এই সময়ে আরামের পোশাক । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

এই সময়ে আরামের পোশাক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
এই সময়ে আরামের পোশাক
মডেল: জারা, পোশক: বিশ্বরঙ, ছবি:সুজন

সময়টা এখন বেশ গরমের। বাইরে বের হতে হলে সবার আগে নজর দিতে হয় পোশাকে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে গায়ে উঠছে আরামদায়ক, পাতলা ও ঢিলেঢালা পোশাক। পোশাকের সঙ্গে ফ্যাশনও যোগ হচ্ছে কাট, ছাপা কিংবা নকশায়। আরামদায়ক পোশাক নিয়ে লিখেছেন তামান্না মুন

গরমের এই সময় পোশাকের ধরনের পাশাপাশি কাপড়ের দিকেও নজর রাখতে হবে। কড়া রোদে সুতির কাপড় বেশি আরামের। কারণ সুতির কাপড় দ্রুত ঘাম শোষণ করতে পারে আবার সহজে শুকিয়েও যায়। তাই তীব্র গরমে সুতির কাপড়ে মিলে প্রশান্তি। সুতির টপস, শার্ট, টি-শার্ট, কুর্তি ধরনের পোশাকের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। তবে অফিস বা ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে লিনেন কাপড় বেশি আরামদায়ক। এ ধরনের কাপড় হালকা হওয়াতে পরতেও ভালো লাগে। উৎসব-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে লিনেন কাপড়ের পোশাক বেশ মানানসই।

গরমে সাদা রঙের পোশাক সবচেয়ে আরামদায়ক। তবে ফ্যাশনসচেতন মানুষের জন্য পোশাকের ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে মানানসই রং বেছে নেন। তাছাড়া সাদা কিংবা যেকোনো ধরনের হালকা রঙের পোশাক পরলেই গরমে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন। সাদার পাশাপাশি হালকা গোলাপি, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসরসহ রঙের যেকোনো পোশাক এই গরমে প্রাধান্য দিতে পারেন। তবে এই গরমে চেষ্টা করবেন কালো রং যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে।

পাতলা কাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে কাটছাঁটে থাকছে নতুনত্বের ছাপ। গরমের এই সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরলে আরাম পাবেন। অনেকে ফিটিং পোশাক পরতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু তাপপ্রবাহ চলাকালে খুব চাপা পোশাক না পরাই ভালো। টাইট পোশাক পরলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হয় না। ত্বকে র‌্যাশও হতে পারে। তাই আরামদায়ক পোশাক পরাই ভালো। এই সময় হালকা ডিজাইনের পোশাক পরাই উত্তম। এখন রোদের তাপ এত বেশি যে, ফুল স্লিভ পোশাক পরাই ভালো। হাফ স্লিভ পরলে, হাত ঢাকা থাকে সেই ব্যবস্থা করে বের হতে হবে।

গরমের আরামদায়ক পোশাক সম্পর্কে বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা জানান, বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ জুড়ে গ্রীষ্মকাল। এই সময় সূর্যের প্রচণ্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি, গ্রীষ্ম হলো বছরের উষ্ণতম কাল, যা পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সাধারণত জুন, জুলাই এবং আগস্ট জুড়ে অবস্থান করে। গ্রীষ্মকাল নিঃসন্দেহে বছরের সবচেয়ে তপ্ত ঋতু। এই সময় সূর্যের তাপের তপ্ততায় জীবন ওষ্ঠাগত। তবু গ্রীষ্মের সুমিষ্ট ফলমূল, নববর্ষ উৎসব, জামাই ষষ্ঠী ইত্যাদি আমাদের জীবনে আনন্দ সঞ্চার করে। বাঙালি মানেই উৎসব, তথা বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই আপনার ভালোবাসার ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ তার শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আয়োজন করেছে গ্রীষ্ম উৎসবের।

তাপপ্রবাহের এই গ্রীষ্ম উৎসবের আয়োজনে মূলত থাকছে শুভানুধ্যায়ীদের জন্য ব্যবহারে আরামদায়ক সুতি কাপড়ের মনমাতানো সব বাহারি ডিজাইনের কালেকশন। আমাদের এর এই অফারে পোশাকের প্যাটার্নে থাকছে ভিন্নতা। শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদিতে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার উপযোগী আরামদায়ক সুতি, লিনেন, ভয়েল, স্লাব, শ্যামলে কাপড়সহ থাকছে ভিন্ন ভিন্ন কিছু বাহারি কাপড়। পোশাকগুলোয় উজ্জ্বল রঙের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশাপাশি কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে চুনড়ি, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, কারচুপি, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। ভিজিট করুন আমাদের ই-কমার্স সাইট www.bishworang.com.bd

