![সাপোজিটরি নিলে কি রোজা ভেঙে যাবে?](uploads/2024/04/02/1712049676.18.jpg)
প্রচণ্ড জ্বরের কারণে অনেকের সাপোজিটরি বা ডুশ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কথা হলো, রোজাদারের প্রচণ্ড জর হলে এ অবস্থায় সাপোজিটরি কিংবা প্রয়োজনে ডুশ নেওয়া যাবে কি? ডুশ কিংবা সাপোজিটরি নিলে কি রোজা ভেঙে যাবে?
আল্লাহ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের মানুষের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। নির্দিষ্ট কয়েক দিন, তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে, কিংবা সফরে থাকবে, তা হলে সে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে…।’ (সুরা বাকারা, ১৮৩-১৮৪)
সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাওয়া, পানাহার ও স্ত্রী-সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা হলো রোজা। মৌলিক এ তিনটি কাজ কারও দ্বারা সংঘটিত হলে রোজা ভেঙে যাবে।
রোজা অবস্থায় সাপোজিটরি বা ডুশ নিলে রোজা ভাঙবে কি না, এ ব্যাপারে ফকিহদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ডুশ বা সাপোজিটরি যেহেতু খাদ্য নয়, খাদ্যের বিকল্পও নয় এবং তা পাকস্থলীতেও প্রবেশ করে না; বরং তা এক প্রকার ওষুধ, যা মলম বা ক্রিমের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
ডুশ বা সাপোজিটরি ব্যবহারের পর এটি পুনরায় পায়ুপথে বেরিয়ে আসে এবং এতে খাদ্য খাওয়ার কোনো উদ্দেশ্যও সাধিত হয় না। তাই এর দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। তবুও সতর্কতামূলক পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করা উত্তম হবে।
শাইখ উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার মত হলো, ডুশ নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না। এটিই অগ্রগণ্য মত। (আল-শারহুল মুমতি, ৬/৩৮১)
ভারত উপমহাদেশের বিজ্ঞ আলেমদের মত হলো, রোজা অবস্থায় সাপোজিটরি নিলে রোজা ভেঙে যাবে। (ফাতহুল কাদির, ২/৩৪৪; বাহরুর রায়েক, ২/৪৮৮)
লেখক: শাইখুল হাদিস, সিরাজনগর মাদরাসা নরসিংদী; সদস্য, তানযীম ফতোয়া বোর্ড নরসিংদী