![ডেটিংয়ে বিড়ম্বনা](uploads/2024/02/21/1708494632.jabe--ja.jpg)
সেই যে আছে না, তুমি যাও বঙ্গে কপাল যায় সঙ্গে। গোপালের হলো গিয়ে তাই!
বহু কাঠ-খড়-কেরোসিন-গ্যাস পুড়িয়ে গোপাল তার প্রেমিকা বিন্তিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে পার্কে আসতে রাজি করাল। ডেঞ্জারাস বাড়ির মেয়ে। পুরো অমরিশ পুরি টাইপের ভয়ংকর বাবা। গোপালের সঙ্গে প্রেম করছে জানতে পারলে চার-পাঁচটা বা আরও দু-চারটা বেশি লাশ পড়ে যাবে।
তার মধ্যে একটা লাশ অবশ্যই গোপালের। তাই বিন্তি তার পুঁচকে ভাইকে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে আসবে। অগত্যা তাতেই রাজি হতে হলো। উইথ ভাই বিন্তিকে পাওয়া ইজ বেটার দ্যান না পাওয়া।
যথারীতি বিকেলবেলায় ভাইকে বগলদাবা করে পার্কে হাজির হলো বিন্তি। পার্কের অবস্থা অফিস টাইমের শেয়ালদা স্টেশনের মতো। পিলপিল করছে জোড়ায়। যাইহোক অনেক খুঁজে কোণের দিকে একটা খালি বেঞ্চ পেয়ে সেখানেই বসে পড়ল। হবু শালা দিদির হাত ছাড়েনি, তার সঙ্গেই লেপ্টে আছে। গোপাল প্রচণ্ড আবেগের সঙ্গে বিন্তিকে বলল, দেখ, আজ তোমায় পেয়ে খুব ভালো লাগছে। অনেক কথা বলার আছে। আজ চুটিয়ে গল্প করব।
ভাই আছে নইলে এই স্পেশাল দিনে একটু ইয়েও...।
গোপালের কথা শেষ হওয়ার আগেই বিন্তির ভাই বনি বলে উঠল, দিদি আমার পটি পেয়েছে।
বিন্তি বলল, সে কী রে! ঠিক আছে, একটু পরেই চলে যাব। ঘরে গিয়ে করিস। চেপে বসে থাক।
বনি ঘাড় নেড়ে বলল, না পারব না। এক্ষুণি পটি করব। নইলে প্যান্টে হয়ে যাবে।
বিন্তি অসহায়ভাবে গোপালের দিকে তাকাল। আর গোপালের মনে হলো শালার, মানে হবু শালার পশ্চাদ্ভাগে গদাম করে একটা কষিয়ে দেয়।
বিন্তি বলল, একটু দেখ না, যদি সামনে কোথাও টয়লেট থাকে?
-ঠিক আছে দেখছি।
বলে বনিকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে আর নিজের কপালকে চার অক্ষরে ভূষিত করতে করতে পার্কের পে-টয়লেটের দিকে ছুটল গোপাল।
টয়লেটের টেবিলের পেছনে টুলে বসে থাকা একটা খাড়ুস মার্কা লোক তাকে জিজ্ঞেস করল, পেস্যাব না পাইখানা?
গোপাল বলল, পরেরটা।
- দুজনেরই?
- না, এই বাচ্চাটা করবে।
-ঠিক আছে, পাঁচ টাকা রেখে ঢুকে যান।
পটি হলো। হওয়ার পর বনি বলল, ধুইয়ে দাও।
গোপাল বলল, মানে? ওসব আমার দ্বারা হবে না। নিজে ধুয়ে নে।
কাঁদো কাঁদো হয়ে বনি বলল, আমি পারি না।
অগত্যা আবার তেড়ে নিজের ভাগ্যকে গাল দিতে দিতে বনির পেছন ধুয়ে দিয়ে গোপাল দৌড়াল সাবান কিনতে।
শালার ভ্যালেন্টাইন্স ডে!
পান দোকানদার জিজ্ঞেস করল, সাদা জামা ধোবেন না রঙিন?
গোপাল বলল, কেন?
-আপনার ভালোর জন্যই বলছি। সাদা হলে টাইড আর রঙিন হলে এরিয়েল।
গোপাল বলল, হাত ধোব।
-ও, তাহলে যেটা হোক নিন।
সাবান দিয়ে হাত সাফাই করে বনিকে নিয়ে যখন বিন্তির কাছে পৌঁছাল, তখন দেখল বিন্তি উদ্বিগ্ন মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বলল, সব হয়েছে ঠিকঠাক?
বনি ঘাড় নেড়ে বলল, হ্যাঁ। পাতলা পটি। পেট ব্যথা করছে।
-সেরেছে, আবার!
গোপাল আর রিস্ক নিল না। চুলোয় যাক শালার ভ্যালেন্টাইন্স ডে, বিন্তিকে বলল, তুমি ওকে নিয়ে চলেই যাও বরং। আবার যদি...
বিন্তি ম্লান মুখে বলল, তাহলে আসি। কোনো কথাই তো হলো না। কত গল্প করব ভেবেছিলাম।
গোপাল মনে মনে বলল, কপাল কপাল!
কলি