![নামাজের কাতার সোজা রাখতে হয় কেন?](uploads/2024/04/16/1713240048.22.jpg)
ইসলাম সুন্দরের ধর্ম। পবিত্র ধর্ম। ইসলাম মুসলমানের জীবনকে সামগ্রিকভাবে সুন্দর-সুশৃঙ্খল করে। প্রতিটি মুসলমানকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ ও অনুকরণে ইবাদত করার তাগিদ করেছে ইসলাম। নবিজির অনুসরণ ও অনুকরণে মুসলমানদের ইবাদত হয়ে উঠবে সুগঠিত, প্রাণবন্ত ও দৃষ্টিনন্দন। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো নামাজে মুসলমানদের কাতার সোজা করা। এ কারণেই নামাজ শুরু করার আগে সারিগুলো সোজা করে নেওয়া ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অন্যতম সুন্নাহ। এ দায়িত্ব ইমাম ও মুক্তাদি উভয়ের। সবাইকে নিজ দায়িত্বে কাতার সোজা করে নিতে হবে। এ কাজে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের বারবার উদ্বুদ্ধ করেছেন। কখনো উৎসাহ দিয়েছেন, আবার কখনো এর ক্ষতি ও ভয়াবহতা বর্ণনা করে সাবধান করেছেন। নুমান ইবনে বশির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নেবে, তা না হলে আল্লাহতায়ালা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৮৫)
আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, “নামাজের ইকামত হচ্ছে এমন সময় রাসুল (সা.) আমাদের দিকে মুখ করে তাকিয়ে বললেন, ‘তোমরা কাতারগুলো সোজা করে নাও আর মিলে দাঁড়াও। কেননা, আমি আমার পেছন দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।” (বুখারি, হাদিস: ৬৮৭)
নামাজের কাতারে মুসল্লিদের সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে হবে। আগেপিছে হওয়া যাবে না। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) নামাজের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেন, ‘তোমরা সমান্তরালভাবে দাঁড়াও এবং আগেপিছে হয়ো না। অন্যথায় তোমাদের অন্তরেও বিভেদ সৃষ্টি হবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা অধিক প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী, তারা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। এরপর দাঁড়াবে যারা তাদের নিকটবর্তী। এরপর দাঁড়াবে যারা তাদের নিকটবর্তী। হাদিসটি বলার পর আবু সাইদ (রা.) বলেন, তাই তো আজকাল তোমাদের মধ্যে চরম বিভেদ বিরাজ করছে।” (মুসলিম, হাদিস: ৪৩২)
জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের কাছে যেভাবে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়, তোমরা সেভাবে দাঁড়াবে না। আমরা জিজ্ঞাসা করি, ‘ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের কাছে কীভাবে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়?’ তিনি বলেন, ‘তারা সবার আগে প্রথম কাতার পূরণ করে, এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় কাতার ইত্যাদি পূর্ণ করবে এবং তারা কাতারে দাঁড়ানোর সময় পরস্পর মিলে দাঁড়ায়।” (আবু দাউদ, হাদিস: ৬৬১)
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক