ঢাকা ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

ডায়ালগ উইথ কিশোর গ্যাং

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ পিএম
ডায়ালগ উইথ কিশোর গ্যাং

-তোমরা কারা?
-কিশোর গ্যাং।
উল্টাসিধা হইলে কিছু
ভাইঙ্গা দিমু হাড্ডি ঠ্যাং।
-ডর ভয় নাই? এত্ত সাহস?
-থোড়াই কেয়ার। এইটা কী কস?
মাডার ফাডার ডাইল ভাত রে
পাইক্যা গেছে এই হাত রে!
আছেন লিডার, বস আড়ালে
পথের বাধা কেউ দাঁড়ালে,
আমরা ফিনিশ কইরা ফালাই
রাখি না কুছ বিপদ বালাই।

-পড়লে ধরা, ছুটাইব কে?
তার নাম ধাম অ্যাডরেস দে।
-নাহ, দিমু না, নিয়ম তো নাই
জলদি ফোটেন কইতাছি ভাই।
নাম দিলেও ধরব কেডা?
ফালতু কথা কস রে বেডা!

কলি

সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা

সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা
১) চোর বাড়িতে আসবে না।
২) কুকুর কামড়াবে না।
৩) অটুট যৌবন।

ব্যাখ্যা-
১) চোর বাড়িতে আসবে না, কারণ সিগারেট খেতে খেতে ফুসফুসের এমন বারোটা বাজবে যে, সারা রাতই কাশতে হয়। এই কাশির শব্দ শুনে চোর ভাববে যে বাড়ির লোক ঘুমায়নি। তাই চোর আসবে না।
২) কুকুর কামড়াবে না কারণ, ধূমপান করতে করতে ধূমপায়ীর অবস্থা এক সময় এমন হয় যে, লাঠিতে ভর করে হাঁটতে হয়। হাতে সবসময় লাঠি থাকে বলে কুকুর কাছে আসে না।
৩) ধূমপান তো যৌবন থাকা অবস্থায়ই জীবন শেষ করে দেয়। বৃদ্ধ হওয়ার সময়ই তো নেই। তাই অটুট যৌবন!

কলি

 

 

সুগৃহিণী যারা

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
সুগৃহিণী যারা

সুগৃহিণীদের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছেন আফরীন সুমু

সুগৃহিণীরা কখনোই বসে থেকে সময় নষ্ট করেন না। সবসময় কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকেন। 
স্বামী: গেদুর মা, করো কী, চা দেবে নাকি এক কাপ? খালি মুখে পেপার পড়তে ভালো লাগে না। 
স্ত্রী: ওই শুরু হলো। একটা দিন ছুটি পেলে কিছু কাজকর্ম করবে...তা না, কেবল বসে বসে পেপার পড়া। শোনো গেদুর বাপ, আমি এখন ভীষণ ব্যস্ত। টিভিতে এক্সক্লুসিভ প্রোগ্রাম চলছে। নড়ার উপায় নেই। অকর্মার মতো বসে না থেকে নিজের চা নিজে করে নাও।

সুগৃহিণীরা মিতব্যয়ী স্বভাবের হয়। তারা হিসাব করে খরচ করতে পারদর্শী।
স্বামী: আজ গাড়িভাড়া এত কম দিচ্ছ যে? এই টাকায় তো বাসেও যাওয়া হবে না। 
স্ত্রী: আজ থেকে অর্ধেক রাস্তা হেঁটে যাবে, বাকি অর্ধেক বাসে। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, তোমার বেতন তো সেই হারে বাড়ছে না। আগের বাজেটে শপিং করে পোষাচ্ছে না। তাই এভাবে ব্যালেন্স করতে হবে।

