ওদের বয়স ১৩-১৮ এর মধ্যে। স্কুলে যাতায়াতের পথে নিত্য সড়ক দুর্ঘটনা দেখেন। সেই সড়ক দুর্ঘনায় প্রাণ বাঁচাতে নতুন কিছু উদ্ভাবনে জোট বাঁধে পাঁচ কিশোর। ভাবনার শুরুটা আসে চাঁপাই নওয়াবগঞ্জের হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ত্ব-সীন ইলাহীর মাথা থেকে। স্বপ্নপূরণের সেই ভাবনায় যুক্ত হন নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাহ্দী বিন ফেরদৌস, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের মো. নুর আহমাদ, নওগাঁর নাজিপুর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব এবং নরসিংদীর ছেলে, রাজধানীর ধানমন্ডির লরেটো স্কুলের এ লেভেল পড়ুয়া মো. সানজিম হোসেন। তাদের উদ্ভাবনে সহযোগী ছিলেন ডুয়েটের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান।
প্রতিযোগিতায় এ বছর রেকর্ড ৩৪০০ জন অংশ নেন। যেখানে প্রায় শত শত টিম ছিল। এর মধ্যে পুরো বিশ্ব থেকে ৪ ক্যাটাগরিতে ১০টি দলকে বিশ্ব সেরা ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে এই টিম একটি। এই দলের গল্প শোনাচ্ছেন হৃদয় তালুকদার
মো. ত্ব-সীন ইলাহি
দলনেতা
এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। নাসা কনরেড চ্যালেঞ্জের জয়ী Not a Boring Team-এর অধিনায়ক।
মো. ত্ব-সীন ইলাহির জন্ম ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে। বাবা-মার চাকরির সুবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়ে ওঠে। বাবা মো. ইসাহাক আলী ও মা মোসা. মাসুমা আক্তারের একমাত্র ছেলে ত্বসীন। ২০১৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পিইসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সে।
ছোটবেলা থেকে ইলেকট্রনিক্স জিনিসের প্রতি তার বেশ ঝোঁক ছিল। রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি ভেঙে মোটর বের করে ফ্যান, লাইট বানাত। এভাবেই তার প্রজেক্ট বানানোর যাত্রা শুরু। ২০১৮ সালে একদিন স্কুলে সমাবেশ করার পর তার এক বন্ধু এসে বলল ও নাকি একটি এটিএম বানিয়েছে। ত্বসীন চমকে গিয়ে জানতে চাইল যে ওটা সে কীভাবে বানাল। ত্বসীনের বন্ধু বলল ইউটিউব দেখে এসব শেখা যায়। তারপর থেকেই মূলত তার রোবোটিক্সে যাত্রা শুরু। নতুন কিছু আবিষ্কার করার ইচ্ছা, অজানাকে জানার কৌতূহল তাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছে। সবাই একাডেমিক রেজাল্ট, জিপিএ ফাইভ, এ প্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও সে সব সময় ব্যতিক্রমী চিন্তা করে।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, গণিত অলিম্পিয়াড, রোবট অলিম্পিয়াড ইত্যাদিতে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পায় সে। তাছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটও রয়েছে তার ঝুলিতে। সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, জাতীয় শিশু পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছে সে। বর্তমানে তার ঝুলিতে ৭০টি সার্টিফিকেট রয়েছে।
একবার পরিচিত হলো রাজশাহী বিভাগের সেরা কিছু খুদে রোবটবিদের সঙ্গে। তারপর তাদের দলে যুক্ত হলো সে। এরপর একদিন নাসা কনরেড চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে পারল। বিষয়টা গ্রুপে জানানোর পর সবাই অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিল। মূলত তাদের গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তাদের কাজ শুরু হয়।
ত্বসীনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গবেষণার দিকে নজর দেওয়া। সে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষক হতে চায়। নতুন কিছু আবিষ্কার করে মানবজাতির কল্যাণ করতে চায়।
মাহ্দী বিন ফেরদাউস
কো-অর্ডিনেটর
জন্ম ২০০৮ সালে রাজশাহীতে। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন টাঙ্গাইল শহরে। তারপর নাটোরে এসে এখন নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
বাবা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হওয়ায় ইলেকট্রনিক্স-এর প্রতি প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠে। বাবার ছাত্রদের সাহায্য, ইউটিউব এবং নিজের ইচ্ছা থেকেই ইলেকট্রনিক্সের সামগ্রী বানানোর কৌশল আয়ত্ত করে। ছোট ছোট ইলেকট্রনিক্সসামগ্রী বানিয়ে সহপাঠী ও শিক্ষকদের দেখাত। সেই থেকেই শিক্ষকরা তাকে বিজ্ঞানী বলে ডাকতেন।
