‘বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন, চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে’ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

‘বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন, চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে’

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
‘বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন, চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে’
ছবি : খবরের কাগজ

বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন এবং চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। মানুষকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজের জন্য খোঁড়া কবরের সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তির ব্যাপারে আপস করেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে।’

বুধবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, গল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মে দরিদ্র্য কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির গান গেয়েছেন। তাঁরা উভয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ, উগ্র জাতীয়তাবাদ পরিহার এবং আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করেছেন।’

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা ও সাহিত্যকর্মে সমাজের নানা অসঙ্গতি, কুসংস্কার, বৈষম্য, মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু এবং রবীন্দ্রনাথ উভয়ই উগ্র জাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন। তাঁরা উভয়ই বিশ্বাস করতেন, উগ্র জাতীয়তাবাদ সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সবার সামনে সব সময় তুলে ধরতে হবে।’

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় ও কর্মে অনেক মিল ছিল। বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে আত্মশক্তি অর্জনে উভয়ই সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্য জীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত। তিনি যেমন লেখনীর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আয়েজিত ওই আলোচনাপর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

আরিফ জাওয়াদ/অমিয়/

লাল মিয়া থেকে শিল্পী সুলতান

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৮ এএম
লাল মিয়া থেকে শিল্পী সুলতান
শিল্পী এস এম সুলতান

শিল্পী এস এম সুলতানকে জানতে হলে ঘুরতে হবে পুরো ভারতবর্ষ। তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর মাটির মানুষ। মাটির সঙ্গে ছিল তার নাড়ির যোগ, মাটির সঙ্গেই ছিল আজন্ম বসবাস। তিনি শুধু একজন চিত্রশিল্পীই নন, তিনি ছিলেন ঋষি, দার্শনিক। ছিলেন এক ক্যারিশম্যাটিক চরিত্র। জয়নুল আবেদীন আর এস এম সুলতান ছিলেন একই আদর্শের ধারক ও বাহক। এমনকি তিনি ছিলেন চমৎকার রসবোধসম্পন্ন একজন মানুষ।

শনিবার (১৮ মে) ‘লাল মিয়া থেকে শিল্পী সুলতান কিছু খণ্ডচিত্র’- এই শিরোনামে শিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত বিশিষ্টজনদের আলোচনায় বারবার উঠে আসে, শিল্পীর অসাধারণ ‘সাধারণ’ জীবনযাপন, তার মনস্তত্ত্ব, জীবনবোধ এবং সারা জীবন ছবি আঁকার সংগ্রাম। 

আলোচনা সভার মূল বক্তা ছিলেন শিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন এবং ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম। এ সময় শিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভীর ক্যামেরায় তোলা এস এম সুলতানের কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবি প্রদর্শন করা হয়।

শিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী বলেন, ‘আমি যখন প্রথম চারুকলায় তাকে দেখি, তার পরনে ছিল একটি গেরুয়া রঙের শাড়ি, বড় চুল। আমার মনে হয়েছিল, এখানে পড়লে আমাকেও কি এমন বেশ নিয়ে থাকতে হবে? আবার পরবর্তী সময়ে দেখি তিনি তার বেশ পরিবর্তন করেছেন। সুলতান আসলে এত বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন যে তিনি নিচ থেকে সবাইকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের কথা বলে গেছেন।’

সুলতান সম্পর্কে আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন বলেন,‘ সুলতানের একেকটি ছবি স্বাধীনতার মেনোফেস্টো। তিনি যেভাবে তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ওই সময় যা দেখে গেছেন তা অকল্পনীয়। তাকে এক-দুই দিনে পাঠ করে জানা সম্ভব নয়। তাকে জানতে হলে পুরো ভারতবর্ষ জানতে হবে, ব্রিটিশ কলোনিয়াল সময় সম্পর্কে জানতে হবে, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হবে।’ 

ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম বলেন, ‘তিনি আকাশের চাঁদ, ধ্রুবতারা। তিনি এত সহজ একজন মানুষ ছিলেন যে তার কাছে যেই যেত তাকে তিনি আপন করে নিতেন। ঠিক ওই মুহূর্তে মনে হতো, ওই সময়টুকু সুলতান শুধু তার। এমনকি খুব বেশি দিন চেনেনও না, তার সঙ্গেও তিনি আপনজনের মতো কথা বলতেন।’ 

সুলতানের ছবিতে আমরা দেখি গ্রাম-বাংলার নতুন এক প্রতিচ্ছবি। একই সঙ্গে তার এ ছবিগুলোতে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের শ্রেণি-দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ক্রূর বাস্তবতাও উঠে এসেছে।

এস এম সুলতান যাদের দ্বারা বিতাড়িত হয়েছিলেন, তারা আজও সক্রিয়। বাংলাদেশের অনেক তরুণ এস এম সুলতান হতে চান, এই যে জনপ্রিয়তা অনেক শিল্পীই মানতে পারেন না। কিন্তু বাংলাদেশে এস এম সুলতান টিকে থাকতেই এসেছিলেন, তার কোনো সহায় নেই, সম্পত্তি নেই, কিন্তু তাকে নিয়ে আলোচনা আজও চলমান, তিনি ছিলেন মহামানব, ধরাবাঁধা স্কুলিং না থাকলেও তিনি ছিলেন অসামান্য মেধাবী। তিনি শুধু ছবি উপহার দেননি, সুলতান মিশে আছেন এ দেশের প্রকৃতি, জলবায়ুর সঙ্গে।