 কলি 

গরমে ব্যাগে যা রাখবেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
গরমে ব্যাগে যা রাখবেন
মডেল: নিশা, ছবি: শরিফ মাহমুদ

গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপে জীবন অতিষ্ঠ। বিরূপ এ আবহাওয়ায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজন সতর্কতা ও যত্নের। এই গরমেও যাদের নিয়মিত বাইরে যেতে হয়, তাদের ব্যাগের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে তাই বাইরে বের হওয়ার আগে ব্যাগে গুছিয়ে নিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। তা নিয়ে লিখেছেন হাসিবা আক্তার 

পানির বোতল
গরমের অন্যতম সমস্যা প্রচুর ঘাম হওয়া। ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বের হয়, ফলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। আবার প্রচুর ধুলোবালি ও ঘামের কারণে অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই অফিস ব্যাগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসেবে অবশ্যই একটা পানির বোতল রাখবেন, অস্বস্তি ভাবের উদ্রেক হলেই মুখে পানি দিতে পারেন কিংবা নিজেকে হাইড্রেট রাখার জন্য কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করতে পারেন। যদি সুযোগ থাকে তাহলে পানির মধ্যে লবণ-চিনি বা গ্লুকোজ মেশান এতে উপকার পাবেন। সম্ভব হলে সঙ্গে প্যাকেট স্যালাইন রাখুন। পানির সঙ্গে শসার কুচি, আদারি কুচি, পুদিনা পাতা, লেবু মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানাতে পারেন। এটিও শরীর হাইড্রেট রাখতে চমৎকার কাজ করবে। তবে কোনোভাবেই ঠাণ্ডা পানি পান করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাই এটিকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

সানস্ক্রিন
ত্বকের জন্য রোদ বেশ ক্ষতিকর। তাই রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে হলে ব্যবহার করতে হবে এসপিএফযুক্ত (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) সানস্ক্রিন। গরমে ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন এই সানস্ক্রিন দেওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে বের হওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং ঘড়ি ধরে দুই ঘণ্টা পরপর তা রিঅ্যাপ্লাই করাও জরুরি, তা না হলে ত্বকের পরিপূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব নয়। মনে করে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় ব্যাগে নিন সানস্ক্রিন। কার্যকারিতা বজায় রাখতে অবশ্যই সানস্ক্রিন নতুন করে ব্যবহার করতে হবে।

ছাতা কিংবা সাদা স্কার্ফ
প্রখর রোদ আর হঠাৎ করে আসা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতার প্রয়োজনীয়তা অনেক। রোদে ছাতা ব্যবহার করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পাওয়া যায়। এতে করে কালচে দাগ পড়ার ভয়টা কম থাকে। মনে করে ব্যাগে ছাতা রাখুন যদি ছাতাকে অতিরিক্ত ঝামেলা মনে হয়, তবে বাইরে বের হওয়ার সময়টুকুতে অন্তত মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

রোদচশমা
রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করতে চাই রোদচশমা। এ ছাড়া ধুলোবালি থেকে চোখকে বাঁচাবে এটি। তাই বের হওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাগে রাখতে হবে রোদচশমা।

টিস্যু পেপার
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ভোগে বেশি। কেননা ঘাম হয় বেশি এবং তাতে মুখ তেলতেলে হয়ে এক ধরনের অস্বস্তি হয়, ফলে চেহারার অবস্থা বাজে হয়ে যায়। টিস্যুর ব্যবহার হতে পারে ভালো সমাধান। তাই ব্যাগে সব সময় টিস্যু রাখুন। গরমের সময় এটি ঘাম মোছার কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের ভেজা টিস্যু পেপার পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে পছন্দমতো টিস্যু সঙ্গে রাখতে পারেন।

পারফিউম
ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ, অফিসে থাকাকালীন এ ধরনের দুর্গন্ধ হতে পারে নিজের বা অন্যদের অস্বস্তির কারণ। তাই সঙ্গে রাখা প্রয়োজন পারফিউম বা বডি স্প্রে। দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে একটু স্প্রে করে নিলে সতেজ অনুভূত হবে।

 কলি 

অফিস থেকে পার্টিতে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
অফিস থেকে পার্টিতে
মডেল: জেসিয়া, পোশাক ও ছবি: লা রিভ