বিজ্ঞান মেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্টলের প্রজেক্ট দেখত আর তাদের কাছে নানান কিছু জানতে চাইত। করোনাকালীন রোবোটিক্স নিয়ে মাথা ঘামায় এবং আরডুইনোর সঙ্গে পরিচিত হয়। প্রথমে লাইন ফলোয়ার বানায় কিন্তু সফল না হওয়ায় তা ছেড়ে দেয়। পরে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে কিন্তু পরে সেখান হতে সরে আসে। এর পর নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আবার প্রজেক্ট কম্পিটিশনে ২০২২ সালের 6th RUSC Science fest থেকে যাত্রা শুরু। এ পর্যন্ত ২৫টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যাযয়ে পুরস্কার পায়।
২০২৩ সালে এসএমসি মনিমিক্স প্লাস খুদে বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড পায়। এবং BCSIR, বিজ্ঞান চিন্তা, বিজ্ঞান উৎসব, IUT, RCNSF-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। এই প্রতিযোগিতায় অনেকের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে এবং ইনোভেশন টিম গঠন করে।
এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার পর তারা জীবনের সব অভিজ্ঞতা এই Conrad চ্যালেঞ্জ-এর জন্য কাজে লাগায়। এটাই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং প্রথম অংশ নিয়েই বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। দলের কো-অর্ডিনেটর হয়ে সে খুবই আনন্দিত।
ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি টেসলার মতো বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে তার। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষে নিজের দেশে টেকনোলজি কাজে লাগিয়ে দেশকে স্মার্ট করতে সাহায্য করা।
নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব
ইনোভেশন ও হার্ডওয়্যার
নাদিমের জন্ম ২০০৮ সালে নাটোরে। বাবা চক্ষু ডাক্তার। ছোট থেকে ৯ বছর পর্যন্ত তার বাবার কাজের সূত্রে নাটোরেই ছিল। তারপর থেকে সপরিবারে ঢাকায় কিছুদিন থাকার পরে নওগাঁ। নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে বর্তমানে সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তার নানা পল্লী বিদ্যুতের বোর্ড সভাপতি ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই নানার ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম দেখতে দেখতে নাদিমের ইলেকট্রিক্যাল কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় কিছু সাধারণ জিনিসপত্রের মাধ্যমে নাদিম কাজ শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখে এবং রোবোটিক্সের দিকে এগোয়।
সপ্তম শ্রেণিতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার জন্যে প্রথম রোবটিক্স প্রজেক্ট তৈরি করে। যদিও করোনা মহামারির কারণে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি। তবে করোনা মহামারির সময়ে রোবোটিক্সের মাধ্যমে নিজের অবসর সময় কাজে লাগাত। নবম শ্রেণি থেকে নাদিম বিভিন্ন রোবটিক্স কম্পিটিশনে অংশ নেওয়া শুরু করে এবং এখন পর্যন্ত ২৫টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করে। ২০২২ সালে এসএমসি মনিমিক্স প্লাস খুদে বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড পায়। ২০২৩ সালে রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে প্রথম এবং ন্যাশনাল টেকনোলজি ফেয়ারে দ্বিতী হয়। এসব প্রতিযোগিতা থেকেই সবার সঙ্গে পরিচয় এবং দল গঠন করে নাদিম।
এটি তাদের দলের প্রথম এবং প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। দলের এক্সিকিউটিভ এবং ফাউন্ডিং মেম্বার হিসেবে নাদিম গর্বিত। নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় নাদিম। BUET-এ পড়ার মাধ্যমে প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন কার।
মো. সানজিম হোসেন
রিসার্চ এবং অ্যানালাইসিস
দলের রিসার্চ এবং অ্যানালাইসিস মো. সানজিম হোসেনের জন্ম নরসিংদী জেলায়। বাবা মো. সোহরাব হোসেন এবং মা শারমিন সুলতানা। বিদেশে পড়ার স্বপ্ন থাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করছে। গবেষণাবিষয়ক কাজ করতে তুমুল আগ্রহী। এই আগ্রহের কারণে
সহপাঠীদের সঙ্গে বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেয় নিয়মিত। পরে পরিচিতির কারণে টিম আপ করে অনেক দলের সঙ্গে। সে নরসিংদী সায়েন্স অ্যান্ড রোবোটিক্স ক্লাবের সদস্য। সেই ক্লাবের হয়ে ৪৪তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলাতে প্রথম স্থান অধিকার করে।
