প্রেম-ভালোবাসার এই যুগেও কিছু কিছু পোলাপান কেন সিঙ্গেল থাকে, তা জানানোর চেষ্টা করেছেন ফখরুল ইসলাম।
উন্নত কনফিগারেশনের কারও জন্য অপেক্ষা করা
ডিজিটাল যুগের পোলাপান কিছুদিন পরপরই আগের চেয়ে অ্যাডভান্স মডেলের মোবাইল কম্পিউটার পেয়ে থাকে। এ কারণেই এরা অপেক্ষা করে এই আশায় যে, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করলে হয়তো আরও সুন্দর বা হ্যান্ডসাম গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড পাওয়া যাবে।
ডেটিংয়ের লোকেশনের অভাব
‘প্রেম করলে করা যায় কিন্তু ডেটিংয়ে যাব কই?’ এই কনফিউশনে ভোগা সিঙ্গেল তরুণ-তরুণীর অভাব নেই। পার্কের পরিবেশ ভালো না, চাইনিজের বাজেট নাই, রিকশায় ঘোরার উপায় নাই (জ্যাম) ইত্যাকার নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত তরুণ-তরুণীর শেষ পর্যন্ত আর প্রেমে জড়ায় না।
ছ্যাঁকার বাজে অভিজ্ঞতা
বিগত জীবনে প্রেম করে ছ্যাঁকা খাওয়া লাখ লাখ তরুণ-তরুণী নতুন করে আর ছ্যাঁকা খেতে চায় না। তাদের মোটো হচ্ছে, ‘ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়। আমরা অলরেডি গিয়ে এসেছি। আমাদের আর সেখানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।’
সাহসের অভাব
ভালোবাসে কিন্তু মুখ ফুটে সাহস করে এই কথাটা বলতে পারে না- এরকম তরুণ-তরুণী আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয় কিন্তু সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে পারে না।
অলস
প্রেম করব কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা খুঁজে বের করতে পারব না, প্রপোজ করতে পারব না, কোনো ধরনের এফোর্ট দিতে পারব না-যেকোনো ধরনের পরিশ্রম করা ছাড়া ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়ার আশা করা এসব অলসরাও সাধারণত সিঙ্গেলদের দলেই পড়ে থাকে।
ওভার রিয়েলিস্টিক অথবা ওভার ইমোশনাল
অতি বাস্তববাদী অথবা অতি আবেগী... এই দুই দল মানুষের কোনো দলই রিলেশনে স্ট্যাবল থাকতে পারে না। অতএব সিঙ্গেল থাকাটাই যেন তাদের দিনশেষের চূড়ান্ত পরিণতি।
ভাল্লাগেনা রোগী
এদের তো কোনো কিছুই ভাল্লাগেনা। অতএব, প্রেম করতেও যে এদের ভালো লাগবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।
কিপ্টা কুনহানকার
প্রেমে হাজার রকম গিফটের হ্যাপা, দুদিন পর পর ডেটিংয়ের ঝেপা- এতসব খরচের কথা চিন্তা করে কিপ্টা শ্রেণির তরুণ-তরুণী একাই থেকে যায়।
কলি