![জুম অ্যাপে যুক্ত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!](uploads/2023/11/26/1700980757.zoom-jabe.jpg)
করোনাকালীন সময়ে ঘরবন্দি অবস্থায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে টেলিকনফারেন্সিং অ্যাপ জুম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘরবন্দি অবস্থায় থেকে বিশ্ব স্বাভাবিক হতে শুরু করলে গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে এই অ্যাপটিতে।
বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজেদের অবস্থান টিকে রাখতে অ্যাপ ও ওয়েবে আমূল পরিবর্তন আনছে প্রতিষ্ঠানটি। টেলিকনফারেন্সিং সেবায় জুমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধা যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা ফ্রেডরিখ মারিস।
করোনাকালীন সময়ে হোম অফিস, অনলাইন ক্লাস, মিটিং, বন্ধুদের আড্ডায় জনপ্রিয়তা পায় ক্লাউড মিটিং ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মটি। অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় জুমের ব্যবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়, এর সঙ্গে কোম্পনিটির মুনাফা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। কিন্তু অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার অ্যাপটি ব্যবহারের চাহিদা কমে গিয়েছে।
কমে গিয়েছে আয়ও। টেলিকনফারেন্সিং মাধ্যমে মিটিং এবং অনলাইন ক্লাসে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে প্ল্যাটফর্মটিকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা ফ্রেডরিখ মারিস বলেন, সুস্থ পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে যা যা পরিবর্তন আনা দরকার তাই আনবে জুম। দুই বছর আগেও জুম শুধু মিটিং অ্যাপ থাকলেও বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে আরও কিছু সুবিধা যোগ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। মারিস আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বে অনেক মানুষ হোম অফিস এবং রিমোট জব করছেন।
তাদের জন্য টেলিকনফারেন্সিং সহজ করতে জুমে যুক্ত হচ্ছে এআই সুবিধা। এআই সুবিধা থাকার ফলে টেলিকনফারেন্সিংসহ ই-মেইল ড্রাফট এবং মিটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আরও কিছু সুবিধা যোগ করা হবে। ফ্রি পরিষেবার আওতায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী একযোগে ৪০ মিনিট সময় কনফারেন্সিং করতে পারে।
আর প্যাকেজ কিনে জুম অ্যাপে ৩০০, ৫০০, ৭০০ বা তারও বেশি সংখ্যক অংশগ্রহণকারী ভার্চুয়াল কনফারেন্স করতে পারে।বর্তমান সময়ে এআই নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে গুগল এবং মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
মরিস বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টেক্কা দিয়েই বাজারে টিকে থাকবে জুম। উইন্ডোজ, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সমান কার্যকর জুম অ্যাপ। এর সাহায্যে মিটিং করা যায় কোনো বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
এ .জে / কলি