এর পরে সে মালয়েশিয়ায় হওয়া WICE-এ বেস্ট প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড, গোল্ড মেডেলসহ আরও পুরস্কার পেয়ে দেশের সুনাম বাড়িয়ে তোলে। এর পর পরই সে কনরেড-এ অংশ নেয়। রিসার্চ পেপার নিয়ে অনেক কাজ করেছে সে। এই দক্ষতা এবং প্রবল আগ্রহ তাকে এত দূর নিয়ে এসেছে। এর পেছনে একটা বিশাল অবদান আছে তার বাবা মায়ের। বাবা মা তাকে সব সময় সব দিক থেকে সমর্থন দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে সে গবেষক হতে চায়। বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন দেখে সানজিম।
মো. নূর আহমাদ
এমবেডেড সিস্টেম
জন্ম ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর সদর উপজেলায়। বাবা শফিকুল ইসলাম ও মা নুরজাহান বেগম। পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে নূর ছোট। ২০১৯ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় এবং বর্তমানে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তার ভালো লাগত। মা তাকে অনেক আগ্রহ ও সাহস জোগান। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও ছিল তার সুনাম। বিভিন্ন ধরনের খেলনা খুলে তৈরি করত ওয়াটার বোর্ড, মোটর ফ্যান ও হরেক রকম জিনিস। ২০১৯ সাল তার বড় ভাই গোলাম মোর্শেদের বানানো বিভিন্ন রোবট ও গেম তাকে আকৃষ্ট করে। তখনই কিছু উদ্ভাবন করার ইচ্ছে জাগে। ভাইয়ের কাছে শিখতে চাইলে তাকে সি প্রোগ্রামিং শেখান এবং পরবর্তী পথের রাস্তা দেখিয়ে দেন। প্রোগ্রামিং-এর প্রতি তার ভালো লাগা গভীর হতে শুরু করে। সময় যেতে না যেতেই দেশজুড়ে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ সময় কাটত প্রোগ্রামিং নিয়ে। সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আয়ত্ত করে পাইথন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ফ্রিল্যান্সিংয়েও রয়েছে তার অভিজ্ঞতা। বর্তমানে মেশিন লার্নিং-এর মতো কমপ্লিকেটেড সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করছে সে।
২০২২ সালে রোবটিক্স নিয়ে যাত্রা শুরু করে সে। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরনের রোবট আবিষ্কার করে। অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। তার পাঁচটি ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডসহ (বিসিএসআইআর, রোবকার্নিভাল, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, ইউএসসি সায়েন্স অলিম্পিয়াড, কনরাড চ্যালেঞ্জ) চল্লিশটিরও বেশি সনদ রয়েছে।
বিভিন্ন বিভাগীয় ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের দল গড়ে ওঠে।
নূর আহমাদ নেক ও আদর্শ মানুষ হতে চায়। স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে থেকে পড়া শেষ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
এ আয়োজনে যেভাবে গেছে দলটি
প্রতিযোগিতার আয়োজক কনরেড ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিযোগিতাটি প্রত্যেক বছর আয়োজন করা হয়। বর্তমানে নাসা, ডেল টেকনোলজিস এবং বিশ্বের অনেক নামিদামি টেকজায়ান্ট কোম্পানি এ প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত আছে।
এটি মূলত একটি উদ্ভাবনী এবং বিজনেস কনটেস্ট। এখানে একটি দলকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কাজ করতে হয়। কোনও একটা ফিল্ডের সমস্যা সমাধান করতে হয়। তারপর সেটার মডেল বানাতে হয়। সমাধানটা বাস্তব জীবনে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে হয়। উদ্ভাবন করার পর এই প্রজেক্টকে প্রোডাক্ট এ রূপান্তর করে এর একটি বিজনেস মডেল প্রস্তুত করতে হয়। মূলত উদ্ভাবন এবং পরবর্তীতে বিজনেস রিলেটেড বিষয় সময় নিয়ে কাজ করতে হয়।
এক কথায় এটা খুদে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী বিশ্বের যে কেউ এতে অংশ নিতে পারে। খুদে উদ্যোক্তাদের বিশ্বসেরা মঞ্চ বলা হয় এটিকে। মোট ৪ ধাপে প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো তৃতীয় স্টেজ পার করতে পেরেছে। এর আগে ২০১৫ সালে একটি দল প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল স্টেজে গিয়েছিল। নয় বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এই তৃতীয় স্টেজ পার করে বর্তমানে অল্টারনেটিভ ফাইনালিস্ট হিসেবে অবস্থান করছে বাংলাদেশের নট এ বোরিং টিম।
তৃতীয় স্টেজে পুরো বিশ্ব থেকে ২৫০ এরও বেশি দল প্রতিযোগিতা করে। যেখানে এই দল বিশ্বের মধ্যে দশম হয় Energy and Environment ক্যাটাগরিতে।
তারা যেটা নিয়ে কাজ করেছে সেটা হচ্ছে মূলত পরিবেশ এবং শক্তি ক্যাটাগরি। পরিবেশ বাঁচাতে পারে এবং শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে এরকম কোনও সমস্যা সমাধানের কাজ করতে হয়েছে। দলটি সড়ক দুর্ঘটনার ফলে পরিবেশ এবং শক্তির কী ক্ষতি হয় সেটি তুলে ধরেছিল এবং সেটার জন্য একটি সমাধানও বের করেছে।
জাহ্নবী