সৌদি প্রবাসী প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলা বন্ধ রাখায় খুন করা হয় যশোরের চাতালশ্রমিক মেশকাতকে। দুই লাখ টাকার চুক্তিতে এক নারী এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। এতে সহযোগিতা করেন দুজন। এরই মধ্যে ওই নারীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানায় যশোরের ডিবি পুলিশ।
আটকরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু গাজীর মেয়ে রিক্তা পারভীন ও আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদার।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামাণিকের ছেলে মেশকাত যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইচমিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জোকা কমলপুর গ্রামের ঈদগাহসংলগ্ন একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ডিবি পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনিতে অভিযান চালিয়ে আটক করে রিক্তা পারভীন ও নিজাম সরদার নামে দুজনকে।
ডিবি পুলিশের ওসি রূপণ কুমার সরকার বলেন, রিক্তা জানিয়েছে- তার দেবরের ছেড়ে দেওয়া স্ত্রী নাজমার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান মেশকাত। এক বছর আগে নাজমা সৌদি আরব চলে যান। সেখান থেকে নিয়মিত মেশকাতকে টাকা পাঠালেও আস্তে আস্তে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেশকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে নাজমা। এরপর দুই লাখ টাকার চুক্তিতে সে হত্যার দায়িত্ব নেয়। পরবর্তী সময়ে নাজমা মেশকাতকে সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজার থেকে স্বর্ণ নিয়ে তার বাবার কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিক্তা তার প্রেমিক যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার শাহীনকে সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশে মেশকাতকে নিয়ে বের হয়। পথে মেশকাতকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ রাস্তার পাশে ধানখেতে ফেলে দেয়।
রূপণ কুমার সরকার আরও জানান, আসামিদের কাছ থেকে মেশকাতের ব্যবহৃত দুটি ফোন ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরেক আসামি শাহীনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের মেশকাত হত্যা মামলায় শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।