বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল দেশ এবং গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০২১ অনুযায়ী পৃথিবীতে সপ্তম দুর্যোগপূর্ণ দেশ। বজ্রঝড়, বন্যা, সাইক্লোন, খরার মতো তাপপ্রবাহও আমাদের দেশের জন্য দৈবাৎ কোনো ঘটনা নয়। বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই থেকে তিনটি ‘মৃদু থেকে মাঝারি’ এবং এক থেকে দুটি ‘তীব্র থেকে অতি তীব্র’ তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, একটি জায়গার দৈনিক গড় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলে এবং সেটি পরপর পাঁচ দিন চলমান থাকলে তাকে তাপপ্রবাহ বা ইংরেজিতে হিটওয়েভ বলা হয়।
এ বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশে বিরাজমান তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল, মাত্রা এবং প্রবাহমান এলাকার বিস্তৃতি বিগত ৭৬ বছরের ইতিহাসকে ছাড়িয়েছে। এবার এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং টানা ২৬ দিন অব্যাহত থাকে, যেটি অতিমাত্রায় তীব্রতা পায় এপ্রিলের ১৯ তারিখ থেকে। গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৩০ এপ্রিলের তাপমাত্রা ঢাকায় ৪০.৫ ডিগ্রি এবং যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৪৫টিরও বেশি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তীব্র গরমে সারা দেশেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। এ বছর তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হওয়ায় তিন থেকে চারটি হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র গরমের কারণে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গরমে হিট স্ট্রোকসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, বাতাসের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটিকে ‘মৃদু’, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে হলে ‘তীব্র’ এবং তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে ‘অতি তীব্র’ তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এবার এপ্রিলে রাজশাহী ও পটুয়াখালীতে মৃদু; পাবনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও রাঙামাটিতে মাঝারি; পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, কুষ্টিয়া ও পটুয়াখালীতে তীব্র এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গেছে। ১৮৫০ সাল থেকে রক্ষিত তাপমাত্রার রেকর্ডে দেখা যায়, ২০২৩ সাল ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর, যে বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা পূর্ববর্তী শতাব্দীর গড় তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি থেকে ১.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়।
বিগত ৫৮ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এই সালটিকে বাংলাদেশের উষ্ণতম বছর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। নিকট অতীতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ১৯৬০ ও ১৯৬৫ সালে ঢাকার তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪২.৩ ও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ মে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশে ২০২৩ সালে একটানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল, ২০১৯ সালেও ২৩ দিনের একটি তাপপ্রবাহ বিদ্যমান ছিল, ২০১০ সালে রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বিরতিসহযোগে সর্বোচ্চ ২০ দিন বিরাজমান ছিল।
বাংলাদেশ গ্লোবাল কার্বনিকেশনের মাত্র ০.৬ শতাংশ নির্গমন করে। তদুপরি এ বছর এপ্রিলে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহের তীব্রতার প্রাথমিক কারণ হলো, ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের বেশ কিছুটা ওপর পর্যন্ত গরম বাতাসের একটি স্তর তৈরি হওয়া, যাকে উষ্ণ বাতাসের একটি গম্বুজের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এ ধরনের একটি গম্বুজ বা ডোম আকৃতির উষ্ণ বাতাসের স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে অপেক্ষাকৃত ওপরের স্তরের উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের দরুন আটকা পড়ে যায়। এই প্রকারের উষ্ণ বাতাসের স্তর অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও তীব্র তাপমাত্রা সঞ্চয় করে কোনো বৃষ্টিপাত ছাড়াই একটি শক্তিশালী উচ্চচাপ ব্যবস্থা তৈরি করে, যা ওই এলাকার বায়ুমণ্ডলে গরম বাতাসকে আটকে রাখে। এ ধরনের তাপপ্রবাহগুলো আবার বিরাজমান এলাকার জলাধার, হ্রদ, নদী এবং গাছপালা দ্বারাও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। সাধারণত গাছপালা, জলাধার এবং উন্মুক্ত মাটি থেকে সরবরাহকৃত বাষ্পীভূত পানির কণা, বহুতল ভবনের পৃষ্ঠতল থেকে বিকিরিত তাপ, অন্ধকার পৃষ্ঠ, ফুটপাত, ছায়াহীন রাস্তা, নর্দমা, এয়ার কন্ডিশনার এবং উপজাত হিসেবে উৎপাদিত তাপ কোনো এলাকায় তাপপ্রবাহের মাত্রা, বিস্তৃতি ও স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া বনভূমির পরিমাণ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাতের মৌসুমগত পরিবর্তন, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং শিল্পায়ন ও নগরায়ণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ও সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল মাসে সূর্যরশ্মি মোটামুটি খাড়াভাবে পড়ে বিধায় খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ সমভূমিতে ভূপৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা বাড়ে। এই অঞ্চলগুলোর পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গও সমভূমি হওয়ায় এই অঞ্চল থেকে প্রবাহিত বায়ুর সঙ্গে পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড প্রভৃতি প্রদেশের তাপমাত্রা বছরের এই সময়ে ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে এবং গত বছর ভারতের এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবার শীতের অব্যবহিত পরই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। জলীয় বাষ্প গ্রিনহাউস গ্যাস হওয়ায় বাতাসের তাপ পুঞ্জীভূত হয়ে খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী অঞ্চলে বাতাসের তাপমাত্রা অন্যান্য এলাকার তুলনায় বাড়িয়ে দেয়। উপরন্তু শীতকালের গড় দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের মৌসুমগত তারতম্য বাংলাদেশের তাপমাত্রার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যদিও এ বছর শীত মৌসুমের ব্যাপ্তি সামান্য প্রলম্বিত হয়েছিল কিন্তু এপ্রিলের গড় বৃষ্টিপাত ১৩০ মিমি থেকে ৮০ শতাংশ কমেছে, যেখানে ঢাকায় গড় বৃষ্টিপাতের ৯০ শতাংশ কমেছে এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে একেবারেই বৃষ্টি হয়নি।
এপ্রিলের ৭ তারিখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে বজ্রঝড় হয়েছে এবং বজ্রপাতে বাগেরহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ জনপদের মানুষের কাছে এ সময়ে এ ধরনের বজ্রঝড় বেশ অস্বাভাবিক। আবার চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকাগুলোয় ১ ও ২ মে প্রচণ্ড বজ্রঝড়ে প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেটিও পূর্ববর্তী বছরগুলোতে সংঘটিত বজ্রঝড়ের ধরন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মডেলিং ডেটা বিশ্লেষণে এই ভিন্নতার কারণ হিসেবে ভারত থেকে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল হয়ে আসা উষ্ণ বায়ুপ্রবাহকে দায়ী করা যায়, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় গিয়ে বজ্রমেঘ ও বজ্রঝড় তৈরি করে। এ সময়টায় বায়ুপ্রবাহ সাধারণত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরের দিকে ধাবিত হয়ে থাকে। এ বছর এল-নিনো প্রভাবের কারণেও ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমারসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই তাপপ্রবাহ দেখা গেছে।
এল-নিনো নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকার বায়ুর উষ্ণায়নের অবস্থা নির্দেশ করে। অস্ট্রেলিয়া ব্যুরো-অব-মেটেরিওলজির ১৬ এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ থেকে চলমান এল-নিনো ২০২৪-এর এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে এসে শেষ হয়েছে। এল-নিনোর সময় সাধারণত নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এবং পূর্বাঞ্চলীয় বাতাসের গতিপ্রবাহ স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ বছর এল-নিনো প্রভাবের কারণে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার এবং ভারতে এপ্রিলের শুরুতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ফিলিপাইন ও দক্ষিণ সুদানে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভারতে এ বছরের এপ্রিল ছিল ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। ভারতীয় উপমহাদেশে শক্তিশালী এল-নিনোর ঘটনা দেখা গেছে ১৯৭২-৭৩, ১৯৮২-৮৩, ১৯৯৭-৯৮, ২০১৪-১৬ এবং ২০২৩-২৪ সালে। এই ঘটনাবলির ঠিক পরই ১৯৭৩, ১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালে প্রচণ্ড খরার কবলে পড়ে বাংলাদেশ। আবার ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সাইক্লোন কোমেন, রোয়ানু, মোরাসহ তিনটি বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
গত ১৫ এপ্রিল ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বর্ষা মৌসুমে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। বলা হয়েছে, এবার ভারতের তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বড় অংশে দীর্ঘদিনের স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে ১০৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হতে পারে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইসিএমডব্লিউএফ) এবং দ্য গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের (জিএসএস) পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, মে মাসেও বাংলাদেশে এপ্রিলের মতো তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের তাপপ্রবাহ থেকে উৎপাদিত ও আটকে থাকা জলীয় বাষ্প এবং তাপমাত্রা থেকে বিশালাকায় বজ্রমেঘসহ ঘন ঘন বজ্রঝড়ের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে মৌসুমি বৃষ্টিপাতসহ ভূমিধস, পাহাড়ধস ও বন্যার মতো দুর্যোগগুলো।
আমেরিকান মেট্রোলোজিক্যাল সোসাইটির প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় ২০১৭ সালের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের দিনগুলোতে মৃত্যু ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। কাজেই আমাদের উচিত ভবিষ্যতের আরও তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করা। বিস্তর আশঙ্কা ও উদ্বেগের মাঝে বসবাস করলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে, ক্রমশ পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু বিরূপ হচ্ছে। পৃথিবীর উষ্ণতা, শুষ্কতা ও আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির অদ্ভুত আচরণও প্রবল আকারে দৃশ্যমান হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, দাবানল, বজ্রঝড়, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং দীর্ঘস্থায়ী খরা বেশ ঘন ঘনই মানবসভ্যতাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আগামী দিনের বিপদাপন্নতা। সুতরাং আমাদের এখনকার কার্যাবলি নির্ধারণ করবে আগামী দিনের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকে স্থবির করতে আমাদের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ, বিচক্ষণতা, সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং জীবনাচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন একান্ত কাম্য, যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীকে আরও কিছুদিন শীতল ও বাসযোগ্য রাখতে পারব।
লেখক: অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
[email protected]