সুগৃহিণীরা অন্যের ব্যাপারে নাক গলান না। কারও ভুল-ত্রুটি চোখে পড়লে তারা গঠনমূলক সমালোচনা করে থাকেন।
প্রথম গৃহিণী: ভাবি মকবুল সাহেবকে চেনেন তো, আমাদের বিল্ডিং থেকে ১০ মিনিট হেঁটে সামনে গেলে যে লাল বিল্ডিংটার পরে ওখানে থাকে, তার নাকি বউ চলে গেছে।
দ্বিতীয় গৃহিণী: হ্যাঁ চিনব না কেন? রোজ পুঁইশাক আর ইলিশ মাছ কেনে। তার বউ যাবে না তো যাবে কে? মানুষ সুবিধার না। নানান ছুতোয় বউয়ের সঙ্গে খিটিমিটি লেগেই থাকে। যাক বাপু। আমার কী। আমার আবার অন্যের ব্যাপারে একদমই মাথাব্যথা নেই। তারপরও একই পাড়ায় থাকি, কেমন না ব্যাপারটা?

সুগৃহিণীরা নতুন কাজে আগ্রহী হন। বিশেষ করে নতুন আইটেম রান্না। করে স্বামীর ওপর প্রয়োগ করতে ভালোবাসেন।
স্ত্রী: হ্যাঁ গো, আজ তোমার জন্য একটা অসাধারণ আইটেম রান্না করেছি। ইলিশ মাছের আচার। কাল সন্ধ্যায় ভেজাল টিভিতে দেখাল। খুশি হয়ে তুমি আমাকে কী দেবে?
স্বামী: কদিন আগে তোমার নতুন আইটেম খেয়ে পেটের ওপর দিয়ে একটা ধকল গেল। নতুন আইটেমটা আজকের মতো থাক না!

সুগৃহিণীরা ঘরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই সচেতন। 
স্ত্রী: তোমার জন্য ঘর থেকে ধুলোবালি সরে না। সিঁড়ির গোড়া থেকে জুতা খুলে হাতে নিয়ে ঢুকবে। তারপর পাপোশে পা মুছে বাথরুমে যাবে। সেখান থেকে পা ধুয়ে তারপর ঘরে হাঁটবে।
স্বামী: এক কাজ করলে কেমন হয়? ঘর থেকেই বের হলাম না। কিংবা ঘরেই ঢুকলাম না। তাহলে আর ঘরে ধুলা ঢোকার কোনো চান্স নেই। এখন তুমি বল, কোনটা করব?

কলি 

বেলা যদি জবাব দিত

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
বেলা যদি জবাব দিত

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ?
বেলা: মাইনে কত?

এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না।
বেলা: বাবার এনে দেওয়া পাত্রটা কিন্তু বিসিএস ক্যাডার।

সম্বন্ধটা এবার তুমি ভেস্তে দিতে পারো।
বেলা: দেখতেও সালমান খান।

মাকে বলো বিয়ে তুমি করছ না।
বেলা: বলে দেখেছিলাম, কাজ হয়নি।

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি।
বেলা: মাছি মারা কেরানির নয়তো!

আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যস।
বেলা: ঘরভাড়া দিলেই তো মাইনে শেষ।

স্টার্টিংয়ে ওরা এগারো শ দেবে, তিন মাস পর কনফার্ম।
বেলা: ওটা কি চা-নাশতার খরচ?

চুপ করে কেন বেলা তুমি কিছু বলছ না?
বেলা: কী আর বলব জিনিসপত্রের যা দাম!

হ্যালো এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন?
বেলা: এখন এটা বাবার নাম্বার।

দশবার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি।
বেলা: ওদের মধ্য থেকে কাউকে সঙ্গী করে নিতে।

দেব না আর কিছুতে হারাতে।
বেলা: আমি না পারলে ওকে নিয়ে থাক।

হ্যালো এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন?
বেলা: একবার বলছি তো, বাবা ব্যবহার করে।

দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার।
বেলা: বিশ্বাস হয় না আমি সেই বেলা বলছি!

মিটার যাচ্ছে বেড়ে, এই পাবলিক টেলিফোনের, খুব জরুরি দরকার!
বেলা: কী ঘোড়ার ডিমের চাকরি পাইছ, সামান্য মিটারের টাকা নিয়ে টেনশনে থাকো!

