকালে ফল খেলে তাই
শরীর ভালো থাকে।
শারমিন নাহার ঝর্ণা
এক যে ছিল মজার দেশ
জাদুর বাতি জ্বলে,
গাছের পাতা হেসে হেসে
মিষ্টি কথা বলে।
ফুলে ফুলে প্রজাপতি
খলখলিয়ে হাসে,
জলের উপর পাখির বাসা
কী যে সুখে ভাসে।
কুমির ছানা ডাঙ্গায় বসে
খেলে জাদুর খেলা,
মাছেরা সব ডাঙ্গায় বসে
সাজায় মজার মেলা।
মজার দেশে জাদুর খেলা
দিনে রাতে চলে,
মজার দেশে জাদুর রাজা
মজার কথা বলে।
হাফিয রেদওয়ান
মাথা বড় কাতলা
ঝোল মজা, পাতলা।
পেটি বড় চিতল
খেয়ে মন শীতল।
ইলিশ ভাজা সরষে
মুখে পুরি হরষে।
শিং টেংরা কৈ
আহা! স্বাদ, হই হই।
কাব্য কবির
মাগো তোমার আঁচল তলে
শান্তি খুঁজে পাই,
এমন পরশ স্বর্গ ছাড়া
আর কোথাও নাই।
কোথায় আছি, কেমন আছি
নাও যে তুমি খোঁজ,
দুধ, কলা, ভাত আদর করে
মেখে খাওয়াও রোজ।
কাঁদো তুমি রবের কাছে
আমার অসুখ হলে,
কেঁদে কেঁদে ভাসো তুমি
দুই নয়নের জলে।
আব্দুস সাত্তার সুমন
মুক্ত পাখি মুক্ত হয়ে
দূর আকাশের বুকে,
সাদা সাদা মেঘের ভেলায়
থাকবে মহাসুখে।
প্রাণ পাখিটি বলবে গিয়ে
মুক্ত হতে চাই,
সবুজ ঘেরা ওই বনেতে
দেবে আমায় ঠাঁই?
স্বাধীন পাখি স্বাধীন হয়ে
সুখী হবে নীড়ে,
সুখে-দুঃখে থেকো তুমি
শত পাখির ভিড়ে।
উড়ে উড়ে রঙিন ডানায়
যাবে গহিন বনে,
যেথায় থেকো সুস্থ থেকো
রাখবে আমায় মনে?