ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

একুশ ও বইমেলার ছড়া কবিতা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
একুশ ও বইমেলার ছড়া কবিতা

একুশ ও বইমেলার ছড়া কবিতা


বইমেলা
নার্গিস আক্তার

পড়ল সাড়া দেশটি জুড়ে
এ মাস মেলা হবে
খোকা খুকু বায়না ধরে
মেলায় যাবো কবে?

নাচছে খোকা নাচছে খুকু
কিনবে অনেক বই
বই আনবে অনেকগুলো 
স্কুল ব্যাগ কই?

মা বলেছেন দিবেন কিনে
মজার যত বই
তাই না শুনে খোকা-খুকু 
করছিল হইচই।

নতুন বইয়ের মেলা
বিজন বেপারী 

বই মেলাতে যাবো সবাই
কিনবো নতুন বই
বই হলো যে বন্ধু প্রিয়
জীবন সিঁড়ির মই।

আজব বিশ্ব জানতে হবে 
পড়তে হবে বই
খোকাখুকির গল্প ছড়া
কিনে একটা লই।

নিঃসঙ্গতা কাটে সবার
বিনোদন হয় খুব
ভালো মন্দের পরিচয় হয় 
বইয়ে দিলে ডুব।

বই কিনে কেউ হয় না গরিব
অভিজ্ঞতা বাড়ে
অভিজ্ঞতার এমন সুযোগ
পেলে কি কেউ ছাড়ে?


ফেব্রুয়ারির গান
কাজল নিশি 

একুশ মানে মাতৃভাষা 
একুশ আমার বুলি 
একুশ মানে শহীদ মিনার 
স্মরণে ফুল তুলি। 

একুশ মানেই বাংলা ভাষা 
তাতেই বাঁধা সুর 
একুশ মানেই আলো জাগা
কালো তাতেই দূর।

একুশ মানে মায়ের ভাষা 
শহীদ ছেলের দান
বীর শহীদের রক্তে লেখা 
ফেব্রুয়ায়ির গান


শহীদ স্মৃতি 
মো. আশতাব হোসেন 

বাংলাদেশের পাখপাখালি 
বাংলা সুরে গান গায়,
শহীদ ভাইদের শ্রদ্ধা করে
ফুলে ফুলে চুম খায়। 

সে ফুলগুলি একুশ তারিখ
শ্রদ্ধায় করে অর্পণ,
শহর গ্রামে গড়ে তোলা  
মিনারেতে সর্বজন। 

পুষ্প দিয়ে বিয়োগ ব্যথা
ক্ষণিক ভুলে থাকে, 
তোমার ছেলে শ্রেষ্ঠ সন্তান 
বলে শহীদ মাকে। 

শহীদ বাবার বুকে আগুন
গর্বে করে তাড়া, 
বয়ে যাবে শহীদ স্মৃতি
যুগযুগ আসবে যারা।

ভাষাবিচিত্রা
নবী হোসেন নবীন

পাখিরা বোঝে পাখির কাকলি
ফুল বোঝে গুণগুণিয়ে কী বলে অলি।
কিছু কথা বলে যায় নদী বাঁকে বাঁকে
সাগর কেন তারে নিকটে ডাকে।
মনান্তরে লুকানো কথা ফুটে উঠে পাপড়ির ঠোঁটে।
মানুষের মুখে ফোটা হাজার কথার কলি
নানান ভাষায় আমরা নানা কথা বলি।
নানান ভাষার বৈচিত্র্য এ মনে
হাসি আর কান্না বোঝে সর্বজনে।

বাংলার একুশ 
হাফিজুর রহমান

ফুল ফোটে মিষ্টি ঘ্রাণে
সুবাসিত চারপাশ, 
দল বেঁধে জলে ভাঁসে
খেলা করে হাঁস।

গান গায় সবুজ পাতা
দুলে গাছের ডালে,
শান্ত বায়ুর সুর দেয়া
ছন্দের সেই তালে।

ছিনিয়ে নিতে এই রূপ
কেড়ে নিতে ভাষা,
শত্রু ছিল এই বাংলার 
ষড়যন্ত্রে খাসা।

এসেছিল তাই তো একুশ
ঝেড়ে দিতে ঝাল, 
রক্ষা করতে মাতৃভাষা 
রক্তে করে লাল।

বর্ণগুলো খাসা 
আবদুল লতিফ 

আর খুঁজি না বর্ণ কোনো 
খুঁজি না আর ভাষা 
মায়ের ভাষা বাংলা আমার 
বর্ণগুলো খাসা।
এমন ভাষা পৃথিবীতে 
আর তো কোথাও নাই 
যেই ভাষাতে কথা বলে 
মনে শান্তি পাই।
বর্ণগুলো স্বর্ণ দিয়ে 
নয়তো বাঁধাই করা 
হীরার চেয়ে দামী তবু 
ভালোবাসায় ভরা।