স্বপ্ন এবার হয়ে যাবে বেলা সত্যি, কসবারও নীল দেয়ালের ঘর...!
বেলা: স্বপ্নেরও লিমিট আছে।

সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে, তোমার আমার লাল নীল সংসার।
বেলা: ইনকামের খবর নেই, আবার সংসার!

হ্যালো এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন?
বেলা: টুট টুট টুট (লাইন কেটে দিয়েছে)।

হ্যালো এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন?
ওপাশ থেকে: আপনি যে নাম্বারে ফোন করেছেন তা এই মুহূর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

কান্নাকাটির হল্লা হাটির সময় গেছে পেরিয়ে, হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি?
ওপাশ থেকে: টুট টুট টুট...

কলি

 

রবীন্দ্রনাথ যদি এ যুগে জন্মাতেন

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম
রবীন্দ্রনাথ যদি এ যুগে জন্মাতেন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি এই যুগে জন্মাতেন, তাহলে পরিস্থিতি কেমন হতো? সেটাই জানাচ্ছেন মো. রাকিব

ফেসবুকে তার এক বা একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকত! অল্প দিনেই ফেসবুক চ্যাট, স্ট্যাটাস দেওয়া, বিভিন্নজনের ছবিতে লাইক দেওয়া এবং অসংখ্য গ্রুপের সদস্য হতেন। তার প্রকাশিত লেখার কাটিং বিভিন্ন বন্ধুকে ট্যাগ করতেন। এই করতে করতে সময় কেটে যেত। আসল কাজ লেখালেখি তেমন একটা হতো না! বড়জোর নির্মলেন্দু গুণের মুঠোফোনের কাব্যের আদলে ফেসবুক কাব্য লেখার চেষ্টা করতেন!

তার ভক্ত ও অনুরাগীরা সরকারের কাছে দাবি জানাত, রবীন্দ্রনাথের নামে একটি সড়কের নামকরণ করার জন্য। কিন্তু সরকার কিছুতেই এ দাবি মেনে নিত না। ফলে ভক্তরা কঠোর আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতো। ভক্তদের একাংশ হতাহত হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই নিত। পরদিন দৈনিকের পাতায় শিরোনাম হতো- পুলিশের হাতে মার খেল রবি ঠাকুরের ভক্তরা!

সোনার তরীর মতো লেখা পড়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠত- রবীন্দ্রনাথ নির্ঘাত আওয়ামী লীগ করেন। নইলে তিনি এই নামে বই লিখলেন কেন। তবে নৌকাডুবি প্রকাশ হওয়ার পর তাদের ক্রোধ কিছুটা মিটত।

কবিতা লিখলে মোটামুটি ১৪ লাইনে আর গল্প ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ শব্দে লিখতে বাধ্য করতেন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকরা। শব্দসংখ্যা বেড়ে গেলে সেই লেখা কেটেছেটে বনসাই স্টাইলে ছোট করতেন অথবা অনন্তকালের জন্য ঝুলিয়ে রাখতেন। সম্পাদক দয়ালু হলে কিঞ্চিৎ বড় গল্পটাই ঈদসংখ্যায় উপন্যাস হিসেবে চালিয়ে দিতেন!

ফ্ল্যাপ লিখে দেওয়ার জন্য তার বাসায় নব্য লেখকরা ভিড় জমাতেন। তরুণীরা চেষ্টা করতেন, রূপের মায়াজালে গুরুর মন ভজাতে!

প্রতি বছর ঈদ ও পূজা সংখ্যায় কমসে কম তার ১০টি উপন্যাস ও ৩০টি কবিতা ছাপা হতো! বেশি লিখতে গিয়ে যে পুনরাবৃত্তি করে ফেলতেন, তা নিজেও টের পেতেন না!

কাগজ-কলমের দিন শেষ। এখন কম্পিউটারের যুগ। তাই তিনিও লিখতেন কম্পিউটারে। কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাস অ্যাটাকজনিত কারণে যখন বিগড়ে যেত, তখন বলতেন- দাও ফিরে সেই অরণ্য, লও এই সভ্যতা!

গল্প-কবিতায় সাময়িক ইস্তফা দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য ধারাবাহিক নাটক, এক ঘণ্টার নাটক ও টেলিফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। কখনো কখনো চরিত্র ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নিজেই শুটিং স্পটে হাজির হতেন!

বিভিন্ন সংগঠন তাকে পদক দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগত। তিনিও এসব পদক সংগ্রহ করে ভাঁড়ার ঘরে রেখে দিতেন। পরে সাক্ষাৎকারে এবং বইয়ের ফ্ল্যাপে যখন পুরস্কারপ্রাপ্তির তালিকায় নামগুলো থাকত না, পদকদাতারা মনে মনে গোস্বা হতেন!

তার নামের আগে নানা বিশেষণ যুক্ত হতো- শক্তিশালী কবি, জীবনঘনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক, মননশীল প্রাবন্ধিক, চিন্তাশীল গবেষক...!

সকাল বিকেল টেলিভিশন ভবনে ছুটতে হতো স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করার জন্য। কবিতা আবৃত্তি করতেন ঠিকই, কিন্তু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ অনারিয়ামের চেক দিতে গড়িমসি করত!

তার গান এবং কবিতার মিউজিক ভিডিও হতো। কখনো সখনো তিনি নিজেই মডেল হতেন!

বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় নিয়মিত আসতেন। বইতে অটোগ্রাফ দিয়ে বই বিক্রিতে বড়সড় প্রভাব রাখতেন!

সতীর্থ লেখকরা ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তার নামে কুৎসা রটাত- ছ্যা ছ্যা, তিনি নাকি কবিগুরু! আরে তার তো বাক্যই হয় না। ব্যাকরণেরও তোয়াক্কা করেন না! তার মতো লেখকের জানা উচিত, ব্যাকরণ না জেনে লেখা ঠিক না!

ছাত্রদল-ছাত্র লীগের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি তাকে পীড়িত করত। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় জ্বালাময়ী কলাম লিখতেন। তা পড়ে ছাত্রনেতারা কবিগুরুকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতেন!

রঙ্গব্যঙ্গর মতো ফান পেজগুলোর জন্য রম্যগল্প নিতে তার বাসায় ভিড় জমত।

কলি

ওয়েটার কাস্টমার

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
ওয়েটার কাস্টমার

এক লোক রেস্টুরেন্টে খেতে বসে স্যুপ অর্ডার দিল। বিগত দুই-তিন বছর সে এখানেই স্যুপ খেয়ে আসছে। স্যুপ টেবিলে রাখার পর খেতে গিয়ে, সে ওয়েটারকে ডাক দিল। ওয়েটার আসলে সে বলল, ‘দয়া করে তুমি স্যুপটা একটু টেস্ট করো।’
কেন স্যার? কোনো সমস্যা?
টেস্ট করো।
স্যার আপনি আজ এতদিন ধরে এখানে স্যুপ খাচ্ছেন, কোনো দিন তো সমস্যা হয়নি। কী হলো আজ?
তুমি টেস্ট করো।
স্যার লবণ কি ঠিকমতো হয়নি?
তুমি টেস্ট করো।
স্যার চিকেন কি সঠিক পরিমাণে পড়েনি?
টেস্ট করো।
স্যার স্যুপ কি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে?
‘আরে ব্যাটা! টেস্ট করতে বলছি টেস্ট কর।’ চেঁচিয়ে উঠল লোকটি।
ওকে, ওকে স্যার। আমি টেস্ট করছি।
স্যুপ টেস্ট করতে গিয়ে ওয়েটার অবাক হয়ে বলল, ‘ও মাই গড! চামচই তো দেওয়া হয়নি।’

কলি