ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

একটি তেলাপোকার আত্মকথা

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০ এএম
একটি তেলাপোকার আত্মকথা

আমি একটি বাদামি তেলাপোকা। জন্মের পর বাবা-মায়ের দেওয়া একটা নাম অবশ্য আছে, কিন্তু সে নামে আমাকে কেউ চেনে না। চেনে তেলাপোকা নামে। শুধু এখানেই আমার পরিচয়ের সমাপ্তি নয়, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতেও আমার অবস্থান ভিন্ন। কেউ চেনে আমাকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের বাহক হিসেবে, আবার কারও চোখে আমি সাক্ষাৎ যম।

মায়ের কাছ থেকে শুনেছি, রহিম সাহেবের বাসভবনের দোতলার আলমারির এক অন্ধকার কোণে আমার জন্ম। বয়স যখন ১৭ দিন, তখন মা আমাদের পাঁচ ভাইয়ের জন্য খাবার আনতে গিয়ে আর ফেরেনি। সমগোত্রীয়দের কাছ শুনেছি, রহিম সাহেবের বিশালবপু দারোয়ানের পদতলে পিষ্ট হয়ে মা পটল তুলেছিলেন। মায়ের দুঃখে বাবা তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে নেন। ভেজাল ওষুধ বলে তিনি মরেননি। তবে কঠিন ডায়রিয়ায় ভুগেছিলেন।

সেদিনের কথা, আমি খাবার আনতে গিয়েছিলাম রহিম সাহেবের বাড়ির দক্ষিণ দিকের কিচেনে। সেখানে গিয়ে মাত্র দাঁড়িয়েছি, অমনি কোথা থেকে রহিম সাহেবের কাজের বুয়া এসে শলার ঝাড়ু দিয়ে দিল এক বাড়ি। ভাগ্য ভালো ছিল তাই ফসকে বাড়িটা গায়ে লাগেনি। তবে মুখের একটা গোঁফ ছিঁড়ে গিয়েছিল। তা দেখে আমার সমগোত্রীয় তেলাপোকাদের সে কী হাসাহাসি! একজন তো বলেই ফেলল, ‘রহিম সাহেবের বুয়াটার বোধহয় তোমার গোঁফটা পছন্দ হয়েছিল, তাই নিয়ে নিয়েছে।’ সেদিন কান্নায় আমার বুকটা ভেঙে যাচ্ছিল। ইচ্ছা করছিল নিজের পাখনা নিজে ছিঁড়ি! কিন্তু হাত না থাকায় পারিনি।

মাঝে মাঝে আমার মনে হতো, আমার এ দুর্ভাগ্যের কথা কোন মানুষকে গিয়ে বলি! শুনে তারা আমাকে ভালোবাসতেও পারে! এক দিন বিকেলে রহিম সাহেবের ছেলের বান্ধবী এসেছিল। তারা যখন গল্প করছিল তখন আমি উড়ে গিয়ে মেয়েটার কাঁধের ওপর বসি। রহিম সাহেবের ছেলে ভূত দেখার মতো চমকে ছিটকে সরে গেল। মেয়েটা এমন চিৎকার দিল যে, আমার কানের পর্দা গেল ফেটে। সেই থেকে কানে কম শুনি। সরকারি নাক, কান ও গলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম কিন্তু গিয়ে শুনলাম, তেলাপোকাদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা সেখানে নেই। হায়রে আমার তেলাপোকা জনম। খুব কান্না পাচ্ছিল। সেই গানটির কথা মনে পড়ছিল, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া, কী হবে আর কান্দিয়া...’।

আজ সকালে বিছানায় শুয়ে আছি। হঠাৎ ‘ফস’ ‘ফস’ করে শব্দ হলো। আমার সিক্সথ সেন্স বলল, ‘বিপদ’। বুদ্ধি করে শব্দের উল্টোদিকে দৌড় দিলাম। কিছুক্ষণ পর সেখানেও একই শব্দ হলো। বুঝলাম তেলাপোকার স্প্রে দিচ্ছে। মাথাটা কেমন যেন ‘ভোঁ’ ‘ভোঁ’ করে উঠল। আমি আলমারির অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতেই ‘সপাং’ ‘সপাং’ করে দুটো ঝাড়ুর বাড়ি আমার ক্ষুদ্র দেহের ওপর এসে পড়ল। তারপর আর কিছু মনে নেই।

