![তাহাজ্জুদে মেলে আল্লাহর সন্তুষ্টি](uploads/2024/02/08/1707383350.tahajud.jpg)
ঘরে খাবার নেই। সন্তানরা ক্ষুধার্ত। আপনার পকেট ফাঁকা। স্ত্রীও কয়েকদিন ধরে খুব অসুস্থ। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। দুই মাসের বাসা ভাড়াও বাকি। সারা দিন ঘুরেও হাতে কাজ জোটেনি। গভীর রাত, সবাই ঘুমিয়ে আছে। চারিদিকে নীরবতা। রাত বাড়ার সঙ্গে আপনার চিন্তাও বাড়ছে। আপনি যখন চিন্তা-পেরেশানিতে অস্থির; ঠিক এ সময় খেয়াল করলেন—কে যেন ডেকে বলছেন, কারও কি কিছুর অভাব আছে? কারও কি কিছুর প্রয়োজন আছে? আমার কাছে বলো, আমি অভাব পূরণ করে দেব, প্রয়োজন পূরণ করে দেব। বলুন তো, তখন আপনার কেমন লাগবে? আপনি কি জানেন, প্রতি রাতেই আল্লাহতায়ালা এভাবেই আমাদের ডাকতে থাকেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমাদের রব প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে বলেন, কে আছ, দোয়া করবে আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছ, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে, আমি তাকে দান করব। কে আছ, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি, হাদিস ১১৪৫)
তাহাজ্জুদ আদায়ে মুসলমানদের মধ্যে যে মনোবল ও শক্তি সঞ্চার হয়, তা অন্য কিছুতে নেই। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো, মুসলিম ও রোমানদের যুদ্ধ। রোমানদের সঙ্গে তখন মুসলমানদের যুদ্ধ চলছিল। এক দিন রোমান সম্রাট তার গোয়েন্দাদের কাছে জানতে চাইল, মুসলমানদের মধ্যে এমন কী শক্তি আছে? যার কারণে আমরা তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তখন গোয়েন্দারা বলেছিল, রাতে যখন আমরা মদ ও নর্তকি নিয়ে উন্মাদ থাকি, তখন মুসলমানরা আল্লাহর কাছে এমনভাবে কান্নাকাটি করে, দেখলে মনে হবে এদের দুনিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই। এটাই হলো আমাদের পরাজিত হওয়ার মূল কারণ।
লেখক: শিক্ষার্থী, শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার