![পেপটিক আলসার সমস্যায় করণীয়](uploads/2024/03/07/1709791085.ni-jabe34.jpg)
পেপটিক আলসার বা পাকস্থলীর ক্ষত হলো এমন ঘা, যা পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্র অন্ত্রে (ডিওডিনাম) হয়ে থাকে। ফলে পেট ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য এবং ওজন হ্রাস হয়ে থাকে। মাই উপচার অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফারজানা আলম।
পেপটিক আলসার কী
পেপটিক আলসার হলো একটা ফোসকা বা ঘা। এই যা পাকস্থলীর দেয়ালের ভেতরে বা ক্ষুদ্র অন্ত্রের প্রথম অংশে হয়। কোনো কোনো সময়, খাদ্যনালির (ইসোফেগাস) নিচের অংশে, যেখানে এটা পাকস্থলীর শুরু, সেখানেও হতে পারে। এ ধরনের পেপ্টিক আলসার ইসোফেজিয়াল আলসার বলা হয়। পেপটিক আলসার খুব পরিচিত একটি অসুখ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন তাদের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে পেপটিক আলসারে ভুগেছেন। ৬০ বছর বয়সের ওপরের মানুষের এটা বেশি হয়। তবে শিশুসহ যেকোনো বয়সে এটা হতে পারে। অন্যদিকে নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হন।
উপসর্গ
পেপটিক আলসার হলে সাধারণত পেটে ব্যথা হয়। ব্যথাটা সচরাচর পাকস্থলীর ওপরের অংশে অর্থাৎ নাভির ওপরে হয়ে থাকে। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে পাকস্থলীর স্ফীতি, ঢেঁকুর তোলা, অসুস্থতার অনুভূতি, বমি করা, কোনো আপাত কারণ না থাকা সত্ত্বেও ওজন কমা এবং ক্ষুধামান্দ্য। কোনো কোনো সময়ে রোগী বুকজ্বালা এবং বদহজম অনুভব করেন।
চিকিৎসা
পেপটিক আলসার চিকিৎসায় খুব ভালো সাড়া দেয় এবং প্রায় দুই মাস সময়ের মধ্যে পুরোপুরি সেরে যায়। তবে চিকিৎসা আলসারের কারণের ওপর নির্ভর করে। এনএসএআইডিসের মতো ওষুধগুলোর নিয়মিত ব্যবহারের কারণে যদি আলসার হয়, তাহলে ডাক্তার ওষুধগুলো বন্ধ করে দেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে ডাক্তার অ্যাসিডিটি কমানোর ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন।
ঘরোয়া চিকিৎসা
পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। ঠাণ্ডা, কম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হয় যাতে অল্পতেই হজম হয়ে যায়। যেমন- স্মুদি, দই, ডিম, কুটির পনির, সাইট্রাসবিহীন ফল এবং সেদ্ধ সবজি। মসলাযুক্ত খাবার, অ্যাসিডিক আইটেম, রসুন, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, ক্যাফিন, কার্বনেশন, অ্যালকোহল, চকলেট এবং ভাজা বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হয়।
কলি