উপবৃত্তির নামে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ লুট, গ্রেপ্তার ৮ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

উপবৃত্তির নামে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ লুট, গ্রেপ্তার ৮

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
উপবৃত্তির নামে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ লুট, গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তার আটজন। ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এ চক্রের লাগাম টানতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ছয়টি দল যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় চক্রের মূল হোতাসহ আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।

এর আগে গত রবিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪, ৫, ৮, ১০, ১১ ও ১৪ ব্যাটালিয়ন আভিযানিক দল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৭), অন্যতম মূল সহযোগী মো. বাপ্পি মোল্লা (২০), মো. উসমান গনি মোল্লা (৩৩), শামীম হোসেন (২৯), মোহাম্মদ জিহাদ (৩৪), কাজী সাদ্দাম হোসেন ওরফে আমির হামজা (২৬), মো. আহাদ গাজী (২৪), মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জয় (২৬)। এ চক্রের সঙ্গে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিম কার্ড বিক্রেতারাও রয়েছে। তারা অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার করে থাকে।

র‌্যাব বলছে, সারা দেশে এই চক্রের দুই হাজারের বেশি সক্রিয় এজেন্ট রয়েছে। শেয়ার বাজারের মতো এক রকম দর-কষাকষি করে তাদের হাজারে ৩০-৪০ টাকা কমিশনে প্রতারণার কাজ দেওয়া হয়। চক্রের এজেন্ট হতে হলে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়।

মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই প্রতারক চক্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। গত ২৪ মার্চ রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শালবাগানে বিএনসিসি অফিসে অবস্থানকালে এক ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে। মেয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টস শাখায় কর্মরত মিজানুর রহমান বলে নিজের পরিচয় দেয় এক ব্যক্তি। তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন-এ প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির ২২ হাজার ৫০০ টাকা এসেছে বলে জানায় সে।

ওই টাকা বাদীর অ্যাকাউন্টে চলে যাবে উল্লেখ করে একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ১৬ ডিজিটের নম্বর দিতে বললে তিনি সেটা দিয়ে দেন। এরপর ওটিপিও ওদের জানান। পরে বাদী মোবাইল মেসেজ অপশনে দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে চারবারে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। 

এই ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন। রাজশাহীর র‌্যাব-৫ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। পরে র‌্যাব-৫-এর একটি দল প্রতারণার কাজে জড়িত শামীম হোসেনকে রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

শামীম জানায়, সে শুধু মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা দিত। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ডসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে। এরপর একে একে চক্রের মূল হোতা জাকিরসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২৩টি মোবাইল সেট, ৩১০টি সিম কার্ড, নগদ ৩ লাখ ১ হাজার ২৭০ টাকা ও ৯টি ব্যাংক লেনদেন স্লিপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত প্রত্যেকটি সিম কার্ডে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

‘ওয়েলকাম’ ও ‘হ্যালো’ গ্রুপ
তারা এলাকায় পরিচিতি ‘ওয়েলকাম’ ও ‘হ্যালো’ গ্রুপের সদস্য হিসেবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সরকারি অফিস থেকে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে তারা। এরপর ওয়েলকাম/হ্যালো গ্রুপের কল সেন্টারে শেয়ার করে। পরের পর্যায়ে মূল হোতা জাকির হোসেনের দুই ছেলে মানিক ও হিরা ফোন দেয়। নম্বর নেয়। কথা বলে বিশ্বস্ততা অর্জন করে ওটিপি নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে।

সারা দেশে এজেন্ট ২ হাজার
এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক বলেন, সারা দেশে ওয়েলকাম/হ্যালো গ্রুপের রয়েছে দুই হাজারের বেশি এজেন্ট। এজেন্ট হতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এন্ট্রি করাতে হয়। এরপর মোবাইলে তাদের নামে একটা অ্যাকাউন্ট হয়। ইতোমধ্যে তদন্তে ১৮৬টি মোবাইল নম্বর শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলোতে টাকা লেনদেন ও যোগাযোগ হয়েছে।
হাজারে ৩০ বা ৪০ টাকা কমিশন পাওয়ার চুক্তিতে প্রতারণার কাজে এজেন্ট নিয়োগ করা হয়। এজেন্টের এন্ট্রি করা মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা যায়। তবে ক্রেডিট কার্ড থাকে মূল চক্রের হাতে। টাকা ঢোকা মাত্র তারা তুলে নেয়।

