বাংলাদেশের দাপুটে জয় । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বাংলাদেশের দাপুটে জয়

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
বাংলাদেশের দাপুটে জয়
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ঘরের মাঠে প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের শেষ সুযোগ। নিজেদের ভুল ক্রুটি শুধরে নেওয়া ও কম্বিনেশন ঠিক করে নেওয়ার এই সিরিজটা দাপুটে জয়ে শুরু করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৩ মে) ২৮ রানের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়েছে ২৮ বল হাতে রেখে।

অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৭ ও তাওহিদ হৃদয় ১৮ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। সুবাদে এই সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেল ১-০ তে।

টস জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মাহেদি। তাদের আগুনে বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় মাত্র ১২৪ রানে।

স্কোর বোর্ডে ৪১ রান যোগ করতে জিম্বাবুয়ে হারায় ৭ উইকেট। যদিও একপর্যায়ে ১ উইকেটে ৩৬ ছিল দলটির স্কোর। কিন্তু এরপর আর ৫ রান যোগ করতেই দলটি হারিয়ে বসে ৬ উইকেট।

১০০-এর নিচে তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল দলটি। কিন্তু ৮ম উইকেট জুটিতে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মাদান্দের ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়ে পায় সম্মানজনক পুঁজি।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট নেন শেখ মাহেদি। ম্যাচসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

২৫টি স্কোয়াডের বেতনের বেশি বেতন মেসির

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
২৫টি স্কোয়াডের বেতনের বেশি বেতন মেসির
ছবি : সংগৃহীত

প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ছেড়ে লিওনেল মেসি ২০২৩ সালে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানে আর্জেন্টাইন তারকার বাৎসরিক বেতন ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা কিনা আর সবার চেয়ে বেশি। এমনকি ২৫টি ক্লাব তাদের খেলোয়াড়দের যা বেতন দেন তার চেয়েও বেশি।

এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল এই তথ্য প্রকাশ করেছে। মেসির বেতন আর সবার চেয়ে বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তীর নিট বেতন ১ কোটি ২০ লাখ ডলার। বিভিন্ন বোনাস সহকারে সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।

প্রকাশিত সেই নথিতে অবশ্য তার বাণিজ্যিক চুক্তি, এনডোর্সমেন্ট ও স্পনসর চুক্তি থেকে আয় যোগ করা হয়নি।

মেজর লিগে মেসি যাওয়ার আগে সেখানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেতেন টরন্টো এফসির ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। বর্তমানে তার অবস্থান দ্বিতীয়তে। কানাডিয়ান ক্লাবটি থেকে বছরে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেন ইনসিনিয়ে। আয়ের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেসির আরেক সতীর্থ সের্হিও বুসকেটস। ৩৫ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মায়ামিতে ৮৮ লাখ ইউরো আয় করেন।

উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ও স্প্যানিশ ফুলব্যাক জর্দি আলবা বছরে ১৫ লাখ ডলার করে আয় করেন মায়ামিতে।

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি ১১ কোটি টাকায়

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৯ এএম
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি ১১ কোটি টাকায়
ছবি : সংগৃহীত

২০০০ সালে ১৩ বছর বয়সী লিওনেল মেসির সঙ্গে একটি ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি করেছিল বার্সেলোনা। সেই ন্যাপকিনটি নিলামে উঠতে যাচ্ছে এমনটাই জানা গিয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

মার্চে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ন্যাপকিন পেপারের দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। কিন্তু সেই ন্যাপকিনের দাম ছাড়িয়ে গেছে সবার অনুমান ও প্রত্যাশাকে।

শুক্রবার (১৭ মে) ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।  ন্যাপকিনটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ডলার।

বার্সার হয়ে এমন কোনো শিরোপা নেই, যা জেতেননি মেসি। বার্সার হয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০ বার লা লিগা জয়ের পর ২০২১ সালে মেসি যোগ দেন পিএসজিতে। গত বছর ফরাসি ক্লাবটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি।

যুক্তরাষ্ট্রের লিগে সাকিব

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের লিগে সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

মোটামুটি ক্রিকেটের সকল ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগেই বিচরণ করেছেন সাকিব আল হাসান। আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল, সিপিএল, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিসহ অধিকাংশ লিগেই নাম লিখিয়েছেন তিনি। এবার নাম লেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ (এমএলসি) ক্রিকেটে। লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স দলে ভিড়িয়েছে তাকে।

