ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঈদের ছড়া

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
ঈদের ছড়া

ছড়া

ঈদের দিনটি এলে 
গোলাম নবী পান্না 

ঈদের নতুন পোশাক পেলে 
আর কি লাগে বলো? 
নেই তা যাদের তাদেরকে তা
দেই বিলিয়ে চলো। 
ঈদের খুশি সমানভাবে 
ওরাও পেতে চায় 
কেমন করে মিলবে এসব 
অভাব পায়ে পায়!
ঈদের দিনটি ফিরে এলে 
অবাক হয়ে দেখি! 
ভাগ্যটা যে ফেরে না আর 
যত কিছুই লেখি।

ঈদের মজা 
ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান 

বাবার হাতে বেশ কয়েকটা
ঈদের শপিং ব্যাগ
ব্যাগের গোছা দেখে খুকুর
কাটলো মনের মেঘ।

ঈদের জামা কিনছে বাবা
মনটা খুকুর নাচে
খুশির চোটে দৌড়ে খুকু
গেল বাবার কাছে!

বাবার হাতের ব্যাগগুলোকে
আনলো খুকু ঘরে 
সবগুলো ব্যাগ খুললো খুকু
একটু তাড়া করে!

সবার আছে ঈদের জামা
দেখতে চমৎকার 
বাবার কোনো পায়নি জামা
মনটা খুকুর ভার!

বললো খুকু, ঈদ হবে না
বাবার জামা চাই;
বাবার নতুন জামা ছাড়া
ঈদের মজা নাই।


ঈদ আসুক গাজাতে 
হাসান মুসান্না মিশু  

হাসি খুশি নিয়ে ঈদ 
আসে ধরা সাজাতে, 
বারুদের বিষে আজ
ঈদ নেই গাজাতে!

অপরাধ কী যে ছিলো 
গাজাবাসী শিশুদের? 
কেন তবে প্রাণ ঝরে?
কোল খালি মায়েদের? 

অমানিশা ভোর হোক 
সহসাই নাজাতে,
বারেবারে ঈদ যেন-
ফিরে আসে গাজাতে!


ঈদের চাঁদ
কাজী আবুল কাসেম রতন

চাঁদ উঠেছে চাঁদ উঠেছে
চাঁদ উঠেছে ওই
ওই চাঁদেতে খুকুর মনটা 
রাখার জায়গা কই?
চাঁদ উঠেছে ওই
নদীর ধারে চাঁদের আলো 
জোনাক ছড়ায় ওই।
চাঁদ উঠেছে চাঁদ উঠেছে
চাঁদ উঠেছে ওই
শষ্যক্ষেতে চাঁদের আলোয় 
দিচ্ছে চাচা মই।
চাঁদ উঠেছে চাঁদ উঠেছে
চাঁদ উঠেছে ওই
ফুল বাগানে খোকা খুকু
পড়ছে ছড়ার বই।


খোকার হাসি
মজনু মিয়া 

কাতুকুতু দিলে খোকা
খলখলিয়ে হাসে,
বসেই ছিলাম পাশে
ধরতে গেলে দূরে সরে
দম খিলিয়ে কাশে।

জাপটে ধরে কোলে নিলে
আমতা আমতা কয়,
কাতুকুতু হয়
ছেড়ে দাও যে আমায় একা
আহা মধুময়!

খোকার হাসি হয় না বাসি
তড়তাজা তা খুব,
হাসলে অপরূপ
এমন হাসির বিনিময়ে
রয় কী তা চুপ চুপ!

ঈদ আনন্দ
এইচ এস সরোয়ারদী

চাঁদ উঠেছে, চাঁদ উঠেছে
চাঁদ উঠেছে ঐ
ঈদ আনন্দে খোকা-খুকু
করছে যে হইচই।

আমার প্রিয় বড় মামা
আনছে কিনে নতুন জামা
আরও কতো কি ?
বাবার জন্য পাঞ্জাবি আর 
মায়ের জন্য ঘি।

কি যে খুশি লাগছে মনে
ফুল ফুটেছে বনে বনে
গাইছে পাখি খুব,
ঈদ আনন্দে বদলে গেছে
আমার গাঁয়ের রূপ।

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আমরা আঁকি

দেবনীল চেীধুরী
কেজি ওয়ানৎ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরি
পাঠানটুলা, সিলেট।
/আবরার জাহিন

 

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আমরা আঁকি

নাজিবাহ ইবনাত প্রান্তি
নবম শ্রেণি 
আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

/আবরার জাহিন

নীল সাগরের তিমি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
নীল সাগরের তিমি

ইউরোপের একটি ছবির মতো সুন্দর দেশ নরওয়ে। মানুষগুলো ছিমছাম, নির্ভেজাল ও হাসিখুশি। নরওয়ের রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূল। এ দেশের অনেক মানুষ তাই মাছ ধরে। এজন্য নরওয়েকে জেলেদের দেশ বলা হয়।

