করণীয়: ঈদের দিন ভোরবেলা ফজর নামাজ জামাতে আদায় করার মাধ্যমে দিনটি শুরু করা উচিত। এ দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘তিনি দুই ঈদের দিনে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন।’ (সুনানে কুবরা, বাইহাকি, ৬১৪৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) যে পথে ঈদগাহে যেতেন সে পথে ফিরে না এসে অন্য পথে ফিরতেন। যাতে উভয় পথের লোকদের সালাম দেওয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। (জাদুল মায়াদ, ১/৪৩২-৪৩৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবির পাঠ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ৫৬৬৭)
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা উত্তম। ঈদের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করা সুন্নত। (বুখারি, ৯৫৩)
ঈদের নামাজ আদায় ও খুতবা শোনা ওয়াজিব। আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ও ফিতরা আদায় করাও ইবাদত।
বর্জনীয়: বিজাতীয় সংস্কৃতি উদযাপন না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।’(আবু দাউদ, ৪০৩১)
জুয়া, মদ, জিনা-ব্যভিচার ও মাদকদ্রব্য সেবন না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটা দল পাওয়া যাবে, যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল (বৈধ) মনে করবে।’(বুখারি, ৫৫৯০)
অশালীন পোশাকে রাস্তায় বের না হওয়া: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একদল নারী যারা পোশাক পরিধান করেও উলঙ্গ মানুষের মতো হবে, অন্যদের আকর্ষণ করবে এবং অন্যরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুলের অবস্থা হবে উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো। ওরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবে না, যদিও তার সুগন্ধি বহুদূর থেকে পাওয়া যায়।’ (মুসলিম, ২১২৮)
লেখক: খতিব, বনানী আত-তাকওয়া জামে মসজিদ