এই দলটির মালিকানায় রয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তার দলের হয়ে ২০১২ ও ২০১৪ মৌসুমে দুইবার আইপিএলের শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান।

শুক্রবার (১৭ মে) নিজেদের সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তাদের দলে সাকিবের অন্তর্ভূক্তির খবরটি নিশ্চিত করেছে তারা। দলটি লিখেছে, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান এলএ নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ২০২৪ মেজর লিগ ক্রিকেটের জন্য যুক্ত হচ্ছেন। শীঘ্রই দেখা হচ্ছে, সাকিব।’

এক বিবৃতিতে নাইট রাইডার্স গ্রুপ জানিয়েছে, ‘নাইট রাইডার্স পরিবারের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, তিনি কেকেআরকে বিভিন্ন মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১২ ও ২০১৪ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তিনি। জুলাইয়ে এলএ নাইট রাইডার্সের সাকিব ছাড়াও আগে থেকেই লস অ্যাঞ্জেলস স্কোয়াডে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, জেসন রয়, স্পেন্সার জনসনের মতো বিদেশি তারকারা।

 বিশ্বকাপের পর ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে মেজর লিগ ক্রিকেটের দ্বিতীয় মৌসুম। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ নেদারল্যান্ডসের ঘুষি ওজনের চেয়ে বেশি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩২ এএম
নেদারল্যান্ডসের ঘুষি ওজনের চেয়ে বেশি
ছবি : সংগৃহীত

আইসিসি ইভেন্টে নিয়মিত, তবে শিরোপা রেসে কখনোই থাকা হয় না। কারণ নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটে বড় কোনো শক্তি নয়। ইউরোপে ফুটবল উন্মাদনার গণ্ডি পেরিয়ে ২২ গজে তাদের পর্দাপণই সফলতা। সেরা সাফল্য আইসিসি ইভেন্টে নাম লেখানো। বলা বাহুল্য, টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে চলেছে দেশটি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা ডাচ ক্রিকেটাররা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে। শিরোপা রেসে না থাকা খর্বশক্তির নেদারল্যান্ডসের বিশেষত্ব চমকে দেওয়া। হঠাৎ ওজনের চেয়ে বেশি শক্তিতে ঘুষি মারা তাদের অভ্যাস। হুটহাট ঘটিয়ে ফেলে অঘটন। তাই বড় মঞ্চে ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ নেদারল্যান্ডস।
 
লেখা ও বাস্তবতার মিল খুঁজে পেতে খুব বেশি দূরে তাকাতে হবে না। ধরা যাক, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষ আসরের কথা। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ইভেন্টটিতে নেদারল্যান্ডসের চার জয়ের একটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ায় সেই আসরে বড়দের চোখে চোখ রেখে লড়েছিল তারা। পরের বছর, ভারত বিশ্বকাপে ফের প্রোটিয়াদের কুপোকাত করেছিল কমলা জার্সিধারীরা। সেই সাফল্যকে পুঁজি করেই নতুন দিনের স্বপ্ন বুনেছেন কোচ রায়ান কুক, যার কোচিংয়ে নেদারল্যান্ডস তাদের ১১তম বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় (দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে পাঁচটি করে খেলেছে)।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশি সফল নেদারল্যান্ডস। চার-ছক্কার রোমাঞ্চে আতঙ্কের নামও বটে! পরিসংখ্যান বলছে এটা। জানেন কী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের হার কোন দলের সবচেয়ে বেশি? অদ্ভুত হলেও সত্যি, দলটি নেপাল। টুর্নামেন্টে একবারের অংশগ্রহণে ৩ ম্যাচে তাদের জয় ২টি। জয়ের হার ৬৬.৬%। নেপালের পর ভারত (৬৩.৯৫%) এবং অস্ট্রেলিয়ার (৬২.৫০%) অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। মানে-গুণে, শক্তি-সামর্থ্যে যেখানে আধিপত্য থাকার কথা টেস্ট খেলুড়ে ১২ দলের, সেখানে নেপালের শীর্ষে থাকা সৌভাগ্য বটে। যদিও এতটা সৌভাগ্য নেই নেদারল্যান্ডসেরও, তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই তালিকার ১১ নাম্বারে ডাচ ক্রিকেটাররা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের হারে নিদারুণ বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান (টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে)। টুর্নামেন্টে ৩৮ ম্যাচে টাইগারদের জয় মাত্র ৯টি (২৪.৩২%) এবং ২২ ম্যাচে আফগানিস্তানের জয় ৭টি (৩১.৮১%)। আয়ারল্যান্ডের (৩১.১৮%) অবস্থানও নেদারল্যান্ডসের পরে। তিন দলই ডাচদের চেয়ে বেশিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। কিন্তু উন্নতি দেখাতে পারেনি। এদিক থেকে নেদারল্যান্ডসের পারফরম্যান্সের গ্রাফ মনোমুগ্ধকর। ৫ বারের অংশগ্রহণে খেলেছে ২৩ ম্যাচ, জয় ৯টি। জয়ের হার ৪০.৯০! গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের লিগ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও পরাস্ত করেছিল বাংলাদেশকে। সুখবর তাদের জন্যে- এবারও দুই দলকে পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস।

