![শিল্পীর ক্যানভাসে গণহত্যার স্মৃতি](uploads/2024/03/24/1711262498.genocide.jpg)
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। সে রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং জগন্নাথ হলে সংগঠিত হয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। সেদিনের বিষাদময় স্মৃতির কথা নানা মাধ্যমে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পীরা।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর এই পাঁচটি স্থানে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে আর্ট ক্যাম্প। বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী বীরেন সোম, শিল্পী মলয় বালা, শিল্পী নিসার হোসেন, শিল্পী রোকেয়া সুলতানা, শিল্পী সামিনা নাফিজ, শিল্পী আব্দুল মান্নান, শিল্পী ফরিদা জামান, শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুসসহ ৫০ জন চারুশিল্পী ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের নানা অধ্যায়। একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই আর্ট ক্যাম্পে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন চারুকলা বিভাগের সৈয়দা মাহবুবা করিম, রেজাউল হাশেম, মোস্তাক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুজন এবং তৈমুর হান্নান।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের সহায়তায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য গণহত্যা। গণহত্যার জলন্ত সাক্ষী হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে চার সহস্রাধিক বধ্যভূমি। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নানাভাবে দাবি উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তারই সমর্থনে এই দিবসটিকে শিল্পের আলোয় সাজিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’
জাতিসংঘ কর্তৃক ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’-এ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আগামীকাল সোমবার বিকেলে ‘সংলাপ: গণহত্যার বিশ্ব-রাজনীতি ও বাংলাদেশ গণহত্যা: ভুলে থাকা সাংস্কৃতিক দায়’ সংলাপের আয়োজন করেছে। অংশ নেবেন শহিদ সন্তান জাহিদ রেজা নূর, অধ্যাপক মাহবুবুল হক, অধ্যাপক সিরাজ সালেকীনসহ আরও অনেকে। সংলাপে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম মোজাহার।