চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকাল মানেই গরম। তাই বলে এত গরম! দেশের ৪০টিরও বেশি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এই যে এত্ত গরম, এটা কি শুধু বাংলাদেশে? না বিশ্বের অনেক দেশের তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি। তো বিশ্বের দশটি গরম এলাকার তাপমাত্রা সম্পর্কে জানা যাক
১০
জেদ্দা, সৌদি আরব
সৌদি আরবের পশ্চিমের অঞ্চল জেদ্দায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত। তারিখটা ছিল ২০১০ সালের ২২ জুন।
৯
ম্যাক্সিকালি, মেক্সিকো
১৯৯৫ সালের ২৮ জুলাই ম্যাক্সিকোর ম্যাক্সিকালি উপত্যকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ওদিকে এ উপত্যকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
৮
আলজাজিরা বর্ডার গেট, সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল জাজিরা বর্ডার গেটে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সময় ছিল ২০০২ সালের জুলাই মাস। ২০১৩ সালে ৫১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। যদিও এই তাপমাত্রা ১৫ মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল।
৭
তুরবাত, পাকিস্তান
২০১৭ সালের ২৮ মে পাকিস্তানের তুরবাত এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬
বসরা, ইরাক
২০১৬ সালের ২২ জুলাই, ইরাকের বসরায় তাপমাত্রা ছিল ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৫
মিত্রিবাহ, কুয়েত
২০১৬ সালের ২১ জুলাই কুয়েতের মিত্রিবাহ আবহাওয়া দপ্তর তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস- যা ছিল ওই অঞ্চলের ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৪
তিরাত তজভি, ইসরায়েল
১৯৪২ সালের ২১ জুন রেকর্ড করা হয় ইসরায়েলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা-৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩
আহভাজ, ইরান
২০১৭ সালের ২৯ জুন স্থানীয় সময় ৪টা ৫১ মিনিটে ইরানের আহভাজে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৫৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।
২
কাবিলি, তিউনিসিয়া
আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তিউনিসিয়ার কাবিলিতে। সেদিন ছিল ১৯৩১ সালের ৭ জুলাই। আর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১
ফার্নেস ক্রিক, ডেথ ভ্যালি, যুক্তরাষ্ট্র
পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকে। ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই রেকর্ড করা হয় ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গ্রীষ্মে এখানকার সাধারণ তাপমাত্রাই থাকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৭২ সালের ১৫ জুলাই ডেথ ভ্যালির মাটির তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র বিবিসি
জাহ্নবী