নরওয়ের খোলা সাগরে ভেসে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে তিমির দল। মাঝে মাঝে উপকূলে ঢু দিয়ে যায়। তারা সমুদ্রে খেলা করে। অবাক করার মতো হলেও এটা সত্যি যে, তারা গানও গায়। সে গান অন্য তিমিরাও শুনতে পায় বহু বহু  দূর থেকে। বিজ্ঞানীরা তো এ-কথাও বলেন যে, তিমিদের নিজস্ব ভাষাও আছে। তারা সে ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাও বলে। আর যখন তখন সমুদ্রের বুকে ডিগবাজি খায়। 9তিমিরা দল বেঁধে চলে। অবাক করার মতো কথা হলো, তাদের পরিবারও আছে। মা তিমি তার সন্তানকে পনেরো বছর পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তার পর ছেড়ে দেয় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য।

তো আমাদের এ গল্পের তিমি শিশুটির নাম অ্যাবে। তার মা সিলোনি তাকে খুব আদর করত। খুব ভালোবাসত। কিন্তু যখন অ্যাবের বয়স পনেরো হয়ে গেল, তখন তার মা সিলোনি তাকে স্বাধীন করে দিল। সত্যি সত্যিই, সিলোনি এটা চায়নি। কিন্তু সমাজের নিয়ম বলে কথা! তাই ছেলেকে না ছেড়ে তার উপায় ছিল না। অ্যাবে কয়েকদিন কান্না করতে করতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াল। ধীরে ধীরে সমুদ্রের নানা রকম মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ভেসে বেড়িয়ে, গল্প করে তার সময় ভালোই কাটতে লাগল। ভালো লাগল সমুদ্রের প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করতে। এমনি করতে করতে একদিন একটা রে-ফিসের সঙ্গে সাঁতরাতে সাঁতরাতে সে চলে এল নরওয়ের সমুদ্র উপকূলের খুব কাছে। সেখানে নরওয়ের রাজা হ্যানসনের রাজকীয় জাহাজ এমভি মার্টিনা নোঙর করা ছিল। রাজা এই জাহাজে চড়ে তার ভীষণ অসুস্থ ছেলে হ্যানসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করাতে।

জাহাজটি এক সপ্তাহের মধ্যেই রওনা হবে। ছোট্ট তিমি অ্যাবে আগে কখনো জাহাজ দেখেনি। সে বিস্মিত হলো। আনন্দে সে বড় করে দম নিয়ে সমুদ্রে ডুব দিল, একটু পরেই ভুস করে ভেসে উঠে আকাশের দিকে লাফ দিল পানি ছিটাতে ছিটাতে। তখন অ্যাবেকে মনে হচ্ছিল একটা উড়ন্ত পানির ফোয়ারা। রাজপুত্র হ্যানসন তখন জাহাজের খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিল। খালাসিরা ছোটাছুটি করে জাহাজে প্রয়োজনীয় মালপত্র ওঠাচ্ছিল। হ্যানসন তিমিটাকে দেখে ফেলল আর ওকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে তিমিটার উদ্দেশে গান গেয়ে উঠল। গানটা কিন্তু ছোট্ট তিমি অ্যাবের খুব ভালো লাগল। সে প্রতিদিন রাজপুত্র হ্যানসনের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল।

একদিন রাজার সেনাপতি রবরয় তিমিটিকে দেখে ফেলল। সে হারপুন গান দিয়ে তিমিটির দিকে গুলি ছুড়ল। ছোট্ট তিমির চারপাশে রক্তে লাল হয়ে গেল পানি। ধীরে ধীরে সে সমুদ্রে তলিয়ে গেল। রাজপুত্র হ্যানসন ডেক থেকে সবকিছু দেখে চিৎকার করে সমুদ্রে দিল ঝাঁপ। সে সাঁতার জানত না, তাই সেও সমুদ্রে তলিয়ে গেল।

সমুদ্রে স্কুবা ডাইভার পাঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাজপুত্রকে আর পাওয়া গেল না। শোনা যায় আজও নরওয়ের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তখন তারা কখনো কখনো রাজপুত্রের করুন কণ্ঠের গান শোনে। জেলেদের মন তখন রাজপুত্রের কথা ভেবে বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিঝরা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিঝরা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

মেঘ গুরগুর ডাকছে দেয়া
আকাশ কালো করে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার ডানায় চড়ে
নামল বৃষ্টি জোরে।
তা-ধিন তা-ধিন সোনাব্যাঙে
নাচছে খালে বিলে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাঙা সুরেই
ডাকছে সবাই মিলে।
শিশু-কিশোর উঠোনজুড়ে
করছে লুটোপুটি,
কেউবা বিলে বড়শি পেতে
ধরছে ট্যাংরা পুঁটি।
কদম ফুলের পাপড়ি মেলে
বর্ষা ওঠে হেসে,
নদী-নালা পায় ফিরে প্রাণ
রূপসী বাংলাদেশে।

বাদলা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
বাদলা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে 
ভরেছে ওই ঝিল,
শব্দ ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ 
নদী ও খালবিল!

জলের নাচন দেখবে খোকন 
ভাল্লাগে না ঘরে,
টইটম্বুর ডোবা পুকুর
জল থইথই করে!

বাদলা দিনে করতে মানা
এমন ছোটাছুটি,
ওই দেখো মা জলে ভাসে 
টেংরা, বেলে, পুঁটি!

শুনব না আজ কোনো বাধা 
ধরব মাগুর কই,
ধুম পড়েছে বিলের মাঝে
মাছ ধরার হইচই!