ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ১ম পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ১ম পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ ও মানুষের ফেলা ময়লায় নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ছবি-সংগৃহীত

প্রবন্ধ রচনা

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার

ভূমিকা: পরিবেশ হলো পারিপার্শ্বিকতা। পরিবেশ মানবসভ্যতা ও সমাজ ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ পরিবেশের অনুগ্রহে লালিত-পালিত হয়। পরিবেশ মানবজীবনে মুখ্য প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। ম্যাকাইভারের ভাষায়- “জীবন ও পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।” তাই মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ আবশ্যক। অথচ প্রতিদিনই আমাদের পৃথিবীর পরিবেশ নানা কারণে দূষিত হচ্ছে এবং ক্রমেই তা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

পরিবেশ ও পরিবেশ দূষণ কী: মানুষ তথা জীব জগতের বাসযোগ্য এলাকাই হলো তার পরিবেশ। ‘পরিবেশ’ শব্দটির পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিষয়বস্তুগতভাবে কিংবা অর্থগতভাবে পরিবেশের একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ দেওয়া জটিল। তবে সাধারণভাবে বলা যায় যে, পার্থিব জলবায়ু, আবহাওয়া ও ভূ-প্রকৃতিগতভাবে জৈব ও ভৌত উপাদানগুলোর যৌথ প্রভাব ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে। পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মানুষ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের বিকাশ ঘটে। জীব জগৎ এবং তার পরিবেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত জীবন রক্ষাকারী উপকরণের আদান-প্রদান চলে। এ আদান-প্রদানের ভারসাম্যের ওপর জীবের অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। পরিবেশের এ ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পরিবেশ দূষণ ঘটে। আর পরিবেশ দূষণের কারণে মানবসভ্যতা আজ চরম হুমকির সম্মুখীন।

পরিবেশ দূষণের কারণ: পরিবেশ দূষণের কারণ বহুবিধ। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে ব্যবহৃত সব দ্রব্য ও কর্মকাণ্ড যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিঘ্নিত করে, সেগুলোকেই পরিবেশ দূষণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট তথা পরিবেশ দূষণের নানাবিধ কারণ রয়েছে। যেমন-

১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি: ব্যাপকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশের জন্য এক মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপে লোকালয়ের প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, ‘দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অভাব-অনটন পরিবারকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

২. বনজ সম্পদ বিনষ্ট: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘একটি দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন।’ সে তুলনায় পৃথিবীর অনেক দেশে বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। তা ছাড়া নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তনের ফলে এই বনভূমির পরিমাণ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ফলে অচিরেই দেখা দিতে পারে মহাবিপর্যয়, এতে ধ্বংস হবে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব।

৩. বায়ুদূষণ: বাতাসে জীবের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর পদার্থের মাত্রা বেশি হলে তাকে বায়ুদূষণ বলে। ধোঁয়া, ধুলোবালি, কীটনাশক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রভৃতি বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া যানবাহনের ধোঁয়া থেকে হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগ হয়।

৪. পানিদূষণ: কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীর পানি দূষিত করে। কীটনাশক পদার্থ পানিতে মিশে, তেলবাহী জাহাজ থেকে তেল ছড়িয়ে সাগরের পানি দূষিত করে। নাইট্রোজেন সারও পানিদূষণের কারণ।

আরো পড়ুন : বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

৫. শব্দদূষণ: যানবাহনের শব্দ থেকে শব্দদূষণ হয়। কলকারখানার শব্দ, গাড়ির হর্ন, মাইকের আওয়াজ, পটকা ও আতশবাজির শব্দ মানুষের স্নায়বিক বৈকল্য, নিদ্রাহীনতা, শিরঃপীড়া, মানসিক রোগের অন্যতম কারণ। 

৬. গ্রিন হাউস গ্যাস প্রতিক্রিয়া: বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রকৃতিগত এবং পরিবেশগত বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় গ্রিন হাউস গ্যাস প্রতিক্রিয়া। গ্রিন হাউস গ্যাস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিরাট হুমকির সম্মুখীন। গ্রিন হাউস গ্যাস প্রতিক্রিয়ার কারণে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মরু অঞ্চলে বরফগলার পরিমাণ বাড়ছে। ফলে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী ও নিম্নাঞ্চল বা সাগরের দ্বীপাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ: অগণিত সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ এমন এক ভয়াবহ পর্যায় পৌঁছেছে যে, আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন যন্ত্র ও গাড়ির বিরূপ প্রভাব, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, নির্বিচারে বন উজাড়, বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে রাস্তাঘাটে বর্ধিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্ট কালো ধোঁয়া বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। এসব যানবাহনের বিকট শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার উপক্রম। এ ছাড়া ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াও পরিবেশকে দূষিত করছে। পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া পরিবেশ দূষণের চরম প্রকাশ হলো আর্সেনিক সমস্যা। প্রতি বছর আমাদের দেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার মূলেও রয়েছে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সমস্যা। এ দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বনভূমি না থাকায় বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে মরুময়তা দেখা দিচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই মরুময়তার আবির্ভাব ঘটেছে।

