নামকরণ: কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের গ্রুপের ইউনিক নাম দিতে চায়, যা কেউ আগে কখনো দেয়নি। তাই আপনার ফেসবুক-মেসেঞ্জার গ্রুপের নাম, কালচারাল প্রোগ্রামের নাম কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে আপনার নবজাতক শিশুর নাম নিয়ে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে তাদের দ্বারস্থ হতে পারেন।
পেইন্টিং: শহর কিংবা শহরতলি; সব জায়গায় দেয়ালে দেয়ালে নিজেদের গ্যাংয়ের নাম বা লোগো এঁকে নিজেদের জানান দিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভীষণ উৎসাহী। আপনার স্কুল-কলেজ কিংবা বাড়িঘরে সস্তায় পেইন্টিং করাতে চাইলে এদের ডাকতে পারেন, পরমানন্দে তারা এই কাজ করবে বলে আশা করা যায়।
মাছ কাটা: আপনার বাড়িতে হুট করে কোনো অনুষ্ঠান? খাবারের মেন্যুতে মাছের ব্যবস্থা আছে কিন্তু মাছ কাটাকুটির লোক এই শেষ মুহূর্তে খোঁজে পাচ্ছেন না? আপনার জন্য এক নিমিষেই হাজির হবে একঝাঁক কিশোর গ্যাং। ছুরি, চাকু ব্যবহার করে কাটাকুটিতে তারা সিদ্ধহস্ত। তবে তার আগে তাদের ফেসবুক গ্রুপে ইনবক্সে জানাতে হবে আপনার লোকেশন এবং অনুষ্ঠানের সময়। পারিশ্রমিকের ব্যাপারটাও সেরে ফেলতে পারেন তখন।
ফুটবল মাঠের রেফারি: অনেক দিন পর বন্ধুরা এলাকায় ঈদের ছুটিতে একত্রিত হয়েছেন। ভাবছেন ফুটবল খেলবেন। সবাই খেলতে আগ্রহী তাই রেফারি খুঁজে পাচ্ছেন না? সমস্যা নেই। কিশোর গ্যাংয়ের কোনো একজনকে ডাকুন, হুইসেল ছাড়াই বেশ জোড়ে শিস বাজাতে পারবে সে। স্কুল-কলেজের সামনে মেয়েদের দিকে তাক করে শিস বাজানোতে পটু এরা।
অভিনেতা এবং অন্যান্য কলাকুশলী: অনেক দিন ধরে ভাবছেন একটা শর্টফিল্ম বানাবেন কিন্তু আপনার বাজেট কম বলে পর্যাপ্ত কলাকুশলী খুঁজে পাচ্ছেন না? ডেকে আনুন একটা কিশোর গ্যাং, হাতে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দিন। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দেবে তারা। হিরোইজম দেখাতে গিয়ে অনেক ভিডিও আপলোড করে তাদের ফেসবুক পেজে। সেই ভিডিওগুলোর অভিনয় দেখে বেছে নিতে পারেন কম দরের অ্যাকশন হিরো, জোকার এবং অন্যান্য চরিত্র।
শোডাউন: আজ আপনার জন্মদিন অথচ এলাকার কেউই আপনাকে শুভেচ্ছা জানায়নি? এক কাজ করুন, স্বল্প টাকায় একটা কিশোর গ্যাং ভাড়া করে আনুন। টাকার জন্য করতে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। আপনার ছবি এবং নামাঙ্কিত ফেস্টুন ছাড়াই এরা মোটরবাইকে করে গলা ফাটিয়ে আপনার নাম উচ্চারণ করে করে শোডাউন দেবে।
কলি