আমি এখন পা উপর দিকে দিয়ে, উল্টো হয়ে দিব্যি শুয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর হয়তো রহিম সাহেবের বুয়া আমাকে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে আসবে। হোমলেস হয়ে যাব এক নিমিষেই। তেলাপোকাদের জীবনটাই বোধহয় এরকম। তোমরা ভালো থেকো। বিদায়।

কলি

তিনটি ছোট গল্প

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
তিনটি ছোট গল্প

রাস্তা দিয়ে মাছওয়ালা হেঁকে চলেছেন, মাছ চাই, জ্যান্ত মাছ। 
এক বৃদ্ধা ব্যালকনি থেকে ডাক দিলেন, ও মাছওয়ালা, এদিকে এসো।
মাছওয়ালা ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন, মাছ নিয়ে যান মাসিমা, একেবারে জ্যান্ত।
বৃদ্ধা প্রশ্ন করলেন, মাছ তাজা তো?

অবাক হয়ে মাছওয়ালা বলল, বলছি জ্যান্ত মাছ, তাজা তো হবেই।
বৃদ্ধা বললেন, ও কথা বলো না বাছা। আমিও তো জ্যান্ত, তাই বলে কি আমি তাজা?

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

মার জন্য কলকাতা থেকে হাঁপানির মিক্সচার পাঠাতাম, আর মাঝে মধ্যে তার এক দাগ আমি নিজেও মারতাম। আমার তখনো হাঁপানি হয়নি। কিন্তু মা বলেছিলেন যে, বাবার সম্পত্তির মতো মায়ের রোগ ছেলেতে বর্তায়। আর সব রোগ তোমায় শুইয়ে দেবে, কিন্তু হাঁপানি বসিয়ে দেবে। কিছুতেই শুতে দেবে না। বসে বসে হাঁপাতে হবে।

খেতে বেশ ওষুধটা। ওতে নাকি গাঁজার নির্যাস দেওয়া থাকত। খেলে একটু মৌতাতের মতো হয় বটে। এখনো খাই মাঝে মধ্যে। খাবার পর মগজ খোলে‚ বুদ্ধি খোলে‚ লেখাও খুলতে থাকে। আমার গল্পগুলো যে নিতান্তই গাঁজাখুরি হয়, তা এ জন্যই কিনা কে জানে!

শিবরাম চক্রবর্তী

একবার এক প্রসূতি সদনের ডাক্তার বাবুকে কথাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, ডাক্তারি বিদ্যার এত শাখা থাকতে আপনি কেন এই সন্তান জন্মানোর নারীঘটিত ব্যাপারে এলেন, টাকার জন্য?  

ভদ্রলোক বলেছিলেন, জি না, ঠিক তা নয়। দেখুন, ক্যানসারের রোগী দেখলে ভয় হতো, আমারও বুঝি ওরকম হয়েছে। 
টিবির রোগী কাশত, আমিও কাশতাম। যেখানে যে রোগীর যে রোগ দেখতাম, মনে হতো আমারও সে রোগ আছে। সব লক্ষণ মিলে যেত। অবশেষে এই মাতৃসদনে এসে নিশ্চিত হয়েছি, এই রোগ অন্তত আমার হবে না।
তারাপদ রায়

 কলি 

পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

মাননীয় আব্বা, আপনারে সালাম জানিয়ে আমার বাজেট অধিবেশন শুরু করছি। আজ আমি আগামী অর্থবছরের জন্য আমার ব্যক্তিগত বাজেট পেশ করব। আমি আশা করছি, আপনি খুশি হয়েই অনুমোদন দেবেন।

প্রথমেই শিক্ষা খাত
আব্বা শিক্ষা হইলো জাতির মেরুদণ্ড। Education Is the... ইয়ে মেরুদণ্ডের ইংলিশটা ভুইল্লা গেসি। সে যাক, দুইটা বছর ধরে আমি সাফল্যের সহিত অত্যন্ত চমৎকার ফলাফল করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমি মাত্র ১৮টা কোর্স রিটেক করেছি। যা কিনা আমার বন্ধুমহলের মধ্যে সর্বনিম্ন! সে অনুপাতে আগামী বছর আমার কমপক্ষে আরও ৯টা রিটেক লাগবে। তাই আপনি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখবেন।