পরিবেশ দূষণের প্রতিকার: পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে মানুষের যেসব ক্ষতি সাধিত হয় তা থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের অবশ্যই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পথ বের করতে হবে। এ জন্য নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। বায়ুদূষণের বেলায় জৈব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ, নিবিড় বনায়ন, রাসায়নিক পদার্থের শোধন, ধোঁয়ার পরিশ্রুতিকরণ, বসতি ও শিল্পাঞ্চলের মাঝে দূরত্ব রাখা ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। পানি দূষণ দূর করার জন্য রাসায়নিক পদার্থ ও ময়লার বিশোধন করা দরকার। শব্দদূষণ দূর করতে হলে শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপ: ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয় বার দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’  পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং আগামী প্রজন্মকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করতে কতিপয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন-

১. পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ: বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য মানুষের একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস পলিথিন। অথচ এটি পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতদিন এই পলিথিন বিভিন্নভাবে সার্বিক পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলেছিল। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সুয়ারেজ লাইন অচল করে দিয়েছিল এটি। এই অসহনীয় অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকার ১ মার্চ ২০০২ থেকে সারা দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।

২. যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: বায়ুদূষণসহ নানা রকম দূষণে ঢাকা এখন পৃথিবীর অন্যতম দূষিত নগরী হিসেবে বিবেচ্য। তাই সরকার পরিবেশ দূষণমুক্ত করা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক ও ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস, মিনিবাস চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। তা ছাড়া পুরোনো সব বেবিট্যাক্সি, টেম্পু ও অটোরিকশা বন্ধ করে সিএনজিচালিত নতুন যানবাহন চালু করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে অনেক সিএনজি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। 

(বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশ করা হবে)

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

চল তড়িৎ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
চল তড়িৎ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান
গ্যালভানোমিটারের বিক্ষেপ তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

একাদশ অধ্যায় : চল তড়িৎ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

২৩। শূন্য মাধ্যমে পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে 10C-এ তড়িৎ প্রবাহ 5A, সুতরাং প্রবাহিত আধান-
i) 10s ii) 50s iii) 2s
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i          খ) ii 
গ) i ও ii     ঘ) iii

২৪। নির্দিষ্ট সময়ে আধানের প্রবাহ দ্বিগুণ হলে তড়িৎ প্রবাহ-
i) অর্ধেক হবে ii) দ্বিগুণ হবে iii) চারগুণ হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i           খ) ii 
গ) i ও ii     ঘ) i ও iii

২৫। নিচের তথ্যগুলো লক্ষ করো-
i) গ্যালভানোমিটারের বিক্ষেপ তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে
ii) গতিশীল আধান কর্তৃক চল তড়িৎ উৎপন্ন হয়
iii) গ্যালভানোমিটারের কাঁটা ক্ষণিকের জন্য বিক্ষিপ্ত হয়ে পরক্ষণেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii     খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

২৬। তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়-
i) ধনাত্মক আধান প্রবাহের ফলে
ii) ঋণাত্মক আধান প্রবাহের ফলে
iii) আধান উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i          খ) ii ও iii     
গ) i ও ii     ঘ) i ও iii

২৭। প্রকৃতপক্ষে তড়িৎ প্রবাহ হলো-
i) ঋণাত্মক আধানের প্রবাহ
ii) ধনাত্মক আধানের প্রবাহ
iii) নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের প্রবাহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i          খ) ii ও iii 
গ) i ও ii     ঘ) i ও iii

২৮। পরিবাহীতার ওপর ভিত্তি করে কঠিন পদার্থগুলো হলো-
i) পরিবাহী     ii) অপরিবাহী     iii) অর্ধপরিবাহী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i      খ) ii 
গ) iii     ঘ) i, ii ও iii

২৯। অন্তরক পদার্থের ক্ষেত্রে-
i) কাচ, রাবার এগুলো অন্তরকের উদাহরণ 
ii) অন্তরকের মধ্যে ইলেকট্রন থেকে
iii) অন্তরকের মধ্যদিয়ে তড়িৎ পরিবাহিত হয় না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও iii     খ) ii ও iii 
গ) i ও ii      ঘ) i, ii ও iii

আরো পড়ুন : চল তড়িৎ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব

৩০। স্ক্রু ড্রাইভারের হাতল প্লাস্টিকে মোড়ানো থাকে কারণ প্লাস্টিক-
i) প্লাস্টিক বিদ্যুৎ পরিবহনে অক্ষম
ii) প্লাস্টিক অপরিবাহী পদার্থ
iii) প্লাস্টিক অর্ধপরিবাহী পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও iii     খ) i ও ii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