শহর থেকে দূরে অবস্থান করে চক্রের সদস্যরা
এই চক্রের সদস্যরা এক জায়গায় বেশি দিন থাকে না। মূল শহর থেকে সাধারণত ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। টাকা আসা মাত্র কাছের কোনো এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে টাকা উঠিয়ে নেয় তারা। শুধু মোটরসাইকেলে চলাচল করে। বাড়িতেও থাকে না, নির্জনে থাকে।

এই প্রতারণাকে তারা ব্যবসা হিসেবে দেখে, খারাপ কিছু ভাবে না। তারা শুধু নিজেরাই নয়, নিজ নিজ পরিবারের সদস্যরাও এ ‘কাজে’ জড়িত। প্রতারক চক্রের সদস্যদের বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয়স্বজনরাও প্রভাবিত হয়ে অনেকে এই অভিনব প্রতারণার বলয়ে জড়িয়ে পড়েছে বলে র‌্যাব তথ্য পেয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম বলেন, ‘খোকন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি এই প্রতারণায় জড়িত। পলাতক খোকন মোল্লার ছেলে বাপ্পি মোল্লাকে আমরা গ্রেপ্তার করি। খোকন মোল্লার মোবাইলে এক দিনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা এসেছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার। মূল হোতা জাকির হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইলে দেখা গেছে দুই লক্ষাধিক টাকা আদান-প্রদান হয়েছে।’

চক্রের যারা সদস্য তাদের মধ্যে দর-কষাকষি হয়। এক রকম শেয়ারবাজারের লেনদেনের মতো দর ওঠানামা করে। কেউ হাজার টাকায় ৪০ টাকা, কেউ হাজার টাকায় ৩০ টাকা কমিশন পেতে কাজটি নেয়। 

তাদের মধ্যে যারা পারদর্শী ও বিশ্বস্ত, তাদের কাজটি দেওয়া হয়। অর্থ আত্মসাতের ‘কাজ’টি সম্পন্ন হওয়ার পর সেই এজেন্ট নিজের প্রাপ্য অংশ রেখে বাকি টাকা পাঠিয়ে দেয়। এরপর প্রচার চক্রের মূল হোতা বাকি টাকা ভাগ বণ্টন করে দেয়।

চক্রটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিম কার্ড বিক্রেতারাও। তারা অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম বা বিক্রি করা সিম সংগ্রহ করে প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার করে এবং মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলে।

বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
মো. আব্দুল ওয়াকেল। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী শহরে ১০ বছরের কম বয়সী ৩০ জন স্কুল ছাত্রের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে মো. আব্দুল ওয়াকেল (৩৩) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গত শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে সিআইডি সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোন, পেনড্রাইভ এবং কম্পিউটারের একাধিক হার্ডডিস্কে কোমলমতি ছাত্রদের বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং চাইল্ড পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের এসব তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির নিজস্ব ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্ত শুরু করে। স্থানীয় ভুক্তভোগী অনেক ছাত্র ও তাদের গার্ডিয়ান নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তকারী দলের কাছে শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াকেল সম্পর্কে ভয়ংকর তথ্য সরবরাহ করে।

পরে সিআইডির একটি বিশেষ টিম তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজশাহী মেট্রোর মতিহার থানাধীন শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বর্তমান কর্মস্থল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা করেছেন।

ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ মামলা জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদকসহ ২ জনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদকসহ ২ জনের রিমান্ড
জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। ছবি : সংগৃহীত

নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের মামলায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (১৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। 

