ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ডার্ক এনার্জি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
ডার্ক এনার্জি

কলমের নিপের চেয়েও অনেক ক্ষুদ্র কণা থেকে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয় আমাদের এই মহাবিশ্বের। এই মহাবিস্ফোরণকে আমরা বিখ্যাত বিগ ব্যাং থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি।

সাধারণত যেকোনো বিস্ফোরণের পরে তা থেকে উৎপন্ন কণাগুলোর ছড়িয়ে পড়ার গতি ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। একইভাবে বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্র্যাভিটেশন বলের কারণে মহাবিশ্বের প্রসারণের গতি কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ১৯৯৮ সালে যখন দুই দল বিজ্ঞানী মহাবিশ্বের প্রসারণের গতি হ্রাসের পরিমাপ করার জন্য হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে (Type 1A supernova) বিস্ফোরণের ওপর পর্যবেক্ষণ করেন। তখন তারা দেখতে পান যে, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের গতি কমা বা স্থিতিশীল থাকার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর শক্তি যা মধ্যাকর্ষণ এর বিপরীতে ক্রিয়া করবে। কিন্তু তৎকালীন বিজ্ঞানীদের কাছে এটি ছিল অসম্ভব ঘটনা। কারণ তখন বিজ্ঞানীদের কাছে এই প্রসারণের পেছনে ক্রিয়াশীল বল সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। তাই তারা এই অদৃশ্য শক্তির নাম দেন ডার্ক এনার্জি বা তমোশক্তি। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের মহাবিশ্ব ৬৮ শতাংশ ডার্ক এনার্জি দিয়ে তৈরি।

তবে আইনস্টাইন আগেই ডার্ক এনার্জির অনুমান করতে পেরেছিলেন। এক ধরনের মহাজাগতিক বিকর্ষণকারী শক্তি প্রথম ১৯১৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বারা উন্মোচন করা হয়েছিল এবং এটি একটি শব্দ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছিল, ‘মহাজাগতিক ধ্রুবক’, যা আইনস্টাইন অনিচ্ছাকৃতভাবে তার সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বে প্রবর্তন করেছিলেন, যাতে মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে প্রতিহত করা যায় এবং এমন একটি মহাবিশ্বের জন্য অ্যাকাউন্ট করা যায়, যা স্থির বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল (প্রসারিত বা সংকোচনকারী নয়)। ১৯২০-এর দশকে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবল আবিষ্কার করেন যে, মহাবিশ্ব স্থির নয় বরং প্রকৃতপক্ষে প্রসারিত হচ্ছে। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পারি, আইনস্টাইনের এই ধ্রুবকই ডার্ক এনার্জি বা অদৃশ্য শক্তি।

ডার্ক এনার্জি নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সব থেকে গ্রহণযোগ্য মত অনুসারে, ডার্ক এনার্জি এক ধরনের অ্যান্টি গ্র্যাভিটি, যা স্থান বা স্পেস থেকে উৎপত্তি হয় এবং এর পজিটিভ ফিডব্যাকের কারণে এটি গ্র্যাভিটির বিপরীতে কাজ করে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ হতে সাহায্য করে। এই প্রসারণের গতি নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে বা ত্বরণ হচ্ছে। ডার্ক এনার্জির উদাহরণ হিসেবে আমরা কৃষ্ণগহ্বরের কথা চিন্তা করতে পারি, যা প্রতি সেকেন্ডে বড় হচ্ছে এবং এতে মানদণ্ডের অবকাশ থাকে না যে, এর বড় হওয়ার পেছনে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে।

আমাদের জীবনে ডার্ক এনার্জির সরাসরি কোনো প্রভাব নেই। আমরা এটি দেখতে বা অনুভব করতে পারি না, শুধু ধারণা নিতে পারি। কিন্তু কয়েক ট্রিলিয়ন বছর পর এই অদৃশ্য শক্তির কারণে স্পেস এক্সপ্যান্ট হবে খুবই দ্রুত গতিতে যা মহাবিশ্বের গ্র্যাভিটিকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। ফলে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিসহ অন্যান্য সবল গ্যালাক্সি ভেঙে পড়বে। এমনকি মহাবিশ্বের সব পার্টিকেল ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হবে একটি নতুন ও শীতল মহাবিশ্ব যা সৃষ্টির শুরুতে ছিল।

জাহ্নবী

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আমরা আঁকি

দেবনীল চেীধুরী
কেজি ওয়ানৎ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরি
পাঠানটুলা, সিলেট।
/আবরার জাহিন

 

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আমরা আঁকি

নাজিবাহ ইবনাত প্রান্তি
নবম শ্রেণি 
আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

/আবরার জাহিন

নীল সাগরের তিমি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
নীল সাগরের তিমি

ইউরোপের একটি ছবির মতো সুন্দর দেশ নরওয়ে। মানুষগুলো ছিমছাম, নির্ভেজাল ও হাসিখুশি। নরওয়ের রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূল। এ দেশের অনেক মানুষ তাই মাছ ধরে। এজন্য নরওয়েকে জেলেদের দেশ বলা হয়।

