![প্রিমিয়াম পরিশোধ করে ইনস্যুরেন্স সুবিধা নেওয়া যাবে?](uploads/2024/02/13/1707796943.cur.jpg)
আমাদের কাছে প্রায়ই মানুষ জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন মাসয়ালার উত্তর জানতে চান। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চান। যেমন একজন জানতে চেয়েছেন, তিনি একটি গাড়ি কিনেছেন। ভবিষ্যতে গাড়ির সমস্যার কথা ভেবে কোম্পানির সঙ্গে ইনস্যুরেন্স করেছেন। তিনি এভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, যদি তার গাড়ি কোনো এক্সিডেন্ট বা ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাহলে তার ক্ষতিপূরণ কোম্পানি বহন করবে এবং এজন্য তিনি নির্দিষ্টহারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করবেন। তবে গাড়ির কোনো সমস্যা না হলে তিনি জমা করা টাকার বিনিময়ে কিছুই ফেরত পাবেন না। এমন ইনস্যুরেন্স সুবিধা গ্রহণের ব্যাপারে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?
প্রচলিত ধারার ইনস্যুরেন্স শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কেননা রিবা (সুদ), কিমার ও গরার (ধোঁকা)—এ তিনটিই ইনস্যুরেন্সে রয়েছে। যার প্রত্যেকটি ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং যা কিছু সুদ কারও কাছে বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও; যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না করো তবে আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা জেনে নাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৭৮-২৭৯)
জাবের (রা.) বলেন, “নবি (সা.) ‘রিবা’ তথা সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, সুদি চুক্তির লেখক এবং সুদি লেনদেনের সাক্ষী সবাইকে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তারা সবাই সমান।” (মুসলিম, হাদিস: ১৫৯৮)
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বস্তু ও জুয়ার তির এসবই অপবিত্র, শয়তানের কাজ। অতএব, এসব থেকে দূরে থাকো। যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৯০)
সুতরাং মুসলমানদের ইনস্যুরেন্স করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে যদি কোনো ক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে কোনো নির্ভরযোগ্য আলেম বা মুফতিকে বিস্তারিত জানিয়ে মাসয়ালা গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে। (ফিকহুন নাওয়াজেল, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২৬৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ১৬১)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক