ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

তাবলিগের মূল ১২ কাজ

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
তাবলিগের মূল ১২ কাজ
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের ছবি। সংগৃহীত

ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম হলো  দাওয়াত ও তাবলিগ। এ কাজের কারণে এ উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ ছিলেন মাওলানা ইলিয়াস (রহ.)। তাবলিগের বেশ কিছু কাজ রয়েছে। এখানে মূল ১২ কাজ তুলে ধরা হলো—

ছয় সিফাতের আমল 
তাবলিগের ছয় সিফাত হলো—ঈমান, নামাজ, ইলম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, বিশুদ্ধ নিয়ত এবং দাওয়াত ও তাবলিগ। ঈমান হলো আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোনো উপাসক নেই; মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলিমের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করা ফরজ। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ জেনে তদানুযায়ী আমল করতে সহায়ক জ্ঞানার্জন ফরজ। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা হলো জিকির। বড়কে সম্মান, শ্রদ্ধা ও ছোটকে স্নেহ করা একরামুল মুসলিমিন। নিয়তকে শুদ্ধ করা আবশ্যক। সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আল্লাহর দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারই হলো দাওয়াত ও তাবলিগ। এই ছয় সিফাতের বাস্তবায়ন করা। 

মাশওয়ারা 
মাশওয়ারা বা পরামর্শ করা আল্লাহতায়ালার আদেশ, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত ও মুমিনের গুণ। পরামর্শের মাধ্যমে কল্যাণ ও বরকত হয়, আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়। 

তালিম
ইসলামি জ্ঞানার্জন করাকে তালিম বলে। জামাতে চার ধরনের তালিম হয়—এক. কিতাবি তালিম। দুই. কোরআনি তালিম। তিন. ছয় সিফাতের আলোচনা ও চার. ফরজিয়াতের (আবশ্যকীয় বিষয়) আলোচনা। 

মসজিদের ভেতর-বাইরের কাজ
মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের মধ্যে একজন ঈমান-একিনের কথা বলবে, কয়েকজন শুনবে, একজন জিকিরে থাকবে এবং কয়েকজন এস্তেকবালে (আগত মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে গ্রহণ করা) থাকবেন। মসজিদের বাইরে একজন রাহবার (যে পথ দেখায়), মুতাকাল্লিম (যে কথা বলে), কয়েকজন মামুর (যারা শুধু শুনবে, কথা বলবে না) ও একজন জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) থাকবেন। 

গাশত 
আল্লাহর ও দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে ঘোরাফেরা করা। গাশত কয়েক প্রকার: ১. উমুমি গাশত—বয়ানের মাধ্যমে যে গাশত করা হয়। ২. খুসুসি গাশত—ব্যক্তি বিশেষের কাছে যে গাশত করা হয়। ৩. তালিমি গাশত—তালিম চলাকালে গাশত। ৪. তাশকিলি গাশত—তাবলিগ জামাত বের হওয়ার জন্য গাশত করা। ৫. উসুলি গাশত—দাওয়াতে যারা তৈরি হয়েছে, তাদের মসজিদে নিয়ে আসা। 

আরও পড়ুনঃ

বাংলাদেশের গর্ব বিশ্ব ইজতেমা

বয়ান 
আসর, মাগরিব ও ফজর নামাজের পর বয়ান করা। মাগরিবের পর বয়ানে ছয় সিফাতের আলোচনা করে তাশকিল করবে। ফজরের পরের বয়ানেও ছয় সিফাতের আলোচনা করবে। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন তাসবিহ ও মাসনুন দোয়া আদায়ের ফজিলতের বর্ণনা করবে। 

মোজাকারা 
তাবলিগ জামাত ও দ্বীন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোজাকারা বা আলোচনা করা। যেমন—জামাতবদ্ধ আমলের মোজাকারা, আমির ও মামুরদের মোজাকারা, মসজিদের মোজাকারা, ফরজের মোজাকারা, দাওয়াতি কাজের মোজাকারা ও প্রয়োজনীয় কাজের মোজাকারা। 

পাঁচ কাজ
দাওয়াত ও তাবলিগে পাঁচ কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। পাঁচ কাজ হলো—মাসে তিন দিন সময় লাগানো, প্রতি সপ্তাহে দুবার গাশত করা, প্রতিদিন দুটি তালিম করা, প্রতিদিন দাওয়াতি কাজ করা এবং প্রতিদিন পরামর্শ করা। 

মাস্তুরাত 
নারীদের জন্যও দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করা আবশ্যক। তারা প্রথমে মাহরামের সঙ্গে তিন দিন করে তিনবার তাবলিগে যাওয়ার পর ১০ বা ১৫ দিনের জন্য যাবে। এরপর চিল্লা (৪০ দিনের জামাত) দেবে। ঘরে তালিমের ব্যবস্থা করবে। প্রতি সপ্তাহে মাস্তুরাতের পয়েন্টে গিয়ে তালিম ও বয়ানে অংশগ্রহণ করা উচিত। 

তাশকিল
জামাতের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে মানুষকে তাবলিগ জামাতে বের হওয়ার জন্য যে আহ্বান করা হয়, তাকেই মূলত তাশকিল বলা হয়।   

তারুফি কথা
জামাতে বের হওয়ার প্রথম দিন নিজেদের মধ্যে পরিচিতিমূলক যে কথা হয়, তাকে তারুফি কথা বলা হয়। জামাতের সাথিরা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। জামাত মসজিদে যাওয়ার পর এলাকার মানুষকে এ সম্পর্কে অবগত করার বিষয়টিকেও তারুফি কথার অন্তর্ভুক্ত বলা হয়। 

এলান 
তাবলিগ জামাতের বিভিন্ন আমলের জন্য মসজিদে বিভিন্ন সময় ঘোষণা দেওয়া হয়, একেই মূলত এলান বলে। 

 

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, ইসলাহ বাংলাদেশ

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]

নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?
নামাজরত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের সামনের দেওয়ালে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো আছে। অনেক সময় যোহরের নামাজ পড়তে এসে সময় না দেখেই সুন্নত নামাজ শুরু করে দেই। জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে সুন্নত শেষ করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত হতে ঘড়ির দিকে তাকাই। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হয়?


উত্তর : নামাজের মধ্যে সময় দেখার উদ্দেশ্যে ঘড়ির দিকে তাকানো মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি নামাজের খুশুখুযু বা একাগ্রতার পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নামাজে আমাদের মন এবং দৃষ্টি শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকা উচিত। ঘড়ি বা অন্য কোনো বস্তুর দিকে তাকালে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। যদিও এতে নামাজ পুরোপুরি ভেঙে যায় না, তবে এটি নামাজের পরিপূর্ণতা ও সওয়াব কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, সুন্নত নামাজ শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত, যাতে জামাত শুরু হওয়ার আগেই তা শেষ করা যায়। যদি মনে হয় সময় কম, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে সরাসরি ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

[তথ্যসূত্র : বুরহানী (২/১৫৯), খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/৯৯), ফাতহুল কাদীর (১/৩৫১), শরহুল মুনইয়া (পৃ. ৪৪৭), আলবাহরুর রায়েক (২/১৪), এবং আদ্দুররুল মুখতার (১/৬৩৪)]

এসব গ্রন্থ অনুযায়ী, ছোটখাটো নড়াচড়া বা দৃষ্টির কারণে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে তা নামাজের একাগ্রতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা উত্তম।

 

আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২
মেয়ে শিশুর ছবি । সংগৃহীত

শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করা সব মা-বাবারই স্বপ্ন। নামের মাধ্যমেই শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিচয় ফুটে ওঠে। ইসলামিক আধুনিক রুচির সমন্বয়ে '' অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার নামের তালিকা এখানে দেওয়া হলো, যা আপনার আদরের কন্যার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। প্রতিটি নামের রয়েছে বিশেষ অর্থ, যা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক হবে।

ক্রমিক

নাম

অর্থ

.

আদিবা

শিষ্ট, ভদ্র

.

আদিলা

ন্যায়পরায়ণ

.

আফিফা

পবিত্রা, সচ্চরিত্রা

.

আমেনা

নিরাপদ, নিশ্চিন্ত

.

আমিরা

রাজকন্যা

.

আয়েশা

সচ্ছল (উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা.-এর নাম)

.

আরুবা

সোহাগিনি

.

আলিফা

বান্ধবী

.

আলিমা

জ্ঞানী

১০.

আলিয়া

উচ্চ

১১.

আসমা

মহত্তর, উচ্চতর

১২.

আসিফা

ঝড়ো বাতাস

১৩.

আসিমা

হেফাজতকারিণী, রাজধানী

১৪.

আসিয়া

চিকিৎসক (ফেরআউনের স্ত্রীর নাম)

১৫.

আহিদা

প্রতিজ্ঞাকারিণী

১৬.

আনিয়া

ঘনিষ্ঠ

১৭.

আতিফা

দয়ালু

১৮.

আতিয়্যা

দান, উপঢৌকন

১৯.

আজওয়া

আলো

২০.

আজিজা

শক্তিশালী, সম্মানিত

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর কি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা জরুরি? 

উত্তর : কালেমা তাইয়িবা তো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এতটুকুই। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালেমার অংশ নয়। তাই রাসুলুল্লাহর নামের পর দুরূদ শরিফ পড়তে হয়, এ নিয়ম অনুযায়ী কালেমার পরেও তা পড়া যাবে। তবে কালেমার সাথে একেবারে মিলিয়ে নয়; বরং কালেমার পর ওয়াকফ করে এরপর পড়বে। যেন দরূদ শরিফকে কালেমার অংশ মনে না হয়।

[সূত্র : ফাতাওয়া উসমানী ১/৫৮]

 

খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?
মসজিদে জুমার খুতবা দেওয়ার ছবি। সংগৃহীত

যখন খতিব সাহেব খুতবা দেন, তখন যদি তিনি এমন কোনো কাজ দেখেন যা শরিয়ত বিরোধী, যেমন মুসল্লিরা কথা বলছে বা অন্য কোনো বিশৃঙ্খলা করছে, তখন তিনি তাদের সতর্ক করতে পারবেন। খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের চুপ থাকার নির্দেশ দিলে বা তাদের সতর্ক করলে খুতবার কোনো ক্ষতি হবে না। এতে দোষের কিছু নেই, বরং এটা খতিব সাহেবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি চাইলে এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ফতোয়ার কিতাবসমূহে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা (২/২৫), বাদায়েউস সানায়ে (১/৫৯৫) এবং খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/২০৬)-এর মতো নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোতে এই বিধানের কথা উল্লেখ আছে। তাই খতিব সাহেবের জন্য খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের সতর্ক করা সম্পূর্ণ বৈধ। এটি খুতবার সম্মান এবং পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জরুরি।

অতএব, মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় সম্পূর্ণ নীরবতা ও মনোযোগ বজায় রাখা। অন্যদিকে, খতিব সাহেব যদি দেখেন যে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে, তাহলে তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।