এরপর খাদ্য খাত
আব্বা গো, দুঃখের কথা কী বলব! দুইটা বছর ধরে ভার্সিটিতে প্রতিদিন মাত্র একটা বার্গার আর একটা হটডগ খেয়ে কোনোমতে বাইচ্চা আছি। এত কম খেয়ে পড়ালেখায় মন কীভাবে দিব গো আব্বা? তাই বলছি, আগামী বছরের জন্য প্রতিদিন ভার্সিটিতে আমি যাতে দুইটা বার্গার, একটা পিৎজা, একটা চিকেন সমুচা, একটা হটডগ খেতে পারি সেই ব্যবস্থা রাখবেন। এ ছাড়া দশটা টাকা বাড়তি দিয়েন গো আব্বা। খাওয়ার পরে বকশিশ না দিলে প্রেস্টিজ থাকে না। কী জইন্য এইডা আর কইলাম না! আর বিকেলে এক কাপ কফি আর হালকা নাশতা না খেলে আমার পক্ষে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কষ্টকর হবে।

এখন আসি স্বাস্থ্য খাতে
আব্বা, ছয়টা মাস ধরে আমার হার্টের বাম পাশে চিকন চিকন বেদনা। লিজারে যখন দেখি, তখন সেই বেদনা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই না, লিজার কথা চিন্তা করলেও এই ঘটনা ঘটে। আব্বা গো, আমার দিলের মধ্যে কী যে সুনামি তা আপনে বুঝবেন না। কবির ভাষায় ‘ওরে হারাই হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।’ এই ভয় থেকে মুক্তি না পেলে আমার অন্তরের বিষ কমবে না। তাই লিজাকে উপযুক্ত গিফটের মাধ্যমে পটাইয়া যাতে আমি এই দুরারোগ্য ব্যাধি হইতে মুক্তি পাই ...সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনার হাতে।

ক্রীড়া ও বিনোদন খাত
আব্বা, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। কয়েক বছর আগে যে রাজিব ‘পোকার’ খেলায় আমার ধারে-কাছেই আইতে পারত না, সেই পুলার কাছে গত সপ্তাহে আমি ৫০০ টাকা বাজি হারছি! এভাবে চলতে থাকলে আমার ও আমার পরিবারের মান-ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। আপনি মহল্লায় মুখ দেখাতে পারবেন না। রাজিবের এই সাফল্যের রহস্য হইলো, সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাবে গিয়ে খেলে আর আমি টাকার অভাবে সপ্তাহে মাত্র তিন-চার দিন খেলতে পারি। আপনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখলে আমি প্রতিদিন খেলে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বড়লোকের সন্তানরে হারিয়ে আপনার ও আমার মহল্লার ইজ্জত রক্ষা করতে পারব।

এখন আসি বিনোদনে
বিনোদনের কথা আর কী কমু। বিনোদনের অভাবে আমার এই জীবন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে গো আব্বা। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা আমি দেখতে পারি না। মাসে ডিভিডি কিনে বড়জোর ১২-১৫টা সিনেমা দেখি। কোনো কোনো মাসে আরও কম। বুঝি আর না বুঝি ইদানীং ইংলিশ ব্যাটাগো মুভি না দেখলে বন্ধুদের কাছে ইজ্জত থাকে না। আমি এই সমস্যার আশু সমাধান কামনা করতেছি।
মাঝে মাঝে আপনার কথা খুব মনে পড়ে। সেই যে ছোটবেলায় আপনি আমাকে পুষ্কুনিতে নামিয়ে গোসল করাতেন। আহ, এইগুলো মনে পড়লে আমার চউক্ষের পানিতেই পুষ্কুনি হয়ে যায়। আমার তখন ইচ্ছা করে পুষ্কুনিতে নেমে গোসল করি। কিন্তু এই ঠাডা পড়া শহরে পুষ্কুনি তো দূরের কথা, বাথরুমের বালতিতেও পানি থাকে না। তাই মাঝে মধ্যে সুইমিং পুলে গিয়ে দুইডা ডুব না দিলে পরাণে শান্তি পাই না গো আব্বা। এ বিষয়েও একটু খেয়াল রাইখবেন।

