![সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য সুসংবাদ](uploads/2024/03/01/1709261480.babsha.jpg)
জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। কোরআন ও সুন্নাহের নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবসা করলে সেটা ইবাদতও বটে। কেননা হাদিসে হালাল পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ করা ফরজ করা হয়েছে। তাই হালাল পদ্ধতিতে ব্যবসা করাটাও ইবাদতের অংশ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ব্যবসায়ীদের অসাধু পন্থা অবলম্বন করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হাদিসে আছে, ‘ব্যবসায়ীদের কিয়ামত দিবসে পাপাচারী ও অপরাধী হিসেবে উঠানো হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে, সততা অবলম্বন করে তারা নয়। (তিরমিজি, হাদিস: ১২১০) তিনি আরও বলেন, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ১০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে কোনো মুসলিম ক্রেতা থেকে তার বিক্রীত পণ্য ফেরত নেবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিবসে তার ভুল-ভ্রান্তিগুলো ক্ষমা করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৬০) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ীর হাশর হবে নবি, সিদ্দিক, শহিদ এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১২০৯)
সৎ ব্যবসায়ীদের একটি ভালো গুণ হলো, তারা ক্রেতাদের সহজ শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। ক্রেতাকে মানসম্মত পণ্য ক্রয় করতে সহযোগিতা করে এবং লেনদেন সহজ করে। যৌক্তিক কারণে কেউ পণ্য ফেরত দিতে চাইলে বিক্রীত পণ্য ফেরত নেয়। একে অপরকে ঠকানোর ব্যাপারে মহান আল্লাহকে ভয় করে। এতে তাদের ব্যবসায় বরকত হয়। কারণ এ ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য রাসুল (সা.) দোয়া করেছেন। জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিক্রয়কালে উদারচিত্ত, ক্রয়কালেও উদারচিত্ত এবং পাওনা আদায়ের তাগাদায়ও উদারচিত্ত—আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি দয়া করেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২০৩)
লেখক: ছড়াকার ও মাদরাসা শিক্ষক