অফিস শেষে দাওয়াত, পার্টি বা বন্ধুদের আড্ডা থাকতেই পারে। ব্যস্ততার কারণে কখনো হয়তো অফিস শেষে এসব দাওয়াত এড়িয়ে যেতে হয়। আবার অনেক সময় অফিসের পোশাক পরেই অনুষ্ঠানে চলে যাওয়া যায় না। এ ছাড়া পার্টির জন্য আলাদা পোশাক বয়ে বেড়ানোও অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই অফিসের পোশাকে কিছুটা পরিবর্তন করে অনায়াসে পাওয়া যেতে পারে নিজের পছন্দসই পার্টি লুক। আর এমন পোশাক অফিসের গাম্ভীর্যও ধরে রাখবে। এই নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

আমাদের দেশে করপোরেট অফিসগুলোতে পশ্চিমা পোশাকের ব্যবহার আগের চেয়ে এখন অনেক বেড়েছে। স্কার্ট, ফরমাল শার্ট, ফতুয়া, টপ, বিভিন্ন প্যান্ট, পালাজ্জো, ব্লেজার ইত্যাদি পরতে হয়। ফরমাল প্যান্ট-স্যুট পরার চল রয়েছে।

তাই প্রথমে অফিসের পরিবেশের সঙ্গে যায় এমন ওয়েস্টার্ন পোশাক বেছে নিন, যেটা পরেই পার্টিতে যেতে পারেন। যদি অফিসের প্যান্ট বা স্কার্ট একটু গাঢ় রঙের হয়, তবে হালকা পেস্ট, স্কাই গোলাপি রঙের শার্ট বা টপস পরতে পারেন। এ ছাড়া প্যান্টের সঙ্গে বিভিন্ন ডিজাইনের মানানসই টপসও বেছে নিতে পারেন। শার্ট বা টপস পরলে ফরমাল স্যুট বেছে নিতে পারেন। লং কামিজের সঙ্গে লেগিংস বেছে নিতে পারেন। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, সবুজ, হলুদ, সাদার পাশাপাশি কমলা, বাদামির মতো উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে পারেন। এ ছাড়া প্লেন ওড়না বা স্কার্ফ বদলে একটু জমকালো ওড়না বা স্কার্ফ পরে নিতে পারেন। অফিসে যদি শাড়ি পরতে হয় তাহলে ব্লাউজের ডিজাইনে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে পারেন।

খেয়াল রাখতে হবে যেন কাপড়ে বেশি ভাঁজ না পড়ে। বেশি ফরমাল বা ক্যাজুয়াল না থেকে সেমি ক্যাজুয়াল লুকেও থাকতে পারেন, সঙ্গে গহনা পরতে পারেন যা আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই। সুতি, জর্জেট, লিনেন, সিল্ক কিংবা হাফ সিল্ক প্রায় সবধরনের কাপড়ের তৈরি  পোশাক যার প্যাটার্ন বা কাটে বিভিন্নতা থাকবে তেমন পোশাক বেছে নিন। বাহারি রঙ, ডিজাইন আর কাটিংয়ে বৈচিত্র্য আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

এ ছাড়া জুতা ও ব্যাগের ক্ষেত্রেও কিছুটা ভিন্নতা এনে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে আপনার লুকটা সাজাতে পারেন। খুব কড়া ধাঁচের কিছু পরা ঠিক নয় অফিসে। কিন্তু অফিস থেকে বের হয়ে নিজের লুকে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন।

প্রতিবছরই মেয়েদের জন্য ডিজাইনাররা নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করেন। যা পার্টি বা অফিসের জন্য বেশ মানানসই। এই ধারায় দেশের অন্যতম ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড লা রিভ নতুন ডিজাইনের পোশাক লঞ্চ করেছে নাইন-টু-নাইন বা অফিস-টু-পার্টিওয়্যারের বিশেষ কালেকশন হিসেবে।

নারী ও পুরুষদের জন্য ডিজাইন করা এই কালেকশনে থাকছে অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল ও সি গ্রিন, গোলাপি, সাদা, হলুদ, কমলা, কালো ও নীলের নিউট্রাল এবং ডিপ শেডের কম্বিনেশন। ফেব্রিক হিসেবে ব্লেন্ডেড ও প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মার্সেরাইজড কটন, জর্জেট, ক্রেপ, ভিসকস-ব্লেন্ড, প্রিমিয়াম ফেইলির মতো অ্যান্টি-রিঙ্কেল কাপড়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে এই পোশাকগুলো অফিসের ব্যস্ততার পরেও কুঁচকে যাবে না। মিনিমাল প্রিন্ট ও রুচিশীল কারুকাজে বিশেষ নজর রেখেছে তারা।