ব্রেইন ড্যামেজ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লেখক হোসেনউদ্দিন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:০৬ এএম
ব্রেইন ড্যামেজ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লেখক হোসেনউদ্দিন
লেখক হোসেনউদ্দিন হোসেন

‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ প্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দিন হোসেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে তার ব্রেন ড্যামেজ ধরা পড়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। 

হোসেনউদ্দিন হোসেনের ছোট মেয়ে শাহনাজ রাহানা রত্না জানান, ২০১৯ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। এ ছাড়া তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে গত ১৪ মে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন তাকে যশোর শহরের কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। 

তিনি জানান, শুক্রবার (১৭ মে) বাবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। বেশির ভাগ সময় সেন্সলেস (চেতনাহীন) থাকছেন। কেউ ডাকলে একটু-আধটু চোখ মেলে দেখছেন। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেছে। প্রতিদিন দুই ব্যাগ রক্ত লাগছে। তার ফুসফুসে পানি জমেছে।

‘গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক’ আলোচনা-মিলনমেলা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
‘গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক’ আলোচনা-মিলনমেলা
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। ছবি : খবরের কাগজ

খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে ২০১৪ সালের ১৭ মে যাত্রা শুরু হয় ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এর। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বধ্যভূমিতে ৫০টি স্মৃতিফলক, মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার ছবি ও অনেক স্মৃতিচিহ্ন রাখা হয়েছে। এই জাদুঘরই প্রথম ডিজিটাল জেনোসাইড ম্যাপ তৈরি করেছে।

শুক্রবার (১৭ মে) গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর-এর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণহত্যা জাদুঘরের এক দশক’ শিরোনামে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও মিলনমেলা খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে নতুন ভবনে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করছে গণহত্যা জাদুঘর। 

১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, প্রদর্শন অন্বেষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছিল গণহত্যা জাদুঘর। সকালে সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সেমিনার উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। 

দ্বিতীয় পর্বে একাডেমিক সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক পুনম মুখার্জি এবং পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সাগর তরঙ্গ মণ্ডল। সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. মাহবুবর রহমান। বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘যে জাদুঘর জীবনের কথা বলে’ দশম শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি কবি তারিক সুজাত। সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

তারেক খানের স্মৃতির প্রতি অনুশীলন নাট্যদলের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
তারেক খানের স্মৃতির প্রতি অনুশীলন নাট্যদলের শ্রদ্ধা
চিত্রশিল্পী, থিয়েটার কর্মী ও অনুষ্ঠান প্রযোজক তারেক খান। ছবি : সংগৃহীত

চিত্রশিল্পী, থিয়েটার কর্মী ও অনুষ্ঠান প্রযোজক তারেক খানের প্রয়াণে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে অনুশীলন নাট্যদল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (১৫ মে) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সাবেক কর্মীর মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাজশাহীতে দলের সদস্যরা অনুশীলন নাট্যদল কার্যালয়ে শোকসভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি অধ্যাপক এস এম আবু বকর। 

সভার শুরুতেই প্রয়াত তারেক খানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শোকাতুর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। 

সভায় তার কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন দলের সদস্যরা।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারেক খান বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন গাজী টিভির অনুষ্ঠান সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মে)  বিকেল ৫টায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে তারেক খানের  স্মরণে সভার আয়োজন করেছে অনুশীলন নাট্যদলের প্রাক্তন সদস্যরা।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ আন্দোলনের সহযাত্রী: স্মরণসভায় বিশিষ্টজনরা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ আন্দোলনের সহযাত্রী: স্মরণসভায় বিশিষ্টজনরা
রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিকরা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আনিসুজ্জামান জাতির দুর্দিনে পথ দেখিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ আন্দোলনের সহযাত্রী। 

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জীবন ও কর্ম স্মরণে স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিকরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে কালি ও কলম পত্রিকার আয়োজনে অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি মাহফুজা খানম, কবি পিয়াস মজিদ। 

মঙ্গলবার ছিল বাংলা একাডেমির প্রয়াত সভাপতি, শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের চতুর্থ প্রয়াণবার্ষিকী। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি লেখালেখির মাধ্যমে তরুণদের জাগাতে চেয়েছিলেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি তরুণদের সেখানে ঘাটতি আছে। তাকে স্মরণ করে সেই কাজটাই আমরা করতে চাই। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন চিন্তা প্রসারিত করতে হবে। আমরা সকলেই মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী। আমরা সেই বিশ্বাসকে প্রসারিত করব।’

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি মাহফুজা খানম বলেন, নতুন প্রজন্মকে মানবিক, উদারতা, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করাসহ নানা কর্মে অবদান রেখেছেন। রাজনৈতিক বিভাজন, ধর্মীয় উন্মাদনা, সন্ত্রাস, মানবিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় রোধে জাতীয় জাগরণের আশায় অনেককে একত্রিত করার নানা কর্মকাণ্ডে তিনি যুক্ত ছিলেন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের চতুর্থ প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল আজিমপুর কবরস্থানে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা। একাডেমির পরিচালক ডা. মো. হাসান কবীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে অংশ নেন একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, উপপরিচালক, সহ-পরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।