এরপরে আসি তইথ্য ও পরযুক্তি খাতে
আব্বা দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। এখন হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট যুগ। নেট এত স্লো যে, একবার নেটে বসলে, বসতে বসতে কোমরের নিচ অবশ হইয়া যায়। পেজ লোড হইতে হইতে চউক্ষে ঘুম লোড হয়ে যায়। তাই আগামী অর্থবছরে আমার জন্য একটা ৬ এমবিপিএস স্পিডের নেট লাইনের জন্য ৬০০ টেকা বরাদ্দ রাখবেন। না হইলে ফেসবুক পেজ ‘আমরা বড়লোক বাপের গরিব সন্তান’ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

এ ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটারের কারণে ঘরের বাইরে গেলে আমি বহির্বিশ্বের সঙ্গে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আজ হুমকির মুখে। একটা ল্যাপটপ থাকলে আজ আমার এই দশা হতো না। বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলায় আমি যে দুর্ভোগ-দুর্দশায় ছিলাম, আশা করছি আসছে বছরে এই বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে আমার সেই দুঃখের দিনগুলার অবসান ঘটবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

 কলি

সর্দারজি জোকস

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
সর্দারজি জোকস

সর্দারজি একটি রেডিও কিনেছেন। কিন্তু এক বিশাল সমস্যা নিয়ে ফের হাজির হলেন বিক্রেতার কাছে।

সর্দারজি: আমার সঙ্গে বাটপারি করার মানে কী?
বিক্রেতা: বাটপারি মানে? আপনাকে তো ভালো একটি রেডিওই দিয়েছি।
সর্দারজি: ভালো না ছাই! রেডিওর গায়ে লেখা মেড ইন জাপান। অথচ সারা দিন একটু পরপর বলছে, অল ইন্ডিয়া রেডিও!

সর্দারজি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন।
প্রশ্নকর্তা: একটি ইলেকট্রিক মোটর কীভাবে চলে, বলতে পারেন?
সর্দারজি: ঘররররররর...!
প্রশ্নকর্তা: ব্যস ব্যস! হয়েছে, এবার থামুন!
সর্দারজি: ঘররর...ধুপ...ধুপ...ধুপ।

সর্দারজি নেমেছেন ট্যুরিস্ট গাইডের ভূমিকায়।
ভ্রমণার্থী: এই মাথার খুলিটি কার?
সর্দারজি: এক বুড়ো রাজার।
ভ্রমণার্থী: আর এই পাশের ছোটটা?
সর্দারজি: আরে বোকা, ওই রাজারই ছেলেবেলার খুলি এটা!

সর্দারজি: আমার দাদা তো বিশাল যোদ্ধা ছিলেন! ১৮৫৭ সালে করলেন কী, ২৭ জন শত্রু সেনার পা কেটেছিলেন তিনি।
বন্ধু: মাথা ছেড়ে পা কাটলেন কেন?
সর্দারজি: কারণ, মাথা যে আগেই কাটা ছিল।

গণিতের শিক্ষক সর্দারজির ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘যদি ১ হাজার কেজি = টন হয়, তাহলে ৩ হাজার কেজি = কত?’
‘কেন, টন টন টন!’ সর্দারজি-পুত্রের ঝটপট জবাব।

 চমৎকার এক বিকেলে ততোধিক চমৎকার একটা ঘটনা ঘটল। এক সুন্দরী সর্দারজিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল ধুম করে! কিন্তু সর্দারজির মুখ কালো।
‘ঘটনা কী?’ জিজ্ঞেস করল সেই তরুণী। 
সর্দারজি মুখ ব্যাজার করে বলল, ‘না রে ভাই, আমার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেবে না। কারণ, আমাদের পরিবারে শুধু আত্মীয়দের মধ্যেই বিয়ে হয়। যেমন- আমার বাবা বিয়ে করেছেন আমার মাকে। ভাই করেছে ভাবিকে। আপা করেছে দুলাভাইকে!’