নরওয়ের খোলা সাগরে ভেসে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে তিমির দল। মাঝে মাঝে উপকূলে ঢু দিয়ে যায়। তারা সমুদ্রে খেলা করে। অবাক করার মতো হলেও এটা সত্যি যে, তারা গানও গায়। সে গান অন্য তিমিরাও শুনতে পায় বহু বহু  দূর থেকে। বিজ্ঞানীরা তো এ-কথাও বলেন যে, তিমিদের নিজস্ব ভাষাও আছে। তারা সে ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাও বলে। আর যখন তখন সমুদ্রের বুকে ডিগবাজি খায়। 9তিমিরা দল বেঁধে চলে। অবাক করার মতো কথা হলো, তাদের পরিবারও আছে। মা তিমি তার সন্তানকে পনেরো বছর পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তার পর ছেড়ে দেয় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য।

তো আমাদের এ গল্পের তিমি শিশুটির নাম অ্যাবে। তার মা সিলোনি তাকে খুব আদর করত। খুব ভালোবাসত। কিন্তু যখন অ্যাবের বয়স পনেরো হয়ে গেল, তখন তার মা সিলোনি তাকে স্বাধীন করে দিল। সত্যি সত্যিই, সিলোনি এটা চায়নি। কিন্তু সমাজের নিয়ম বলে কথা! তাই ছেলেকে না ছেড়ে তার উপায় ছিল না। অ্যাবে কয়েকদিন কান্না করতে করতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াল। ধীরে ধীরে সমুদ্রের নানা রকম মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ভেসে বেড়িয়ে, গল্প করে তার সময় ভালোই কাটতে লাগল। ভালো লাগল সমুদ্রের প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করতে। এমনি করতে করতে একদিন একটা রে-ফিসের সঙ্গে সাঁতরাতে সাঁতরাতে সে চলে এল নরওয়ের সমুদ্র উপকূলের খুব কাছে। সেখানে নরওয়ের রাজা হ্যানসনের রাজকীয় জাহাজ এমভি মার্টিনা নোঙর করা ছিল। রাজা এই জাহাজে চড়ে তার ভীষণ অসুস্থ ছেলে হ্যানসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করাতে।

জাহাজটি এক সপ্তাহের মধ্যেই রওনা হবে। ছোট্ট তিমি অ্যাবে আগে কখনো জাহাজ দেখেনি। সে বিস্মিত হলো। আনন্দে সে বড় করে দম নিয়ে সমুদ্রে ডুব দিল, একটু পরেই ভুস করে ভেসে উঠে আকাশের দিকে লাফ দিল পানি ছিটাতে ছিটাতে। তখন অ্যাবেকে মনে হচ্ছিল একটা উড়ন্ত পানির ফোয়ারা। রাজপুত্র হ্যানসন তখন জাহাজের খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিল। খালাসিরা ছোটাছুটি করে জাহাজে প্রয়োজনীয় মালপত্র ওঠাচ্ছিল। হ্যানসন তিমিটাকে দেখে ফেলল আর ওকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে তিমিটার উদ্দেশে গান গেয়ে উঠল। গানটা কিন্তু ছোট্ট তিমি অ্যাবের খুব ভালো লাগল। সে প্রতিদিন রাজপুত্র হ্যানসনের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল।

একদিন রাজার সেনাপতি রবরয় তিমিটিকে দেখে ফেলল। সে হারপুন গান দিয়ে তিমিটির দিকে গুলি ছুড়ল। ছোট্ট তিমির চারপাশে রক্তে লাল হয়ে গেল পানি। ধীরে ধীরে সে সমুদ্রে তলিয়ে গেল। রাজপুত্র হ্যানসন ডেক থেকে সবকিছু দেখে চিৎকার করে সমুদ্রে দিল ঝাঁপ। সে সাঁতার জানত না, তাই সেও সমুদ্রে তলিয়ে গেল।

সমুদ্রে স্কুবা ডাইভার পাঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাজপুত্রকে আর পাওয়া গেল না। শোনা যায় আজও নরওয়ের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তখন তারা কখনো কখনো রাজপুত্রের করুন কণ্ঠের গান শোনে। জেলেদের মন তখন রাজপুত্রের কথা ভেবে বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিঝরা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিঝরা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

মেঘ গুরগুর ডাকছে দেয়া
আকাশ কালো করে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার ডানায় চড়ে
নামল বৃষ্টি জোরে।
তা-ধিন তা-ধিন সোনাব্যাঙে
নাচছে খালে বিলে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাঙা সুরেই
ডাকছে সবাই মিলে।
শিশু-কিশোর উঠোনজুড়ে
করছে লুটোপুটি,
কেউবা বিলে বড়শি পেতে
ধরছে ট্যাংরা পুঁটি।
কদম ফুলের পাপড়ি মেলে
বর্ষা ওঠে হেসে,
নদী-নালা পায় ফিরে প্রাণ
রূপসী বাংলাদেশে।

বাদলা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
বাদলা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে 
ভরেছে ওই ঝিল,
শব্দ ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ 
নদী ও খালবিল!

জলের নাচন দেখবে খোকন 
ভাল্লাগে না ঘরে,
টইটম্বুর ডোবা পুকুর
জল থইথই করে!

বাদলা দিনে করতে মানা
এমন ছোটাছুটি,
ওই দেখো মা জলে ভাসে 
টেংরা, বেলে, পুঁটি!

শুনব না আজ কোনো বাধা 
ধরব মাগুর কই,
ধুম পড়েছে বিলের মাঝে
মাছ ধরার হইচই!