চুয়েটে একাডেমিক ভবনে তালা, চতুর্থদিনে সড়ক অবরোধ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

চুয়েটে একাডেমিক ভবনে তালা, চতুর্থদিনে সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
চুয়েটে একাডেমিক ভবনে তালা, চতুর্থদিনে সড়ক অবরোধ
একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে চতুর্থ দিনেও রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় পুরকৌশল ভবন, আর্কিটেকচার ভবন, কম্পিউটার সায়েন্স ভবন, প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে।

একইসঙ্গে চতুর্থদিনের মতো সড়ক অবরোধ চলছে। ফলে সোমবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করা হলেও প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে চতুর্থ  দিনের মতো শিক্ষার্থীরা চুয়েট গেটে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নিয়েছে। এর আগে বুধবার, মঙ্গলবার ও সোমবার বিকেলে একই ভাবে সড়কে অবস্থান নেন তারা। 

বিক্ষোভে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ব্যবহারকারী রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে এ সড়কে যাতায়াতকারীরা।  

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক, দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এক শিক্ষকের বহিষ্কারসহ ১০দফা দাবি পেশ করেন। 

প্লেকার্ডে লিখে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা তুলে ধরেন। এ দাবি মেনে নিতে তারা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। 

তবে ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে,মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিক্ষোভে নেমে পড়ে। এ সময় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এ সড়কে চলা শাহ আমানত লাইনের একটি গাড়ি। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়েট গেটের দুই পাশে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা হেঁটে চুয়েট গেট অতিক্রম করছেন।
 
দুপুরে শহিদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরকৌশল ভবনে তালা দেয়, এরপর কম্পিউটার সায়েন্স ভবনে, আর্কিটেক্ট ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতেও দেখা যায়। এর আগের দিন সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় তারা।

শিক্ষার্থী মতিউর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের দুই ভাই নিহত হয়েছে। আমরা শান্তি থাকবো কিভাবে। আমাদের একটি দাবিও মেনে নেয়নি প্রশাসন। ফলে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।’ 

চুয়েটের শিক্ষার্থী আবদুল কাদের খবরের কাগজকে বলেন, ‘একজন শিক্ষক এ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন ফলে আমরা সুমন দে নামের ওই শিক্ষকেরও বহিষ্কার দাবি করছি।’

শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য।  কিন্তু আমাদের একটি দাবিও মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাইনি। ফলে আমাদের আন্দোলন চলছে।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভায় বসেছেন চুয়েটের ভিসি ড. মো. রফিকুল আলম।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নিহত হন।

আবদুস সাত্তার/অমিয়/

জবির ছাত্রী হলের নামে যুক্ত হলো বঙ্গমাতা

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
জবির ছাত্রী হলের নামে যুক্ত হলো বঙ্গমাতা
ছবি : খবরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামে আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।

সোমবার (১৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য মহোদয় এসেই নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ নেন। কারণ নাম পরিবর্তনের জন্য অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলছিল।’ 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের ৯৫তম সভায় নাম পরিবর্তন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে নতুন নামফলক লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে।’

 

বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

যাত্রীবাহী বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে যশোর চৌগাছা সড়কে তারা অবস্থান নেন। এর পর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ ঘটনায় জনসাধারণের চলাচল চরমভাবে ব্যহত হয়। প্রায় পাঁচ ঘন্টা চলমান অবরোধ কর্মসূচি পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১২মে যশোর থেকে চৌগাছাগামী লোকাল বাসে করে ব্শ্বিবিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন। বাসটিতে চুড়ামনকাটি থেকে মাসুদ নামের এক যুবক উঠেন। বাসে উঠে সে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।পরবর্তীতে মাসুদের নামে ঘটনার দিন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান ওই শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করার জন্য প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করলে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। ঘটনার ২৪ ঘটনা অতিক্রম করলেও অপরাধী গ্রেফতার না হওয়ায় আবার সোমবার দুপুর থেকে আবারও  বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।এর পর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। 

একই সাথে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি তুলেন। দাবি গুলো হলো-  শ্লীলতাহানির ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, যশোর-চৌগাছা রুটের সকল বাসের চালক এবং হেলপারকে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে (বিশেষত্ব, নারী ও শিশু), উক্ত রুটের সকল বাসের মধ্যে সামনের সারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখতে হবে। (নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি), ভবিষ্যতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে এর পূর্ণদায়ভার গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যবিপ্রবি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিবেচনাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি ঘন্টায় শহর থেকে (চাঁচড়া, মনিহার) শাটল বাস সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং অতিদ্রুত এ দাবি কার্যকর করতে হবে। 

পরবর্তীতে বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি তুলে নেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাটল বাস দেওয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর জন্য যশোর চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সাথে আমরা কথা বলে ব্যবস্থা করবো।

এই বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযুক্তকে আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে। 

সিকৃবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
সিকৃবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই নেতা বহিষ্কার

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃত দুজন হলেন-নতুন কমিটির সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন। 

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে রবিবার (১২ মে) বিকেলে সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের সিট-সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ওই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এতে ১৭ জন হতাহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই ঘটনার রেশ ধরেই কেন্দ্রীয় কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগ কখনোই শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না। তবে রবিবার হলের সিট-সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সব নেতা-কর্মী বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়ে গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলব না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।’ 

তবে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আশিকুর রহমান কল রিসিভ করেননি এবং ইমাদুল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শুক্রবার রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুদিন না পেরোতেই গত রবিবার বিকেল ৫টার দিকে রুম দখলকে কেন্দ্র করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত-এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত-এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাক্ষাৎ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড ঢাকার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। 

সাক্ষাৎকালে দু'জনের মধ্যে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এই উদ্যোগ তার ভিতকে আরও মজবুত 
করবে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জনগণ ফিলিস্তিনি বন্ধুদের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এমএ/

ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, জবি শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, জবি শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
তিথী সরকার

ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী তিথী সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তিথির আগের ২১ মাসের কারাভোগ বর্তমান সাজা থেকে বাদ যাবে। এ ছাড়া তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে তাকে নিয়মিত প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে হাজিরা দিতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।

তিথীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। 

একই বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি আরেকটি মামলা দায়ের করেন। 

২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর তিথীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, তিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

তিথী বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জবির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মুজাহিদ/পপি/