সর্দারজি ও তার বন্ধু গেছেন এক পাঁচতারকা হোটেলে। খাওয়ার টেবিলে বসে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসা দুটি স্যান্ডউইচ বের করে খেতে শুরু করলেন তারা। তা দেখে ওয়েটার চেঁচিয়ে উঠল, ‘না না না, এখানে আপনারা নিজেদের কোনো খাবার খেতে পারেন না!’ 
সর্দারজি খানিক ভেবে বললেন, ‘তাহলে আমি আমার বন্ধুরটা খাই, আমারটা বন্ধু খাক। কী বলেন?’

ব্যবসায় লাখ খানেক টাকা খাটিয়ে বিশাল ধরা খেয়ে বসলেন সর্দারজি। কী ব্যবসা ধরেছিলেন জানেন? পাঞ্জাবে একটা চুল-দাড়ি কাটার সেলুন দিয়েছিলেন!

মান্না দে’র বাবার জবাব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
মান্না দে’র বাবার জবাব

‘ও কেন এত সুন্দরী হলো’ মান্না দে’র গাওয়া এই গানটি শুনে তার বাবা কী বলেছিলেন জানেন? চলুন দেখে নিই। লিখেছেন আরাফাত বেলাল

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: অমনি করে ফিরে তাকাল।
বাবা: তুই তাকাস নে... মিটে গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: লেখাপড়া নেই, গিয়েছ বখে... দেখছ চোখে ফানুস।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: বললাম তো, তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন আকাশজুড়ে মেঘ জমেছে...
বাবা: ছাতা নিয়ে বের হ... চিন্তার কী আছে?

মান্না দে: ঝড় ওঠেনি বাতাসটাতে ঘোর লেগেছে।
বাবা: তোর মাথায় তো দেখছি ভূত চেপেছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... উড়িয়ে আঁচল...
বাবা: বলছি ওদিকে তাকাস না গাড়ল।

মান্না দে: খোলা চুলে বাইরে এল?
বাবা: উফফ... ছেলেটা আমার গোল্লায় গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: এখন বুঝছি, গিয়েছে তোর হুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: ওরে বাবা... তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন প্রাণে আমার মন জেগেছে।
বাবা: সর্বনাশটা হলোই বুঝি... এই সেরেছে।

মান্না দে: পৃথিবীটা একটুখানি বদলে গেছে।
বাবা: চোখের মাথা খেয়েছিস? সব আগের মতোই আছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... হঠাৎ এমন...
বাবা: ঢং দেখে আর বাঁচি না... হঠাৎ কেমন?

মান্না দে: বিনা কাজে সামনে এল।
বাবা: ওর কাজের খবর তোর কানে কেমনে গেল?

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: ওর দাদা পাড়ার মাস্তান... দেবে তোকে ঢুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

কলি

তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

মমতা দিদি তিস্তায় পানি দিতে রাজি নন। এ অবস্থায় তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতির কথা জানাচ্ছেন মো. রাকিব

তিস্তার পানিকে বরফ বানিয়ে চোরাই পথে ট্রাকে করে আনা যেতে পারে। তারপর সেই বরফ নদীতে ফেলে দিলে আবার পানিতে পরিণত হবে। ফলে তিস্তার পানি বাড়বে।

চেরাগ ঘষে ইচ্ছাপূরণ দৈত্য জিনিকে আনতে হবে। তারপর জিনি যখন ইচ্ছার কথা জানতে চাইবে, তখন তিস্তার পানি এনে দেওয়ার কথা বললেই সে পানি এনে দেবে।

গোপনে মাটির নিচ দিয়ে একটি পাইপ ভারতের তিস্তায় সেট করতে হবে। পাইপের অপর প্রান্তে টিউবওয়েল লাগিয়ে হ্যান্ডেল চেপে চেপে সেই পানি দেশে আনতে হবে।

তান্ত্রিককে দিয়ে তিস্তার পানি বশীকরণ করতে হবে। তাহলে পানি আর কোনো বাধা মানবে না। সব বাঁধ ডিঙিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসবে।

কলি