নাইন টু নাইনের এই কালেকশনে পাওয়া যাবে নারীদের টপস, শার্ট, মিড-লেংথ টিউনিক, কামিজ, সালোয়ার-কামিজসহ ম্যাচিং পালাজ্জো ও প্যান্টস স্টাইল। পুরুষের জন্য থাকছে ফরমাল ও বিজনেস ক্যাজুয়াল শার্ট, পোলো ও টিশার্ট, জিন্স ও চিনোস প্যান্ট। পোশাক ছাড়াও ম্যাচিং ব্যাগ, স্যান্ডেল, লোফার, লেদার বেল্ট, ওয়ালেট ও ইউনিসেক্স ল্যাপটপ ব্যাগের আয়োজনও রাখা হয়েছে।

কলি 

কাঁচা আমের আচার

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
কাঁচা আমের আচার

আমের সময় এখন। গরমের মধ্যে কাঁচা আমের স্বাদের কোনো তুলনা হয় না। এ সময় আমের আচার বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করে, সংগ্রহ করা হয়। বাড়িতে সহজেই বানাতে পারেন আমের আচার। এবার কাঁচা আমের আচারের কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সুতপা দে 

কাঁচা আমের কাশ্মীরি আচার 

উপকরণ

কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, আদা (চিকন করে ফালি করা) ২ টেবিল চামচ, লাল শুকনা মরিচ ৯-১০টি (ভেতরের বিচিগুলো ফেলে কুচি করে কেটে নিতে হবে), চুন (পান খাওয়ার) ২ টেবিল চামচ, পানি ১ লিটার, ভিনেগার আধা কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী। 

প্রণালি

প্রথমে আমগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে, ফালি করে কেটে নিন। এবার আমগুলোকে ৪-৫ ঘণ্টা চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভালোভাবে কচলিয়ে পরিষ্কার করে, পানি ঝরিয়ে নিন। এবার চুলায় ১টি প্যান বসান। প্যানে চিনি আর ২ কাপ পানি দিয়ে নাড়ুন। এরপর ভিনেগার ও লবণ দিন। পানি ফুটে উঠলে আদা ফালি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে আমগুলো দিয়ে দিন। আধা সেদ্ধ হলে শুকনা মরিচগুলো দিয়ে দিন। এবার যতক্ষণ পর্যন্ত আমগুলো সিদ্ধ হয়ে সোনালি রং না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমগুলো কম আঁচে জ্বাল দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। নরমাল ফ্রিজে রেখে ৬ মাস খেতে পারবেন। রোদে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

কাঁচা আমের ঝুরি আচার 

উপকরণ
কাঁচা আম ২৫০ গ্রাম, বোঁটা ছাড়া শুকনা মরিচ ৭-৮টি, রসুনের কোয়া ৬টি, সরিষা ২ টেবিল চামচ, সাদা ভিনেগার ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, হলুদ গুঁড়া ১চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ৩ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
ব্লেন্ডারে শুকনা মরিচ গুঁড়া সরিষা ও রসুনের কোয়া, সাদা ভিনেগার দিয়ে ব্লেন্ড করুন। পেঁয়াজ একদম মিহি করে কুচি করে কাটুন। আমের খোসা ছাড়িয়ে ঝুরি করে কাটুন। ঝুরি আম দুই হাতে চেপে চেপে ভেতরে থাকা পানি বের করুন। এবার আমের সঙ্গে মিহি করে কুচি করা পেঁয়াজ, হলুদের গুঁড়া, লবণ, চিনি, মরিচের গুঁড়া দিয়ে তৈরি মসলা ও তেল দিয়ে সব মিশ্রণ আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছড়ানো প্লেটে ছড়িয়ে দিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। শুকানো হয়ে গেলে পরিষ্কার কাচের বয়ামে রেখে দিন। একটি কড়াইতে ২ কাপ সরিষার তেল হালকা গরম করে, বয়ামে ঢেলে নিন। তেল ঠাণ্ডা হলে বয়ামের মুখ বন্ধ করে দিন। দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে এই আচার। মাঝে মাঝে বয়াম রোদে দেবেন।

আমের টক-ঝাল-মিষ্টি আচারি

উপকরণ

আম ১ কেজি, গুড় ২৫০ গ্রাম, চিনি ৪ টেবিল চামচ,রসুনের কোয়া ১০-১৫টি, সরিষার তেল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ, সিরকা ৩ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ৪টি, মৌরি, জিরা, শুকনা মরিচ ও পাঁচফোড়ন সমান অনুপাতে নিয়ে একসঙ্গে করা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

