ঘুষের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগ, ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ঘুষের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগ, ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
ঘুষের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগ, ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

ঘুষ নিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার মামলায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপর চার আসামি হলেন কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমান।

গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানান, গত রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন হয়। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই এ চার্জশিট সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হবে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৯ সালে মাদারীপুরে ঘুষের বিনিময়ে ৫৪ জন কনস্টেবল নিয়োগ দিয়ে অন্তত দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঘটনা বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ মে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৬ হাজার ৮০০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৮৮০ জন নারীসহ মোট ৯ হাজার ৬৮০ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা রেঞ্জের অধীন মাদারীপুর জেলায় সাধারণ পুরুষ ১৬ জন ও সাধারণ নারী ৩ জন এবং বিশেষ কোটায় ১৫ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীসহ মোট ৫৪ জন কনস্টেবল নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। পরে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। অপর দুজন সদস্য হলেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যাসহ কোটাভিত্তিক উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ছকের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২২ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজির (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্লানিং-২) কাছে পাঠায় মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়। ছক অনুযায়ী মাদারীপুর থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম পরীক্ষা বা প্রথম ধাপ হিসেবে ২০১৯ সালের ২২ জুন শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিলেন ৯৯৩ জন। এর মধ্যে ৩৬৪ জন শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় ৯৯৩ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৮৩৫ জন এবং নারী প্রার্থীর ১৫৮ জন। এদের মধ্যে ৩০৫ জন পুরুষ এবং ৫৯ জন নারী প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পরীক্ষা বা দ্বিতীয় ধাপ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পরদিন ২৩ জুন। এতে ইংরেজি অংশের প্রশ্ন (প্রশ্নপত্রের ৪ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্ন) প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন সুব্রত কুমার হালদার।

একই বছর ২৬ জুন মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলের ভিত্তিতে ৫৪ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছয়টি ধাপে জব্দ করে পুলিশ বিভাগ। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সুব্রত কুমার হালদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ৫ জুলাই মামলা করা হয়। তদন্তে উপযুক্ত তথ্য পেয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হয়। উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় মাদারীপুর ইদ্রিস শিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হায়দার ফরাজীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
মো. আব্দুল ওয়াকেল। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী শহরে ১০ বছরের কম বয়সী ৩০ জন স্কুল ছাত্রের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে মো. আব্দুল ওয়াকেল (৩৩) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গত শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে সিআইডি সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোন, পেনড্রাইভ এবং কম্পিউটারের একাধিক হার্ডডিস্কে কোমলমতি ছাত্রদের বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং চাইল্ড পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের এসব তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির নিজস্ব ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্ত শুরু করে। স্থানীয় ভুক্তভোগী অনেক ছাত্র ও তাদের গার্ডিয়ান নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তকারী দলের কাছে শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াকেল সম্পর্কে ভয়ংকর তথ্য সরবরাহ করে।

পরে সিআইডির একটি বিশেষ টিম তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজশাহী মেট্রোর মতিহার থানাধীন শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বর্তমান কর্মস্থল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা করেছেন।

ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ মামলা জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদকসহ ২ জনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদকসহ ২ জনের রিমান্ড
জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। ছবি : সংগৃহীত

নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের মামলায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (১৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। 

এই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে এই আবেদন করেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় নিউটন অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। অভিযোগকারী তরুণী, দুই বছর ধরে নিউটনের তত্ত্বাবধানে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণের সময় নানা অজুহাতে নিউটন অভিযোগকারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। এ ছাড়া প্র্যাকটিস শেষে সহযোগী ওই নারী খেলোয়াড় চেঞ্জিং রুমে অভিযোগকারীকে আটকে রেখে নিউটনকে ডেকে আনেন। পরে নিউটন অভিযোগকারীকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময় নিউটনকে সহযোগিতা করা ওই নারী রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে অভিযোগকারীর নগ্ন ছবি ধারণ করেন। কাউকে জানালে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ওই ঘটনার পর নিউটন নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, অভিযোগকারীকে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। ছবি : সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২। 

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটনসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার  করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, সে কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে কেড়ে নিতেন প্রশিক্ষণার্থীদের সম্ভ্রম। এসব বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউটনের বিরুদ্ধে একজন নারী জুজুৎসুকে ধর্ষণ করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

‘কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে কেড়ে নিতেন প্রশিক্ষণার্থীদের সম্ভ্রম’ গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 

একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১২ জুন কমিশনে প্রতিবেদন দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ আছে, সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপরাধে জড়িত তিনি। 

সূত্র জানায়, জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
 
খাজা/এমএ/

বসুন্ধরা সিটির আতঙ্ক, আইফোন চুরির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
বসুন্ধরা সিটির আতঙ্ক, আইফোন চুরির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
আইফোন চুরির অভিযোগে মো. রাসেল প্রকাশ সাগর। ছবি : সংগৃহীত

আইফোন চুরির অভিযোগে মো. রাসেল প্রকাশ সাগর (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা সিটির শপিংমলের বেজমেন্টের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রাসেল দিনভর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতা সেজে ঢোকে, এরপর কৌশলে আইফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। 

শুক্রবার (১৭ মে) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন এসব তথ্য জানান।

বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সাগর রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। সে শুধু আইফোন চুরি করে। পরে তা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেয়।’ 

ওসি মহসীন বলেন, ‘তার মূল টার্গেট বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইল দোকানগুলো। এসব দোকানে প্রচুর ফোন থাকে, আবার ভিড়ও থাকে। এমন ভিড়ে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে রাসেল। এরপর অন্য ক্রেতার চাপে সেলসম্যান একটু অন্য মনস্ক হলেই আইফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে। শুক্রবার ক্রেতা সেজে অ্যাপল গ্যাজেট নামে একটি দোকানে যায় রাসেল। পরে কৌশলে আইফোন নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে দেখে ফেলেন সেলসম্যান। পরে তাকে আটক করা হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে বসুন্ধরা শপিংমলের বিভিন্ন ফোনের দোকানে চুরি হচ্ছিল। ক্রেতা সেজে এসব দোকান থেকে আইফোন চুরির ঘটনা ঘটে। তাই রাসেল বসুন্ধরা সিটির আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। অন্তত চারটি দোকানে ক্রেতা সেজে চুরির প্রমাণ মিলেছে রাসেলের বিরুদ্ধে।’

খাজা/এমএ/

৯৭৭ সেট টপ বক্সসহ ৪ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
৯৭৭ সেট টপ বক্সসহ ৪ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার
ছবি : সংগৃহীত

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী চার চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। গতকাল বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯৭৭টি অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স জব্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), মো.আরিফুল ইসলাম (২৬) ও আলামীন আহম্মেদ (২৩)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) র‌্যাব-৪ এর (মিডিয়া) শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাজধানীর কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় একটি সক্রিয় চোরাকারবারি দল বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯৭৭টি অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ও বিটিআরসি কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সর্বমোট ৯৭৭টি চোরাই অবৈধ অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্স জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিটিআরসির লাইসেন্স ও আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন বেতার যন্ত্রসামগ্রী তথা সেট টপ বক্স বিক্রি করে আসছিল। তারা অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। জব্দ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড সেট টপ বক্সের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।