‘ডি’ গ্রুপে নেদারর্যান্ডসের সঙ্গি বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অপর দুই দল হলো শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। ডালাসে আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে ডাচরা। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে যথাক্রমে ৮, ১৩ ও ১৭ জুন। যেহেতু প্রতি গ্রুপের ২টি করে দল যাবে সুপার-এইটে, তাই ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ নেদারল্যান্ডসের সুযোগও থাকবে পরের রাউন্ডে খেলার। যদি গত বিশ্বকাপের ফর্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে টেনে আনতে পারে ডাচ ক্রিকেটাররা।

অভিজ্ঞতায় ভাটা

বৈশ্বিক ইভেন্টে চমক দেখানো দলটি এবার সবাইকে চমকে দিয়েছে দল ঘোষণায়। তাদের স্কোয়াডে নেই দুই সেরা অস্ত্র- কলিন অ্যাকারম্যান এবং রুলফ ফন ডার মারউই। কাউন্টি ক্রিকেটে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুই অভিজ্ঞ ডাচ ক্রিকেটার। এ জন্য বিশ্বকাপ থেকেই সরে ডারহামের অ্যাকারম্যান এবং সমারসেটের মারউই। যদিও অন্যরা এতটা স্বার্থপর হয়নি। কাউন্টির ব্যস্ততা গুটিয়ে নিয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় বাকিরা।

নেদারল্যান্ডসে ক্রিকেট কাঠামো তেমন আশানুরূপ নয়। সেখানকার খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকেন বাইরের দেশের ক্রিকেট নিয়ে। যেমন- বাস ডি লিড ডারহামে, ফ্রেড ক্লাসেন কেন্টে, লোগান ফন বিক ওয়েলিংটনে, টিম প্রিঙ্গল নর্দান ডিস্ট্রিক্টে, ড্যানিয়েল ডোরাম লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে, পল ফন মিকারেন ওয়েস্টন সুপার মারে ক্লাবে খেলেন। এদের প্রত্যেকেই ফের এক হয়েছেন বিশ্বকাপের জন্য। ডাচদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের মধ্যে থাকা ৭ জনের সবশেষ টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৭ জন যেকোনো একটিতে ছিল এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৫।

ডাচদের দলে রয়েছে তিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার- বিক্রমজিৎ সিং, তেজা নিদামানুরু এবং আরিয়ান দত্ত। তবুও তাদের দলে অভিজ্ঞতায় ভাটা দুই ক্রিকেটার অ্যাকারম্যান এবং মারউই্ না খেলাতে। তাই একটা ঘাটতি নিয়েই যুদ্ধে নামবেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে তারা ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ট্রাইনেশন সিরিজ, যা শুরু হবে আজ।

টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসের অভিষেক ২ আগস্ট ২০০৮

ম্যাচ: ১০৩

জয়: ৫২

হার: ৪৫

টাই: ২

পরিত্যক্ত: ৪

র্যাঙ্কিং: ১৫

রায়ান কুক, প্রধান কোচ

আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন করতে পেরেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে ভালো পারফর্ম করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রত্যেক খেলোয়াড় ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট তাদের উন্নতি এবং গুণমান দেখিয়েছে। শেষ দুই বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স প্রশংসনীয় ছিল। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে (সুপার এইট) পৌঁছানোর জন্য সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।

দল : স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বিক, ম্যাক্স ও’ডাউড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকারেন, সাইব্র্যান্ড এনঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং এবং ওয়েসলি বারেসি।

