‘আমরা বাঙালি আমরা মুক্ত, সীমানা ছাড়িয়ে অন্তরে যুক্ত’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কিশোরগঞ্জে শুরু হয়েছে ২০তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জেলা শহরের খরমপট্টিতে অবস্থিত সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এ উৎসব শুরু হয়। চলবে আগামী শনিবার (৯ মার্চ) রাত ১০টা পর্যন্ত।
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আয়োজনে ও সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন ‘জেগে উঠো নরসুন্দা’র সহযোগিতায় এ উৎসব শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি সমবায় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়। জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ছড়া উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আখতার হুসেন।
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও কবি আবুল এহসান অপুর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের শিশু সাহিত্যিক স্বপন কুমার রায়, ভুটানের কবি ছত্রাপাতি ফুয়েল, নেপালের কবি রাজেন্দ্র গোরাগাই, ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কবি ফাতেমা হক, দুবাইয়ের কবি সপ্তদ্বীপা অধিকারী, ভুটানের কবি ড. ভগবত ভান্ডারী প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের কবি যতীন্দ্রনাথ বসাক, কবি মিনু রানী মিত্র, সাহিত্য সমালোচক প্রফেসর ড. তুলসি প্রসাদ শর্মা, নিশীথ বরণ সিংহ রায়, অর্পিতা দাস, নৌমিতা দেব, তারাশঙ্কর চক্রবর্তী, নেপালের রিসব দেব ঘিমিরে, যুবরাজ নায়াঘরে, মিন প্রসাদ শ্রেষ্ঠ, হরিবোল ঢকাল, অজয় খাগরা, রমেশ মান মনিকরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কবি ও ছড়াকার।
ভারত থেকে আসা অর্পিতা দাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ বছর প্রথমবারের মতো ছড়া উৎসবে এসেছি। এই উৎসবে আসতে পেরে এবং তাদের আপ্যায়নে আমি অভিভূত। আশা করি, আগামী বছরও আসব। ভারত-বাংলাদেশের যে সম্পর্ক দৃঢ় আছে আমরা চাই তা আরও সুদীর্ঘ হোক।’
ছড়া উৎসবের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কবি, ছড়াকারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ছড়া উৎসব। ভারত, ভুটান, নেপাল, দুবাই থেকে এ বছর অতিথিরা এসেছেন। পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপত্তা ও সুবিধা দেওয়া হয়।’
তাসলিমা/সালমান/