প্রণালি
আম খোসাসহ টুকরা করে কেটে নিয়ে পানিতে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। যাতে আমের কষ বের হয়ে যায়। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও রসুনের কোয়া দিয়ে নাড়াচাড়া করে আম দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করার পর আদাবাটা, সরিষা বাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, সিরকা ও লবণ দিয়ে দিন। এরপর গুড় ও চিনি দিয়ে আবার কিছুক্ষণ রান্না করুন। রান্না করার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে এতে আগে থেকে করে রাখা মসলা মিশ্রণের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। এবার শুকনা ও জীবাণুমুক্ত বয়ামে ঢেলে রেখে দিন।

কলি

গ্রীষ্ম উৎসবে দেশীদশ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
গ্রীষ্ম উৎসবে দেশীদশ

ছয় ঋতুর প্রথম ঋতুই গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকাল মানেই তপ্ত রোদ, গরম, হঠাৎ বৃষ্টি বা ঝড়। জনজীবনে যার প্রভাব পড়ে কখনো বৃষ্টিতে আবার কখনো কাঠফাটা রোদে। এর মধ্যেই এমন পোশাক নির্বাচন করতে হয় যা আমাদের স্বস্তি দিবে। তাই এসময়ে দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেশীদশ এ শুরু হয়েছে গ্রীষ্ম উৎসব।

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দশটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড নিপুণ, কে ক্রাফট, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা, দেশাল, নগরদোলা ও সৃষ্টি এর সমন্বয়ে গঠিত দেশীদশ। অনন্য ভাবনায় গঠিত দেশীদশ জন্মলগ্ন থেকে গত ১৫ বছরে দেশীয় ফ্যাশন শিল্প বিকাশে নিরন্তর কাজ করে চলছে ।

গ্রীষ্মকালীন সময়ের সকল পোশাক প্রদর্শনী হবে দেশীদশ এর ঢাকার বসুন্ধরা সিটি লেভেল চারে, সিলেটের কুমারপাড়া, চট্টগ্রামের পাঁচলাইসের আফমি প্লাজায় অবস্থিত আউটলেটগুলোতে। এই আয়োজনে থাকবে গ্রীষ্ম উৎসবের আরামদায়ক পোশাক যা ক্রেতাকে এই গরমেও স্বস্তি দিবে। গ্রীষ্ম উৎসবের আয়োজনে থাকবে শার্ট, টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, টপস, কামিজ এর পাশাপাশি শাড়ি, পাঞ্জাবী, স্ট্রিচ ড্রেস (থ্রি-পিস), আনস্ট্রিচ ড্রেস ইত্যাদি।

১৭ই মে থেকে দেশীদশে শুরু হওয়া গ্রীষ্ম উৎসব চলবে ২৭শে মে অবধি।আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনেও প্রদর্শিত হবে গ্রীষ্ম উৎসব এর আয়োজন।

দেশীদশ এর ফেসবুক পেজ  https://www.facebook.com/deshidosh2009 এও দেখা যাবে এই আয়োজনের বর্ণিল সব পোশাক।

কলি

 

তাভাস এবং ডিমান্ডে ছাড়

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
তাভাস এবং ডিমান্ডে ছাড়

সামারে তাভাস এবং ডিমান্ড ফ্যাশন হাউজে চলছে ছাড়। ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে আপনি পাবেন পছন্দের পোশাক।  
স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এম্ব্রয়ডারির কাজ, জিওমেট্রিক, ট্র্যাডিশনাল, ফ্লোরাল এমন অনেক কিছুই থাকছে ‘তাভাস এবং ডিমান্ড’ পোশাকের মোটিফ হিসাবে। এ লাইন, সিমেট্রিক, এসিমেট্রিক নিয়ে বিভিন্ন কাজ থাকছে পোশাকগুলোর প্যাটার্নে। 


এছাড়াও কালারের ক্ষেত্রে ভাইব্রেন্ট রাখা হয়েছে। মেয়েদের জন্য ‘তাভাস’ আছে সিঙ্গেল পিস কামিজ, লন থ্রি পিস, আকর্ষণীয় পার্টি থ্রি পিস, এথনিক কুর্তি, ফ্যাশন টপস, কাফতান ইত্যাদি। সারা বাংলাদেশে ডিমান্ড ব্র্যান্ডের মোট ১৮টি আউটলেট রয়েছে এবং তাভাসের রয়েছে ফ্ল্যাগশিপ আকারের মোট ৫টি আউটলেটে এ ছাড় চলবে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত।

শাহিনুর আলম কলি/ আবরার জাহিন