নিচের চিত্রের আলোকে ৩১ থেকে ৩৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

৩১। তড়িৎ প্রবাহের প্রচলিত দিক অনুযায়ী  উপরের চিত্রের প্রবাহ কোন দিকে ঘটবে?
ক) A থেকে B        খ) B থেকে A
গ) প্রবাহ হবে না    ঘ) কোনোটিই নয়

৩২। ঋণাত্মক আধান কোন দিকে যাবে?
ক) A থেকে B        খ) B থেকে A
গ) প্রবাহ হবে না    ঘ) কোনোটিই নয়

৩৩। উপরের উদ্দীপক থেকে বলা যায়-
i) তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক হলো B থেকে A-এর দিকে
ii) A ও B-এর বিভবান্তর 10V
iii) B-এর বিভব পরিবর্তন করে 50V করলে তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i      খ) ii 
গ) iii     ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

কোনো একটি তড়িৎ কোষের দুই প্রান্তে সংযুক্ত কোনো পরিবাহক তারের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১০১১টি ইলেকট্রন ডান দিক থেকে বাম দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।

৩৪। তারের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের মান কত?
ক) 1.6Cs     খ) 1.6 x 10-2 Cs-1 
গ) 1A          ঘ) 0.01A

৩৫। তড়িৎ প্রবাহের দিক হবে-
i) তারের বাম থেকে ডান দিকে
ii) তারের ডান থেকে বাম দিকে
iii) তড়িৎ প্রবাহের কোনো দিক নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i      খ) ii 
গ) iii     ঘ) i ও iii

উত্তর: ২৩. ঘ, ২৪. খ, ২৫. ঘ, ২৬. ঘ, ২৭. ঘ, ২৮. ঘ, ২৯. ক, ৩০. খ, ৩১. ক, ৩২. খ, ৩৩. ঘ, ৩৪. খ, ৩৫. ক।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক
গবর্নমেন্ট সায়েন্স হাই স্কুল, তেজগাঁও, ঢাকা

কবীর

আঠারো বছর বয়স কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০০ পিএম
আঠারো বছর বয়স কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : আঠারো বছর বয়স

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার এ চরণে কবি তরুণ্যের দুর্বার গতি প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন। আঠারো বছর বয়স প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর। দুঃসাহসিক প্রত্যয়ে জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একমাত্র তারুণ্যের পক্ষেই সম্ভব বিজয় ছিনিয়ে আনা। তাই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তারুণ্যের দুর্বার গতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উপমা হিসেবে ‘বাষ্পের বেগ’ ও ‘স্টিমার’ শব্দগুলোর সন্নিবেশ

আরো পড়ুন : আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব

ঘটিয়েছেন। তার মতে, তরুণরা যেন স্টিমারের গতিবেগের মতোই বাতাসের বেগে ছুটে চলে। জীবন ও জগতের কল্যাণ এবং অকল্যাণকর উভয় ক্ষেত্রেই তরুণরা তার এই গতিকে কাজে লাগাতে পারে। তবে কবির মতে, তরুণরা এই গতিশক্তিকে শুধু কল্যাণকর কাজেই প্রয়োগ করলে বিশ্ব এগিয়ে যাবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ পিএম
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- খবরের কাগজ

তৃতীয় অধ্যায় : আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১৩। রাষ্ট্র সৃষ্টির আগে কীসের মাধ্যমে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রিত হতো?
ক) ন্যায়বোধ     খ) সংবিধান 
গ) ধর্ম               ঘ) প্রথা

১৪। সামাজিক স্বাধীনতা হলো-
i. শিক্ষা লাভের স্বাধীনতা
ii. পরিবার গঠনের স্বাধীনতা
iii. ধর্ম পালনের স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii      খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

১৫। আইন সাধারণত কত ধরনের?
ক) ২ ধরনের    খ) ৩ ধরনের
গ) ৪ ধরনের     ঘ) ৫ ধরনের

১৬। কোনটি সর্বজনীন?
ক) আইন     খ) নিয়ম 
গ) প্রথা         ঘ) রীতিনীতি

১৭। মতামত প্রকাশ কোন ধরনের সাম্য?
ক) সামাজিক      খ) ব্যক্তিগত 
গ) রাজনৈতিক     ঘ) সাংস্কৃতিক

আরো পড়ুন : আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব

১৮। বৈধ পেশা গ্রহণ কোন ধরনের সাম্য?
ক) অর্থনৈতিক         খ) ব্যক্তিগত 
গ) রাজনৈতিক         ঘ) সামাজিক