বাংলা
নুশরাত রুমু

মায়ের মুখে মায়ের ভাষা
বাংলা তারই নাম
দোলা জাগায় মায়ের ডাকে
যায় না গোনা দাম।
বাংলা দিয়ে কবিতা লিখি
ছন্দে গড়ি ছড়া
বাংলা গানে জুড়াই এ মন
মাতাই সারা পাড়া।
বাংলা তুমি মিষ্টি ভাষা
প্রাণের প্রিয় ধন
বাংলা বুলি আওড়ে আমি
শীতল করি মন।
ধন্য আমি ধন্য ওগো
জন্মে এই দেশে
বাংলা মাকে সালাম ঠুকি
দাঁড়াই বীরের বেশে।

মাতৃভাষা 
এম. আবু বকর সিদ্দিক

মাগো তোমায় বাংলা ভাষায়
মা বলেই ডাকি,
তোমার তরে শ্রদ্ধা ভরে
নত করি আখি।

দোয়েল শ‍্যামা মায়ের ভাষায় 
ডাকছে মধুর সুরে,
যেদিক খুশি ডানা মেলে 
যাচ্ছে ওরা উড়ে।

অ আ ই  ক খ গ ঘ
আমার প্রাণের ভাষা,
এই ভাষাতে কথা বলে
মেটে মনের আশা।

বাংলা ভাষার জন‍্য যারা
দিয়ে গেলে প্রাণ,
তোমরা শহীদ তোমরা অমর 
তোমরা জাতির মান।

বাংলা ভাষা
আল আমিন মুহাম্মাদ

মায়ের ভাষা
   ভায়ের ভাষা
     গাঁয়ের ভাষা
          নায়ের ভাষা,

ধানের ভাষা
   গানের ভাষা
      মানের ভাষা
         দানের ভাষা,

মনের ভাষা
   জনের ভাষা
      পণের ভাষা
          রণের ভাষা,

সুখের ভাষা
   দুখের ভাষা
      মুখের ভাষা
         রুখের ভাষা,

মিষ্টি ভাষা
   ইষ্টি ভাষা
     কিষ্টি ভাষা
       ইশ! কি ভাষা
          বাংলা ভাষা
             বাংলা ভাষা।


মাতৃভাষা 
মজনু মিয়া 

মায়ের কোলে শান্তি বোলে 
মা মা বলে ডেকে যাই,
মাতৃভাষার সাথে তো আর 
অন্য ভাষার তুল্য নাই।

মায়ের ভাষার জন্য জীবন 
দিলেন সেদিন আমার ভাই,
এ রকম আর পৃথিবীতে 
অন্য কোনও দেশে নাই।


একুশ
জাকির আজাদ

একুশ এলে নব চেতনার
ওঠে খুব রব,
একুশ গেলে এই প্রেরণার
যায় মিলিয়ে সব।
একুশ এলে করে শপথ
হয় ঐক্যের দল,
একুশ গেলে শপথ ভুলে
সেই পুরানো চল।
একুশ এলে সভা মিছিল
অনুষ্ঠানের জট,
একুশ গেলে যায় বদলে
সেই চিত্রপট।

জাহ্নবী

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আমরা আঁকি

দেবনীল চেীধুরী
কেজি ওয়ানৎ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরি
পাঠানটুলা, সিলেট।
/আবরার জাহিন

 

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আমরা আঁকি

নাজিবাহ ইবনাত প্রান্তি
নবম শ্রেণি 
আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

/আবরার জাহিন

নীল সাগরের তিমি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
নীল সাগরের তিমি

ইউরোপের একটি ছবির মতো সুন্দর দেশ নরওয়ে। মানুষগুলো ছিমছাম, নির্ভেজাল ও হাসিখুশি। নরওয়ের রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূল। এ দেশের অনেক মানুষ তাই মাছ ধরে। এজন্য নরওয়েকে জেলেদের দেশ বলা হয়।

নরওয়ের খোলা সাগরে ভেসে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে তিমির দল। মাঝে মাঝে উপকূলে ঢু দিয়ে যায়। তারা সমুদ্রে খেলা করে। অবাক করার মতো হলেও এটা সত্যি যে, তারা গানও গায়। সে গান অন্য তিমিরাও শুনতে পায় বহু বহু  দূর থেকে। বিজ্ঞানীরা তো এ-কথাও বলেন যে, তিমিদের নিজস্ব ভাষাও আছে। তারা সে ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাও বলে। আর যখন তখন সমুদ্রের বুকে ডিগবাজি খায়। 9তিমিরা দল বেঁধে চলে। অবাক করার মতো কথা হলো, তাদের পরিবারও আছে। মা তিমি তার সন্তানকে পনেরো বছর পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তার পর ছেড়ে দেয় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য।