ফুরফুরে মেজাজে হিমালয়-কন্যা

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৪ এএম
ফুরফুরে মেজাজে হিমালয়-কন্যা
ছবি : সংগৃহীত

নেপালকে বলা হয় হিমালয় কন্যা। ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল হিস্টোরি অব নেপাল বই। যে বইটিতে ড্যানিয়েল রাইট লিখেছিলেন, ‘তরুণদের ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলার জন্য বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকরা চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু এই ধরনের বিনোদনকে সব সময়ই অপমানজনক বলে মনে করা হতো।’

ছোট্ট এই দেশটিতে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় অনেক আগে থেকেই। আজ থেকে ষাট-সত্তর বছর আগে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত হলেও কিন্তু সেভাবে ক্রিকেট বিশ্বে জায়গা করে নিতে পারেনি দলটি। ২০১৮ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় দলটি। সাফল্যের ভাণ্ডার অনেকটাই শূন্য। হিসেবের খেরোখাতা সমৃদ্ধ নয় বলেই যেকোনো বিশ্বকাপেই চাপহীন থাকে নেপাল। প্রত্যাশা কম, বিনোদন বেশি। সে লক্ষ্যেই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসছে হিমালয় কন্যারা।

গত শতাব্দীর বিশ থেকে ত্রিশ সালের দিকে তৎকালীন শাসক রানাদের পরিবারের চেষ্টায় ক্রিকেটের যাত্রা শুরু  হয় নেপালে। শুরুতে আর সব দেশের মতোই এটা ছিল অভিজাত শ্রেণির খেলা। কিন্তু নেপালে বিপ্লবের পর বদলে যেতে শুরু করে সব। গণতন্ত্রের প্রবর্তনের পর ক্রিকেট বাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৯৯৬ সাল থেকে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া শুরু করে। অথচ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল গঠন করা হয়েছিল সেই ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে।

রোহিত পাওদেলের নেতৃত্বে এবার বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে দেশটি। দলে নেই তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। ধর্ষণ মামলায় জেলে আছেন তিনি। অন্যথায় প্রত্যাশিত সবাই রয়েছেন নেপালের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। দলে বড় কোনো চমক নেই। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা গুলশান ঝা তারুণ্য নির্ভর দলটিতে রয়েছেন। জায়গা ধরে রেখেছেন ১৯ বছর বয়সী প্রতীশ জিসি। ২০১৪ সালের ডেব্যু আসর থেকে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আছেন সোমপাল কামি। রয়েছেন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার কারান কেসি। তিনি দলটির সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়। স্পিন আক্রমণে নেতৃত্বে দেবেন ললিত রাজবংশী।

নেপালের পোস্টারবয় খ্যাত সন্দীপ লামিচানে। তারকা এই লেগ স্পিনারের হাত ধরেই নেপালের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এক ধর্ষণ মামলায় নেপালের আদালত তাকে ৮ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেন। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন লামিচানে। গত ১৫ মে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে নেপালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন তিনি।

আদালতের প্রাথমিক রায়ের পর নেপাল ক্রিকেট বোর্ড লামিচানেকে নিষিদ্ধ করেছিল। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন লামিচানে। এমন অভিযোগের পরও জনসমর্থনও পেয়ে এসেছেন। এ মাসে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি নির্দোষ। যারা আমাকে বিশ্বাস করেন এবং আমার ব্যাপারে সহমর্মী, তাদের প্রতি আমি ঋণী থাকব।’

নেপালের প্রথম বিশ্বকাপ ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে। নতুন হিসেবে খারাপ করেনি দলটি। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ‌‘এ’ গ্রুপে পড়েছিল নেপাল। প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও হংকং। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে (হংকং ও আফগানিস্তান) জিতে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল। অল্পের জন্য সুপার টেনে খেলা হয়নি তাদের। বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট ছিল নেপালেরও। তবে নেট রান রেটে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকায় কপাল পুড়েছিল গোরখালিদের। ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই বেশি সফল নেপাল। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপটা তাই হিমালয় কন্যাদের জন্য বাড়তি রোমাঞ্চেরই।

দশ বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপাল। এবারও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে পেয়েছে তারা। বাংলাদেশ ছাড়াও ‘ডি’ গ্রুপে নেপালের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস। ডালাসে ৪ জুন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।