![যাত্রীবেশে সর্বস্ব লুটে নেয় ‘মামা পার্টি’](uploads/2024/02/13/1707828633.Rab.jpg)
প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে উঠে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিত ‘মামা পার্টি’ নামে এক ছিনতাইকারী দল। মূল হোতাসহ এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রানা ওরফে মো. শাহীন ওরফে শাহীন রানা (৪৯), মো. মফিজুল ইসলাম ওরফে মো. ইসলাম ওরফে ইসলাম মিয়া (৪৮), মো. সাগর ওরফে হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে মো. হাবিব (৫১), মো. ফারুক আহমদ ওরফে মো. ফারুক মিয়া ওরফে মো. ফারুক (৩৪) ও মো. আবুল কালাম (৫৩)।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
তিনি জানান, গত সোমবার মধ্যরাতে র্যাব-১০-এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ‘মামা পার্টি’ মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস গাড়ি ও একটি করোলা প্রাইভেট কার, একটি হাতকড়া, চেতনানাশক ওষুধ, দুটি সুইস-গিয়ার চাকু, দুটি স্টিলের চাকু, একটি ক্ষুর, ছয়টি পুরোনো টাচ মোবাইল ফোন, পাঁচটি পুরোনো বাটন মোবাইল ও নগদ ১৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জানান, গত বছরের ২৬ জুন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকায় মো. শাহিন রানা ওরফে তজ্জম ও মফিজুল ইসলাম ওরফে ইসলামসহ অন্য আসামিরা যাত্রী সেজে সাদ্দাম শেখ নামের একজন ইজিবাইক চালকের ইজিবাইকটি ভাড়া করেন। তারা ইজিবাইকচালক সাদ্দামকে মারধর করে এবং একপর্যায় চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে একটি মেহগনি বাগানে ফেলে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী সাদ্দাম ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া আসামিরা নিহতের পরিবারের কাছে ছিনতাই করা ইজিবাইকটি ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘হত্যার ঘটনা তদন্তকালে এই মামা পার্টি চক্রটি সম্পর্কে জানা যায়। এই চক্রের মূল হোতা শাহিন রানা ওরফে তজ্জম এবং এ পার্টির সক্রিয় সদস্য ১০ জন। এই ছিনতাইকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও মাদারীপুরসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস ভাড়া করে যাত্রী সেজে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে ছিনতাইসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে আসছিল।’