তো আমাদের এ গল্পের তিমি শিশুটির নাম অ্যাবে। তার মা সিলোনি তাকে খুব আদর করত। খুব ভালোবাসত। কিন্তু যখন অ্যাবের বয়স পনেরো হয়ে গেল, তখন তার মা সিলোনি তাকে স্বাধীন করে দিল। সত্যি সত্যিই, সিলোনি এটা চায়নি। কিন্তু সমাজের নিয়ম বলে কথা! তাই ছেলেকে না ছেড়ে তার উপায় ছিল না। অ্যাবে কয়েকদিন কান্না করতে করতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াল। ধীরে ধীরে সমুদ্রের নানা রকম মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ভেসে বেড়িয়ে, গল্প করে তার সময় ভালোই কাটতে লাগল। ভালো লাগল সমুদ্রের প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করতে। এমনি করতে করতে একদিন একটা রে-ফিসের সঙ্গে সাঁতরাতে সাঁতরাতে সে চলে এল নরওয়ের সমুদ্র উপকূলের খুব কাছে। সেখানে নরওয়ের রাজা হ্যানসনের রাজকীয় জাহাজ এমভি মার্টিনা নোঙর করা ছিল। রাজা এই জাহাজে চড়ে তার ভীষণ অসুস্থ ছেলে হ্যানসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করাতে।

জাহাজটি এক সপ্তাহের মধ্যেই রওনা হবে। ছোট্ট তিমি অ্যাবে আগে কখনো জাহাজ দেখেনি। সে বিস্মিত হলো। আনন্দে সে বড় করে দম নিয়ে সমুদ্রে ডুব দিল, একটু পরেই ভুস করে ভেসে উঠে আকাশের দিকে লাফ দিল পানি ছিটাতে ছিটাতে। তখন অ্যাবেকে মনে হচ্ছিল একটা উড়ন্ত পানির ফোয়ারা। রাজপুত্র হ্যানসন তখন জাহাজের খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিল। খালাসিরা ছোটাছুটি করে জাহাজে প্রয়োজনীয় মালপত্র ওঠাচ্ছিল। হ্যানসন তিমিটাকে দেখে ফেলল আর ওকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে তিমিটার উদ্দেশে গান গেয়ে উঠল। গানটা কিন্তু ছোট্ট তিমি অ্যাবের খুব ভালো লাগল। সে প্রতিদিন রাজপুত্র হ্যানসনের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল।

একদিন রাজার সেনাপতি রবরয় তিমিটিকে দেখে ফেলল। সে হারপুন গান দিয়ে তিমিটির দিকে গুলি ছুড়ল। ছোট্ট তিমির চারপাশে রক্তে লাল হয়ে গেল পানি। ধীরে ধীরে সে সমুদ্রে তলিয়ে গেল। রাজপুত্র হ্যানসন ডেক থেকে সবকিছু দেখে চিৎকার করে সমুদ্রে দিল ঝাঁপ। সে সাঁতার জানত না, তাই সেও সমুদ্রে তলিয়ে গেল।

সমুদ্রে স্কুবা ডাইভার পাঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাজপুত্রকে আর পাওয়া গেল না। শোনা যায় আজও নরওয়ের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তখন তারা কখনো কখনো রাজপুত্রের করুন কণ্ঠের গান শোনে। জেলেদের মন তখন রাজপুত্রের কথা ভেবে বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিঝরা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিঝরা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

মেঘ গুরগুর ডাকছে দেয়া
আকাশ কালো করে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার ডানায় চড়ে
নামল বৃষ্টি জোরে।
তা-ধিন তা-ধিন সোনাব্যাঙে
নাচছে খালে বিলে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাঙা সুরেই
ডাকছে সবাই মিলে।
শিশু-কিশোর উঠোনজুড়ে
করছে লুটোপুটি,
কেউবা বিলে বড়শি পেতে
ধরছে ট্যাংরা পুঁটি।
কদম ফুলের পাপড়ি মেলে
বর্ষা ওঠে হেসে,
নদী-নালা পায় ফিরে প্রাণ
রূপসী বাংলাদেশে।

বাদলা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
বাদলা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে 
ভরেছে ওই ঝিল,
শব্দ ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ 
নদী ও খালবিল!

জলের নাচন দেখবে খোকন 
ভাল্লাগে না ঘরে,
টইটম্বুর ডোবা পুকুর
জল থইথই করে!

বাদলা দিনে করতে মানা
এমন ছোটাছুটি,
ওই দেখো মা জলে ভাসে 
টেংরা, বেলে, পুঁটি!

শুনব না আজ কোনো বাধা 
ধরব মাগুর কই,
ধুম পড়েছে বিলের মাঝে
মাছ ধরার হইচই!