এই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে এই আবেদন করেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় নিউটন অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। অভিযোগকারী তরুণী, দুই বছর ধরে নিউটনের তত্ত্বাবধানে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণের সময় নানা অজুহাতে নিউটন অভিযোগকারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। এ ছাড়া প্র্যাকটিস শেষে সহযোগী ওই নারী খেলোয়াড় চেঞ্জিং রুমে অভিযোগকারীকে আটকে রেখে নিউটনকে ডেকে আনেন। পরে নিউটন অভিযোগকারীকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময় নিউটনকে সহযোগিতা করা ওই নারী রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে অভিযোগকারীর নগ্ন ছবি ধারণ করেন। কাউকে জানালে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ওই ঘটনার পর নিউটন নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, অভিযোগকারীকে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। ছবি : সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২। 

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটনসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার  করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, সে কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে কেড়ে নিতেন প্রশিক্ষণার্থীদের সম্ভ্রম। এসব বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউটনের বিরুদ্ধে একজন নারী জুজুৎসুকে ধর্ষণ করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

‘কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে কেড়ে নিতেন প্রশিক্ষণার্থীদের সম্ভ্রম’ গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 

একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১২ জুন কমিশনে প্রতিবেদন দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ আছে, সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপরাধে জড়িত তিনি। 

সূত্র জানায়, জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
 
খাজা/এমএ/

বসুন্ধরা সিটির আতঙ্ক, আইফোন চুরির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
বসুন্ধরা সিটির আতঙ্ক, আইফোন চুরির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
আইফোন চুরির অভিযোগে মো. রাসেল প্রকাশ সাগর। ছবি : সংগৃহীত

আইফোন চুরির অভিযোগে মো. রাসেল প্রকাশ সাগর (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা সিটির শপিংমলের বেজমেন্টের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রাসেল দিনভর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতা সেজে ঢোকে, এরপর কৌশলে আইফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। 

শুক্রবার (১৭ মে) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন এসব তথ্য জানান।

বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সাগর রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। সে শুধু আইফোন চুরি করে। পরে তা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেয়।’ 

ওসি মহসীন বলেন, ‘তার মূল টার্গেট বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানগুলো। এসব দোকানে প্রচুর ফোন থাকে, আবার ভিড়ও থাকে। এমন ভিড়ে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে রাসেল। এরপর অন্য ক্রেতার চাপে সেলসম্যান একটু অন্য মনস্ক হলেই আইফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে। শুক্রবার ক্রেতা সেজে অ্যাপল গ্যাজেট নামে একটি দোকানে যায় রাসেল। পরে কৌশলে আইফোন নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে দেখে ফেলেন সেলসম্যান। পরে তাকে আটক করা হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে বসুন্ধরা শপিংমলের বিভিন্ন ফোনের দোকানে চুরি হচ্ছিল। ক্রেতা সেজে এসব দোকান থেকে আইফোন চুরির ঘটনা ঘটে। তাই রাসেল বসুন্ধরা সিটির আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। অন্তত চারটি দোকানে ক্রেতা সেজে চুরির প্রমাণ মিলেছে রাসেলের বিরুদ্ধে।’

খাজা/এমএ/

৯৭৭ সেট টপ বক্সসহ ৪ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
৯৭৭ সেট টপ বক্সসহ ৪ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার
ছবি : সংগৃহীত

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী চার চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। গতকাল বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯৭৭টি অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স জব্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), মো.আরিফুল ইসলাম (২৬) ও আলামীন আহম্মেদ (২৩)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) র‌্যাব-৪ এর (মিডিয়া) শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাজধানীর কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় একটি সক্রিয় চোরাকারবারি দল বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯৭৭টি অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ও বিটিআরসি কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সর্বমোট ৯৭৭টি চোরাই অবৈধ অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিটিআরসির লাইসেন্স ও আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন বেতার যন্ত্রসামগ্রী তথা সেট টপ বক্স বিক্রি করে আসছিল। তারা অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। জব্দ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্সের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।