১৯। সাম্যের বিভিন্ন রূপ হলো-
i. অর্থনৈতিক সাম্য
ii. সামাজিক সাম্য
iii. জাতীয় সাম্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii     খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

২০। কোন দেশের অধিকাংশ আইন প্রথার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে?
ক) ভারত          খ) চীন 
গ) যুক্তরাজ্য     ঘ) যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর: ১৩. ঘ, ১৪. ক, ১৫. খ, ১৬. ক, ১৭. গ, ১৮. ক, ১৯. খ, ২০. গ।

লেখক :  সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : আঠারো বছর বয়স

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় ‘আঠারো বছর’ শব্দটি কতবার ব্যবহার হয়েছে?
উত্তর: সাতবার।

৭। সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর: দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকার।

৮। ‘আকাল’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: ‘আকাল’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ।

৯। আঠারো বছর বয়স বাষ্পের বেগে কীসের মতো চলে?
উত্তর: স্টিমারের মতো চলে।

১০। আঠারো বছর বয়সে অহরহ কী উঁকি দেয়?
উত্তর: বিরাট দুঃসাহসেরা উঁকি দেয়।

১১। আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত।

১২। আঠারো বছর বয়স কী জানে?
উত্তর: রক্তদানের পুণ্য জানে।

১৩। আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে কী ভাঙতে চায়?
উত্তর: পাথরের বাধা ভাঙতে চায়।

১৪। আঠারো বছর বয়স কীসে কালো হয়?
উত্তর: লক্ষ্য ও দীর্ঘশ্বাসে কালো হয়।

১৫। আঠারো বছর বয়স কী নয়?
উত্তর: ভীরু ও কাপুরুষ নয়।

আরো পড়ুন : আঠারো বছর বয়স কবিতার ৫টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

১৬। আঠারো বছর বয়স কোথায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে?
উত্তর: বিপদের মুখে।

১৭। আঠারো বছর বয়স পথে প্রান্তরে কী ছোটায়?
উত্তর: তুফান ছোটায়।

১৮। আঠারো বছর বয়সে কীসের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: স্বনির্ভর হওয়ার।

১৯। আঠারো বছর বয়স আত্মাকে কোথায় সঁপে দেয়?
উত্তর: শপথের কোলাহলে।

২০। আঠারো বছর বয়সে দুর্যোগে কী ঠিকমতো করা ভালো?
উত্তর: হাল ধরে রাখা ভালো।

২১। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার শেষ দুই লাইন-
উত্তর: ‘এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়,
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’ 

২২। আঠারো বছর বয়স হলো-
উত্তর: মানবজীবনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। 

২৩। ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কবি যৌবনের ইতিবাচক রূপের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। 

২৪। সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর: বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৪, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৪, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে গ্রুপ ডিসকাশন করছে। ছবি- সংগৃহীত

 মার্কেটিং দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

২২। ‘বিপণন’ সম্প্রসারণের হাতিয়ার হলো-
ক) বিজ্ঞাপন    খ) ব্যক্তিক বিক্রিয়া    
গ) প্রচারণা       ঘ) সবগুলো

উত্তর: ঘ) সবগুলো।

২৩। বাটা শু কোম্পানি লি. যে ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে-
ক) বিভাগীয়       খ) বহুশাখা    
গ) বিপণিমালা    ঘ) সুপার মার্কেট

উত্তর: খ) বহুশাখা।

২৪। যেসব পণ্য অন্য পণ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে বলে- 
ক) শিল্প পণ্য     খ) শপিং পণ্য    
গ) বিশিষ্ট পণ্য    ঘ) সুবিধাজনক পণ্য

উত্তর: ক) শিল্প পণ্য।

আরো পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৩, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

২৫। বাজারজাতকরণের কাজ নয়-
ক) ক্রয়           খ) বিক্রয়    
গ) উৎপাদন    ঘ) পরিবহন

উত্তর: গ) উৎপাদন।

২৬। বাটা শু কোম্পানি কোন ধরনের খুচরা ব্যবসায়ী? 
ক) বহুশাখা বিপণি    খ) বিভাগীয় বিপণি    
গ) চেইন স্টোর         ঘ) সুপার মার্কেট  

উত্তর: ক) বহুশাখা বিপণি।

২৭। বাজারজাতকরণ মিশ্রণের অন্তর্ভুক্ত-
ক) পণ্য    খ) প্রসার    
গ) মূল্য    ঘ) সবগুলো

উত্তর: সবগুলো।

২৮। গ্রামীণফোন লি.-কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে স্পন্সর করা হলো, এতে নিচের কোনটি হবে? 
ক) বাণিজ্যিক প্রসার হবে    খ) বিজ্ঞাপন পাবে না    
গ) দলের লাভ হবে না         ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর: ক) বাণিজ্যিক প্রসার হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর